এল সালভাদর-ভেনেজুয়েলা বন্দি বিনিময় প্রস্তাব
ছবিঃ এলএবাংলাটাইমস
এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে এক সাহসী প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো ও বর্তমানে এল সালভাদরের কারাগারে থাকা ২৫২ জন ভেনেজুয়ান নাগরিককে তাদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে—যদি ভেনেজুয়েলা একই সংখ্যক রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেয়।
এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে বুকেলে বলেন, “এই ২৫২ জন ভেনেজুয়ান প্রবাসী ধর্ষণ ও হত্যার মতো অপরাধ করেছে, অথচ মাদুরোর বিরোধিতা করার জন্যই ভেনেজুয়েলায় হাজার হাজার মানুষ বন্দি।”
ভেনেজুয়েলার প্রধান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তারেক উইলিয়াম সাআব বুকেলের প্রস্তাবের সমালোচনা করে বলেন, “এই ফেরত পাঠানোদের অপরাধ কী ছিল? তারা কি বিচারকের সামনে হাজির হয়েছিল? তারা কি আইনজীবীর সহায়তা পেয়েছিল?”
ভেনেজুয়েলার সরকার জানায়, তাদের দেশে কোনো রাজনৈতিক বন্দি নেই—যদিও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বুকেলে তার পোস্টে আরও জানান, অন্যান্য দেশের প্রায় ৫০ বন্দিও এই প্রস্তাবের আওতায় রয়েছে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকও আছে।
গত কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ২০০-র বেশি ভেনেজুয়ানকে এল সালভাদরে পাঠিয়েছে, যাদের ‘ট্রেন দে আরাগুয়া’ নামক কুখ্যাত অপরাধী গ্যাংয়ের সদস্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এল সালভাদরের কুখ্যাত টেরোরিজম কনফাইনমেন্ট সেন্টারে এসব বন্দিদের রাখা হয়েছে, যার খরচ বহন করছে ওয়াশিংটন।
বুকেলে, যিনি নিজেকে “বিশ্বের সবচেয়ে কুল স্বৈরশাসক” বলে পরিচয় দেন, সম্প্রতি গ্যাংবিরোধী অভিযানের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে পুনর্নির্বাচিত হন।
মাদুরো, অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে “অপহরণ” এবং “মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় উদাহরণ” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট শনিবার এক রায়ে আরেকদল অভিযুক্ত ভেনেজুয়ান গ্যাং সদস্যকে ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ‘Alien Enemies Act, 1798’ আইনের আওতায় এই ভেনেজুয়ানদের বহিষ্কার করছে, যা যুদ্ধকালীন সময়ে শত্রু দেশের নাগরিকদের নির্বাসনের অনুমতি দেয়। এই আইন এতদিন মাত্র তিনবার ব্যবহৃত হয়েছিল—সবক’টি যুদ্ধকালীন সময়ে।
হোয়াইট হাউস এই বহিষ্কারের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জকে “অমূলক মামলা” বলে অভিহিত করেছে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন