দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্রি হওয়া টিকিটে ৫ কোটি ডলারের জ্যাকপট
আর্কটিকে আধিপত্য বিস্তারে মার্কিন চাল: রাশিয়ার দ্বীপপুঞ্জ কিনতে ১৫ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব
আর্কটিক অঞ্চলে চীনের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করার জন্য রাশিয়ার সুদূর প্রাচ্যের কোমান্দরস্কি দ্বীপপুঞ্জ কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল জেফরি ফ্রিটজ। ব্রেকিং ডিফেন্সে লেখা একটি উপ-সম্পাদকীয়তে তিনি এই প্রস্তাব দিয়েছেন।
তিনি জানান, 'প্রস্তাবটি হলো, আর্কটিক মহাসাগরে প্রবেশের চেষ্টাকারী সম্ভাব্য চীনা সাবমেরিনের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করার জন্য...যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলারে কোমান্দরস্কি দ্বীপপুঞ্জ কেনার বিষয়টি অনুসরণ করে যাবে।'
ফ্রিটজ বিশ্বাস করেন, এই ধরনের চুক্তির ফলে মার্কিন নিরাপত্তা জোরদার করা এবং এই অঞ্চলে 'আমেরিকান নেতৃত্বকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত' করা সম্ভব হবে।
তার মতে, অতীতে, আলাস্কা ক্রয়কে অর্থহীন বলে সমালোচনা করা হয়েছিল, কিন্তু এখন আলাস্কা মার্কিন জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা কৌশলের একটি ভিত্তি।
ফ্রিটজ আর্কটিক অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান কার্যকলাপ এবং পোলার সিল্ক রোড প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই অঞ্চলে বেইজিংয়ের বিনিয়োগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিশেষ করে তিনি উল্লেখ করেছেন, কিংডাওয়ের কাছে জিয়াংগেঝুয়াং নৌঘাঁটি থেকে চীনের সাবমেরিনগুলো তাত্ত্বিকভাবে বেরিং প্রণালীর মধ্য দিয়ে আর্কটিক পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এগুলো আর্কটিক বরফের নিচে কাজ করতে পারে, যা সনাক্তকরণ কঠিন।
তার মনে, সাবমেরিনগুলো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত। এগুলো নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনের মতো মার্কিন শহরগুলোর জন্য হুমকি তৈরি করবে। যদি যুক্তরাষ্ট্র দ্বীপপুঞ্জ কিনে নেয়, তাহলে তারা চীনা সাবমেরিনগুলো ট্র্যাক করার জন্য সেখানে পানির নিচে পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা স্থাপন করতে সক্ষম হবে।
উত্তর আমেরিকা এবং এশিয়ার মধ্যে একটি সামুদ্রিক সংযোগস্থলে কোমান্দরস্কি দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত। আর্কটিক জাহাজ চলাচলের পথ সম্প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি ভূ-রাজনৈতিক তাৎপর্য অর্জন করছে এবং চীনসহ আঞ্চলিক শক্তিগুলো উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং আর্কটিকের প্রতি আগ্রহ বাড়াচ্ছে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন