আপডেট :

        বিরতির পর লিটনের ট্রাস্ট: বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি স্কয়াডে নতুন জীবন!

        অর্ধেকেরও বেশি ব্যাংক সাইবার হামলা প্রতিরোধে অক্ষম

        ক্যারিয়ারে সাফল্যের শক্তি

        ‘নূর ভাই বেঁচে আছেন, সে বেঁচে থাকা মৃত‍্যুর চেয়ে একটু ভালো’

        ইউক্রেনে ‘টমাহক’ ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে পেন্টাগন

        সালমান শাহ হত্যা মামলা: আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ভক্তদের মানববন্ধন

        ফুটবলাররা জানেন না কোচ নেই

        ‘আমার লোক, তোমার লোক’ কালচার থেকে বিএনপি-জামায়াতকে বের হয়ে আসতে হবে: আসিফ নজরুল

        এবার নাইজেরিয়ার তেলের খনিতে নজর ট্রাম্পের

        উত্তর কর্দোফানে সহিংসতার ভয়াবহতা, হাজারো মানুষ স্থানত্যাগে বাধ্য

        জুবিন গার্গের শেষ কাজ রূপ পেল, সিনেমা ‘রই রই বিনালে’ মুক্তি

        উপভোগ নয়, মিতব্যয়িতা—আজ বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস

        যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর

        ফুটবল বিশ্লেষক মন্তব্য, লিভারপুলের আসল সাইজ মানুষের ধারণার চেয়ে ছোট

        তাইওয়ান স্পষ্ট বার্তা দিল, চীনের প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়

        এআই যুগ শেষ, আগামী দিনের বিস্ময়কর প্রযুক্তি: এজিআই

        চীন-জাপান সম্পর্কের নতুন অধ্যায়, শি জিনপিং বৈঠকে যুক্ত নতুন প্রধানমন্ত্রী

        ১,৪০৭ টন আলু নেপালে, বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে রপ্তানি

        বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপের সম্ভাবনা, ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

        সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোটের তারিখ নিয়ে জল্পনা

সোনিয়া গান্ধীর নাগরিকত্ব বিতর্কে অভিযোগ খারিজ করে দিল আদালত

সোনিয়া গান্ধীর নাগরিকত্ব বিতর্কে অভিযোগ খারিজ করে দিল আদালত

কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নাগরিকত্ব নিয়ে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। বৃহস্পতিবার আদালত জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তি প্রমাণের মতো কোনো উপাদান নেই। এই রায়ের পর কংগ্রেস শিবিরে স্বস্তির হাওয়া বইছে। বিজেপি নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই তার নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছিল।

বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয় গত মাসে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে এই অভিযোগ সামনে এনেছিলেন। তিনি দাবি করেন যে, ১৯৮০ সালের লোকসভা ভোটের আগে নয়াদিল্লি কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় সোনিয়ার নাম উঠেছিল, অথচ সেই সময়েও তিনি ভারতের নাগরিকত্ব পাননি। অমিত মালবীয়র অভিযোগ ছিল যে, গান্ধী পরিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আঁতাত করে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এই কাজ করেছে। তিনি ১৯৮০ সালের ভোটার তালিকার একটি ছবি প্রকাশ করে এটিকে প্রমাণ হিসেবে দেখিয়েছিলেন।

বিজেপির অভিযোগ অনুযায়ী, ১৯৮২ সাল পর্যন্ত সোনিয়ার নাম ভোটার তালিকায় ছিল, অথচ সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী তিনি ১৯৮৩ সালে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। এই বিষয়ে আদালতে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছিল, যেখানে আবেদনকারী বলেন যে, ১৯৮৩ সালের এপ্রিল নাগাদ নাগরিকত্ব পাওয়ার পরেও ১৯৮০ সালের জানুয়ারি থেকে তার নাম ভোটার তালিকায় ছিল, যা সরাসরি নির্বাচনী বিধির লঙ্ঘন।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, বহু পুরোনো এই অভিযোগকে বিজেপি নতুন করে সামনে এনেছিল মূলত রাজনৈতিক আক্রমণের হাতিয়ার হিসেবে। নাগরিকত্ব প্রসঙ্গ তুলে সোনিয়াকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু আদালতের রায়ে সেই চেষ্টা কার্যকর হলো না। তবে বিরোধীরা বলছে, আদালতের এই খারিজ মানেই অভিযোগ ভিত্তিহীন নয়, বরং এটি জনগণের মনে আবারও সন্দেহ তৈরি করেছে।

ইতালিতে জন্মগ্রহণ করা সোনিয়া ১৯৬৮ সালে রাজীব গান্ধীকে বিয়ে করার পর ভারতের রাজনৈতিক পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হন। পরে তিনি ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আসেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আদালতের রায় তাকে আইনি জটিলতা থেকে মুক্ত করলেও বিরোধীদের আক্রমণ এখানেই শেষ হবে না। নির্বাচনী রাজনীতির অঙ্গনে এই বিষয়টিকে বারবার ব্যবহার করা হবে।

 

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত