দাউদ মার্চেন্টকে ভারতে হস্তান্তর
দুবাইভিত্তিক মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী ভারতীয় ‘সন্ত্রাসী’ আবদুর রউফ মার্চেন্ট ওরফে দাউদ মার্চেন্টকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে হস্তান্তর করা হয়েছে, এমন বলে দাবি করা হয়েছে ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকার প্রতিবেদনে। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণে এ প্রতিবেদনের আপডেট প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ দাউদ মার্চেন্টকে মেঘালয়ে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাছে হস্তান্তর করেছে। তাকে নিজেদের কাস্টোডিতে নেওয়ার জন্য বুধবারই মেঘালয়ে হাজির হয়েছিল মুম্বাই ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের একদল কর্মকর্তা। মেঘালয় থেকে বৃহস্পতিবার তাকে মুম্বাইয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত ৩ নভেম্বর দাউদ মার্চেন্টকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন বাংলাদেশের আদালত। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম এ কে এম মঈন উদ্দিন সিদ্দিকী এ আদেশ দেন।
এরপর ৬ নভেম্বর বিকেলে দাউদ মার্চেন্টকে কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে সোমবার (৭ নভেম্বর) সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন কারা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল ইকবাল হাসান।
সোমবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মুক্তি পাওয়ার পর দাউদ মার্চেন্ট বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে নেই এবং তাকে পুশব্যাক করার দরকার নেই। তার ব্যাপারে যা করার ভারতীয় দূতাবাস করবে।
দাউদ মার্চেন্ট ভারতের বিখ্যাত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি-সিরিজের কর্ণধার গুলশান কুমার হত্যা মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি। ১৯৯৭ সালের ১২ আগস্ট গুলশান কুমারকে মুম্বাইয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
২০০৯ সালের ২৭ মে দাউদ মার্চেন্টকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এক সহযোগীসহ গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। তখন জাল পাসপোর্ট তৈরি ও অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। প্রায় পাঁচ বছর কারাগারে থাকার পর ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর দাউদ মার্চেন্ট জামিন পান। ওই বছরের ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে পরের দিনই (২ ডিসেম্বর) ৫৪ ধারায় দাউদ মার্চেন্টকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দাউদ মার্চেন্টকে কারাগারে পাঠানো হয়। তখন আদালতে দেওয়া ডিবি পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করায় দাউদ মার্চেন্টকে আটক করা হয়। তার সঙ্গে কোনো পাসপোর্ট বা ভিসা ছিল না। পুলিশের ধারণা, বাংলাদেশে কোনো অপরাধ সংঘটন করতে বা ভারতে বড় কোনো অপরাধ করে দাউদ মার্চেন্ট বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন।
৫৪ ধারায় আটকের পর থেকেই দাউদ মার্চেন্ট কারাগারে বন্দি ছিলেন।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
শেয়ার করুন