আপডেট :

        কারা কফি থেকে বিরত থাকবেন, জেনে নিন—

        পশ্চিমা সমর্থন ছাড়া কি ইসরায়েলের অস্তিত্ব টিকবে? বিশ্লেষকদের মতামত

        নারী ও শিশু নির্যাতন মহামারি পর্যায়েঃ শারমীন মুরশিদ

        ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের তথ্যচিত্র প্রদর্শন ৭ জুলাই

        লিভারপুল ও পর্তুগালের তারকা দিয়াগো জোতা গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত

        জুলাই সনদের দাবিতে অনড় এনসিপি, নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না: নাহিদ

        প্রধানমন্ত্রী থেকে সংস্কৃতিমন্ত্রী: পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার নতুন ভূমিকা

        বিটিএস ফিরছে পুরো দমে: ২০২৬-এ নতুন গান ও গ্লোবাল ট্যুরের প্রতিশ্রুতি

        ‘কফি খাচ্ছিলাম, চিল করছিলাম—হঠাৎ দেখি পাঁচ উইকেট নেই’

        দুপুরে আজ জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

        পহেলগাম হামলার পর নিষেধাজ্ঞা শিথিল, পাকিস্তানি সেলিব্রিটিদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্সেস ফিরল

        করোনার টিকা নিরাপদ, আকস্মিক মৃত্যুর গুজবে জবাব দিল গবেষণা

        জুলাই বিপ্লবের গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ কিছু মানুষঃ বাঁধনের আক্ষেপ

        শুঁটকি পিৎজা: উত্তরায় ঢাকার খাবারের নতুন ট্রেন্ড সেট করছে

        অর্থ উপদেষ্টার বিপাকে পড়ার কারণ এনবিআর নিয়ে প্রকাশিত খবর

        বাংলাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী জীনাত রেহানা প্রয়াত হয়েছেন

        টাইগারদের শক্তিশালী শুরু: প্রথম সেশনেই তিন উইকেটের ধাক্কা

        ট্রাম্পের বাজেট বিল নিয়ে মাস্কের তীব্র সমালোচনা: শত্রুতার শুরু

        স্বৈরাচারের ছায়া মুছে ফেলতে তৎপর সমাজ

        ধর্ষকের শাস্তি সবার সামনে হোক: সোহম

আমেরিকার মহাযুদ্ধ: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি

আমেরিকার মহাযুদ্ধ: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি

বাংলাদেশের মতো আমেরিকাতেও ১৮ বছর বয়স হলে ভোট দেওয়ার অধিকার মেলে। প্রতি চার বছর অন্তর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। তাও আবার একটি নির্দিষ্ট দিনে। প্রতিবারই নভেম্বরের প্রথম মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ হয়। জয়ী প্রার্থীর প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার দিনটাও নির্দিষ্ট। সেটা হল ২০ জানুয়ারি। গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এই দুটি দিনের নড়চড় হয় না।
এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কীভাবে এই নির্বাচন হয়।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে থাকে গোটা বিশ্ব। হোয়াইট হাউসের লড়াইকে ঘিরে উত্সাহের অভাব নেই। কারণ এটি এমন এক নির্বাচন, যেখানে কেউ বেশি ভোট পেলেই চোখ বুজে জিতে যাবেন, এমনটা নাও হতে পারে। কম ভোট পেয়েও, কোনও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী যদি বেশি সংখ্যক ইলেক্টরাল ভোট পেয়ে যান, শেষ হাসি হাসবেন তিনিই।
আমেরিকায় রয়েছে ৫২টি প্রদেশ এবং ডিস্ট্রিক্ট অফ কলম্বিয়া। সব প্রদেশের প্রতিটি মানুষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেন। প্রতিটি প্রদেশ বা রাজ্য থেকে একজন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হয়। প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট, ব্যালটে এই দুটি পছন্দের উল্লেখ থাকে। প্রথমে একটি রাজ্যের সব ভোট গোণা হয়। যে দলের ঝুলিতে সবচেয়ে বেশি ভোট যায়, ওই রাজ্য থেকে তাঁকেই সমর্থন করা হয়। কিন্তু শুধুমাত্র রাজ্য ভিত্তিক পছন্দের ফলাফলেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ হয় না। আমেরিকার বা ৫২টি রাজ্যের কোনওটি আয়তনে বড় আবার কোনওটি ছোট। কোনও রাজ্যে জনসংখ্যা বেশি, আবার কোনও রাজ্যে তা খুবই কম। স্বাভাবিক ভাবেই যে রাজ্যের লোকসংখ্যা বেশি, নির্বাচনে সেই রাজ্যের প্রভাবও বেশি।
অথচ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিটি রাজ্যেরই যথেষ্ট পরিমাণ ভূমিকা থাকা উচিত। সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে ইলেক্টরের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। নির্বাচনে কোন রাজ্যের প্রভাব কত, ইলেক্টরদের মাধ্যমেই তা নির্ধারিত হয়। আমেরিকার প্রতিটি রাজ্যে দুজন করে সেনেটর থাকেন। রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত মোট জেলার সংখ্যা এবং তার সঙ্গে দুজন সেনেটরের সংখ্যা যোগ করলে যেটা দাঁড়ায়, সেটাই হল সেই রাজ্য থেকে মোট ইলেক্টরের সংখ্যা। কোনও রাজ্য থেকে যিনি জয়ী হবেন, তিনি ওই রাজ্যের সব ইলেক্টরের ভোটই পাবেন। তাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেক্টরকে ব্যালটবন্দি করা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ৫৩৮ টি ইলেক্টরাল ভোটের মধ্যে কেউ যদি একক ভাবে ২৭০টি পান, তাহলে তিনিই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবেন। অর্থাত্ হোয়াইট হাউসের দখল নেবেন তিনিই।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত