সেভেন সিস্টার্স নিয়ে আগেও একই কথা বলেছিলেন ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সেভেন সিস্টার্স খ্যাত সাতটি রাজ্য নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে মন্তব্য করেছেন তা নতুন কিছু না। ২০১২ সালেও একই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তখন তো এতো আলোচনা-সমালোচনা হয়নি। শুধু তিনি নন, ২০২৩ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রীও প্রায় একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন।
বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার বিমসটেক সম্মেলন নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ বলেন, ভারতের সেভেল সিস্টার নিয়ে চীনের যে কথাটা প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এটি নতুন নয়। এর আগে ২০১২ সালেও একই কথা তিনি বলেছিলেন। এর চাইতে এগিয়ে গিয়ে ২০২৩ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লিতে দাঁড়িয়ে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সেভেন সিস্টার্স ও বাংলাদেশ একটা ভ্যালু চেইনে আবদ্ধ করার কথা বলেন। তিনি এই প্রসঙ্গে সিঙ্গেল ইকোনমি জোনের কথাও বলেছিলেন।
ড. খলিলুর রহমান আরও বলেন, কানেকটিভি এ অঞ্চলের সম্ভাবনা দুয়ার খুলে দেবে। যাদের জন্য সমুদ্রে এক্সেস পাওয়াটা কঠিন তাদের জন্য আরো বেশি। আমরা কিন্তু জোর করে কারও ওপর কানেকটিভি চাপিয়ে দেবো না। সে সুযোগও আমাদের নেই। কেউ যদি সেই সুযোগ নেয় ভাল কথা। প্রধান উপদেষ্টা সম্পূর্ণ সৎ উদ্দেশ্যে এ কথা বলেছেন। এখন যদি কেউ অন্য কোন ব্যাখ্যা দেন তাহলে তো কিছু করা নেই। শুধু এটুকু বলতে পারি, সবার ভালো উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেছিলেন।
এর আগে চীন সফরে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় ‘সেভেন সিস্টার্স’ খ্যাত সাতটি রাজ্যের ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, ‘ভারতের পূর্বাঞ্চলের সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত সাতটি রাজ্য। এই রাজ্যগুলো ভারতের স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। সমুদ্রে পৌঁছানোর জন্য তাদের যোগাযোগের কোনও উপায় নেই। এই অঞ্চলের জন্য সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক বাংলাদেশ।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেছিলেন, ‘এটি বিশাল এক সম্ভাবনা উন্মোচন করে। এটি চীনা অর্থনীতির একটি সম্প্রসারণ হতে পারে।’
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন