‘আমরা যখন পাকিস্তানকে টাইট দিতে পারি, তখন বাংলাদেশ কোন ছাড়! : বিজেপি নেতা
ভারতের সঙ্গে টক্কর দিয়ে বাংলাদেশ টিকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। আজ রোববার উত্তর ২৪ পরগনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন পাকিস্তানকে টাইট দিতে পারি, তখন বাংলাদেশ কোন ছাড়! চারদিকে ভারত ঘেরা দেশটি আমাদের ওপর নির্ভরশীল। আকাশ, পানি, ব্যবসা-বাণিজ্য—সবই ভারতের হাতে। তারা এটা বোঝা উচিত যে, ভারতের বিরুদ্ধে গেলেই তাদের টিকে থাকা সম্ভব নয়।’
ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের ওপর কয়েকটি পণ্যের আমদানি সংক্রান্ত বন্দর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এরপর দিলীপ ঘোষ এ মন্তব্য করেন। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড -এর নির্দেশনার পরপরই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এখন থেকে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকসহ বেশ কিছু পণ্য শুধুমাত্র নব সেবা (Nhava Sheva) ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে। স্থলবন্দর দিয়ে এসব পণ্যের আমদানি বন্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে—ফলমূল মিশ্রিত পানীয়, কার্বোনেটেড ড্রিংকস, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, তুলার বর্জ্য, পিভিসি ও প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য (শিল্পজাত কাঁচামাল বাদে), কাঠের আসবাবসহ আরও কিছু পণ্য।
আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংরাবান্ধা ও ফুলবাড়ী স্থলবন্দরগুলোতে এসব পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল, পাথরচূর্ণসহ প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানে রপ্তানির ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।
ভারতের বাণিজ্যিক এ পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এলো, যখন চীনে এক ভাষণে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি ওই অঞ্চলকে ‘সমুদ্রবিচ্ছিন্ন এলাকা’ হিসেবে উল্লেখ করেন, যা ভারতের পররাষ্ট্র মহলে সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এ বক্তব্যকে ভারতের পক্ষ থেকে সংযোগ ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন