আপডেট :

        জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচারে রোববার থেকে সাইট ব্লক

        নিউইয়র্কে সিলেটিদের প্রতিবাদ: উন্নয়ন বঞ্চনায় ক্ষোভ

        নিউইয়র্কে ডমেস্টিক সহিংসতা রোধে নতুন বিশেষ ইউনিট

        জুলাই সনদ সই শেষ, বাস্তবায়ন পদ্ধতি এখনও অনিশ্চিত

        ‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক মাইলফলক: ইইউ

        জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে সং ঘ র্ষ: ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মা ম লা

        দেড় মাস পর আবার খুলছে সুপ্রিম কোর্ট

        ২৫ আনসার সদস্য আহত, ১০ জন সিএমএইচে ভর্তি

        রাজনাথ সিংয়ের হুঁশিয়ারি: ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের নাগালে পাকিস্তান

        সালমার তিন বিয়ে ও বিতর্ক: ফিরে দেখা জীবনের গল্প

        চায়ের দোকান থেকে বলিউড: ওম পুরির সিনেমার মতো জীবন

        বলিউড অভিনেত্রীর গর্ভপাতের পর কঠিন অভিজ্ঞতার বর্ণনা

        হোপের দাপটে বাংলাদেশের জয়ের আশা ঝুঁকিতে

        রিশাদের দাপটে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানো জয়

        বর্ধিত মাশুল স্থগিতে ব্যবসায়ীদের আন্দোলন, ৭ দিনের আল্টিমেটাম

        পিআর নিয়ে টালবাহানা সহ্য করবে না জনগণ: চরমোনাই পীর

        গাজার যুদ্ধবিরতি নেতানিয়াহুর জন্য ৬টি বড় বিপদ ডেকে আনল

        পাকিস্তান-আফগানিস্তানে ৪৮ ঘণ্টার নতুন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা

        নাশকতার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা: সরকার

        বিমানবন্দর দ্রুত চালুর প্রতিশ্রুতি দিলেন উপদেষ্টা

কাবুলে প্রতিবাদ সমাবেশে হামলায় নিহত ৮০, আইএস’র দায় স্বীকার

কাবুলে প্রতিবাদ সমাবেশে হামলায় নিহত ৮০, আইএস’র দায় স্বীকার

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে এক প্রতিবাদ সমাবেশে হামলায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৮০ জন, আহত হয়েছে ২৩০ জনেরও বেশি জন।

কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিগোষ্ঠী দাবি করেছে, এ হামলার নেপথ্যে তারাই ছিল।

এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা ও বিবিসি। খবরে বলা হয়েছে, আইএস’র সঙ্গে সম্পর্কিত আমাক বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, আইএস’র দুই যোদ্ধা কাবুলে ‘শিয়া সমাবেশে বিস্ফোরন ঘটিয়েছে’।

কাবুলের দেহ মাজাং চত্বরে চালানো এ হামলার মূল লক্ষ্যবস্তু ছিল সংখ্যালঘু শিয়া হাজারা জনগোষ্ঠীর হাজার হাজার মানুষ। নতুন একটি বিদ্যুৎ লাইন নিয়ে তারা প্রতিবাদে নেমেছিলেন। এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে তালিবান। তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ গণমাধ্যমে পাঠানো এক ইমেইলে জানান, তারা এ হামলার নেপথ্যে ছিলেন না।

প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে আইএস’র উপস্থিতি রয়েছে। কিন্তু এর আগে কখনই কাবুলে চালানো কোন হামলার দায় জঙ্গি সংগঠনটি স্বীকার করেনি। বিবিসি আফগানের এক প্রতিবেদক জানান, ঘটনাস্থলের সর্বত্র রক্ত আর লাশ। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি বলেন, তিনি এ ঘটনায় ‘গভীরভাবে ব্যাথিত’। তিনি যোগ করেন, ‘প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার রয়েছে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার। কিন্তু সুযোগসন্ধানী সন্ত্রাসীরা ভিড়ের মধ্যে ঢুকে এ হামলা চালায়। আহত করে নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্য সহ বহু নাগরিককে হত্যা করে।’ তবে হামলার আগে কাবুল শহরের মূলকেন্দ্রের বিশাল অংশ প্রতিবাদ সভা উপলক্ষে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

প্রতিবাদকারীদের হাতে ছিল ব্যানার। তারা ‘বৈষম্যের মৃত্যু হোক’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিল। তুর্কমেনিস্তান থেকে কাবুলে ৫০০ কিলোভোল্টের ট্রান্সমিশন লাইন শিয়া হাজারা-অধ্যুষিত বামিয়ান ও ওয়ারডাক প্রদেশের মধ্য দিয়ে যাবে না বলে প্রতিবারকারীরা ক্ষুদ্ধ ছিলেন। এ জনগোষ্ঠী মূলত দেশের মধ্যভাগে বসবাস করেন। তারা অনেকদিন ধরেই আফগানিস্তানে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করে আসছিলেন। বিশেষ করে, নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে তালিবান শাসনের সময় তাদের এ অভিযোগ ছিল বেশি। এ সম্প্রদায়ের অনেকে তখন পাকিস্তান, ইরান ও তাজিকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিলেন।


 এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত