আপডেট :

        জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচারে রোববার থেকে সাইট ব্লক

        নিউইয়র্কে সিলেটিদের প্রতিবাদ: উন্নয়ন বঞ্চনায় ক্ষোভ

        নিউইয়র্কে ডমেস্টিক সহিংসতা রোধে নতুন বিশেষ ইউনিট

        জুলাই সনদ সই শেষ, বাস্তবায়ন পদ্ধতি এখনও অনিশ্চিত

        ‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক মাইলফলক: ইইউ

        জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে সং ঘ র্ষ: ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মা ম লা

        দেড় মাস পর আবার খুলছে সুপ্রিম কোর্ট

        ২৫ আনসার সদস্য আহত, ১০ জন সিএমএইচে ভর্তি

        রাজনাথ সিংয়ের হুঁশিয়ারি: ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের নাগালে পাকিস্তান

        সালমার তিন বিয়ে ও বিতর্ক: ফিরে দেখা জীবনের গল্প

        চায়ের দোকান থেকে বলিউড: ওম পুরির সিনেমার মতো জীবন

        বলিউড অভিনেত্রীর গর্ভপাতের পর কঠিন অভিজ্ঞতার বর্ণনা

        হোপের দাপটে বাংলাদেশের জয়ের আশা ঝুঁকিতে

        রিশাদের দাপটে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানো জয়

        বর্ধিত মাশুল স্থগিতে ব্যবসায়ীদের আন্দোলন, ৭ দিনের আল্টিমেটাম

        পিআর নিয়ে টালবাহানা সহ্য করবে না জনগণ: চরমোনাই পীর

        গাজার যুদ্ধবিরতি নেতানিয়াহুর জন্য ৬টি বড় বিপদ ডেকে আনল

        পাকিস্তান-আফগানিস্তানে ৪৮ ঘণ্টার নতুন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা

        নাশকতার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা: সরকার

        বিমানবন্দর দ্রুত চালুর প্রতিশ্রুতি দিলেন উপদেষ্টা

বাবার জন্য ভালোবাসা প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ

বাবার জন্য ভালোবাসা প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ

প্রশ্ন উঠতেই পারে, বাবাকে ভালোবাসার জন্যে কী শুধুই একটি দিন? বাবার প্রতি সন্তানের  চিরন্তন ভালোবাসার প্রকাশ তো প্রতিদিনই ঘটে। প্রশ্ন উঠুক, তবু পৃথিবীর মানুষ বছরের একটা দিন বাবার জন্য রেখে দিতে চায়, যেমনটা রাখা হয় মায়ের জন্য। তাই আজ বাবা দিবস, শুধু বাবার জন্য একটি বিশেষ দিন।

বিশ্বের প্রায় ৫২টি দেশে এ দিবসটি পালিত হয়। পিতার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য দিনটি বিশেষভাবে উৎসর্গ করা হয়ে থাকে। প্রতি বছর জুনের তৃতীয় রবিবার পালিত হয় ‘বাবা দিবস’। এই ধারাবাহিকতায় এ বছর  ১৮ জুন দিবসটি পালিত হচ্ছে।

‘বাবা দিবস’ পালন শুরু হয় গত শতাব্দীর শুরুর দিকে। উদ্দেশ্য একটাই- পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি সন্তানদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশ। ধারণা করা হয়, ১৯০৮ সালের ৫ জুলাই সর্বপ্রথম ‘বাবা দিবস’ পালিত হয় আমেরিকার পশ্চিম ভার্জেনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায়।

পৃথিবীব্যাপী ‘বাবা দিবস’ উদযাপন হয় ব্যাপক আয়োজনে মধ্য দিয়ে। তবে শুরুর দিকে কিন্তু এতোটা আয়োজন ছিলো না। আসলে ‘মা দিবস’ নিয়ে মানুষ যতটা উৎসাহ দেখাতো, বাবা দিবসে তেমনটা দেখাতো না। ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। ১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে বাবা দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করার জন্য একটা বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯২৪ সালে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। অবশেষে ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন ‘বাবা দিবস’কে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাবাকে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা হলেও ভালোবাসার আবেদনে নেই একটুও ভিন্নতা। জার্মান ভাষায় বাবা শব্দটি হচ্ছে 'ফ্যাট্যা' আর ড্যানিশ ভাষায় 'ফার'। আফ্রিকান ভাষায় 'ভাদের' বলা হয় বাবাকে। চীনারা বাবাকে ডাকেন ‘বা’ বলে। কানাডিয়ান ভাষায় বাবা হচ্ছেন 'পাপা' আর ক্রোয়েশিয়ান ভাষায় 'ওটেক'। পর্তুগিজ ভাষায় বাবা ডাক হচ্ছে 'পাই'। ডাচ ভাষায় পাপা, ভাডের আর পাপাই এই তিনটি হচ্ছে বাবা ডাক। সবচাইতে বেশী প্রতিশব্দ ইংরেজি ভাষাতে। ইংরেজরা বাবাকে ফাদার, ড্যাড, ড্যাডি, পাপা বলে ডাকেন। ফিলিপিনো ভাষাও কম যায় না, এই ভাষায় বাবা হচ্ছেন তাতেই, ইতেই, তেয় আর আমা। হিব্রু ভাষায় বাবা হচ্ছে 'আব্বাহ্‌'। হিন্দি ভাষার বাবা ডাকটি হলো 'পিতাজী'। আবার ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় 'বাপা' কিংবা 'আইয়্যাহ'। জাপানিরা তাদের ভাষায় বাবাকে ডাকেন ওতোসান, পাপা। পুর্ব আফ্রিকায় অবশ্য বাবাকে 'বাবা' বলেই ডাকা হয়। হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় 'পাপা' ছাড়াও বাবা শব্দের অনেকগুলো প্রতিশব্দ আছে, যেমন- আপা, আপু, এদেসাপা।

‘বাবা দিবস’ পালনের ক্ষেত্রেও দেশ ভেদে দেখা যায় বৈচিত্র্য। এদিন ছেলেমেয়েরা তাদের বাবাকে কোনো না কোনো উপহার দিতে খুব পছন্দ করেন। আর বাবারাও ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে উপহার পেয়ে বেশ অভিভূত হন। এ গিফট দেয়ার ক্ষেত্রেও দেশ ভেদে দেখা যায় ভিন্নতা। কোনো কোনো দেশে ছেলেমেয়েরা বাবাকে কার্ড বা ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে ‘বাবা দিবস’ এর শুভেচ্ছা জানান। আবার কোথাও কোথাও বাবাকে ছেলেমেয়েরা নেকটাই ও উপহার দেন। অনেকে আবার ‘বাবা দিবস’ উপলক্ষ্যে কেক কাটার আয়োজনও করেন। অনেকে বাবাকে উপহার দেন মগ, কলম, পোশাক ইত্যাদি।

অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার পালিত হয় ‘বাবা দিবস’। দিনটিকে ঘিরে সন্তানরা বাবার জন্য করেন নানা আয়োজন। নতুন প্রজন্মের কাছে মা দিবস-বাবা দিবসের ধারণাগুলো দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। হাজার কষ্ট সয়ে তিলে তিলে যে সন্তানকে বড় করেছেন একজন বাবা, তাকে ঘিরেই এদিন হয় ব্যতিক্রমী উৎসব।

দিবসটিকে সামনে রেখে পাঞ্জাবির দোকান, কার্ডের দোকান, ফুলের দোকানে, উপহারের দোকানে ভিড় জমান সন্তানরা। বাবাকে এই দিবসে শ্রেষ্ঠ উপহার দেওয়া নিয়ে চলে জল্পনা-কল্পনা। সব বয়সীরাই এই দিনটিতে তার বাবাকে একটি সুন্দর উপহার কিংবা একটু সঙ্গ দেওয়ার জন্য আগে থেকেই নানা পরিকল্পনা করে থাকেন।

ইদানিং ‘বাবা দিবস’ ছড়িয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। অনেকেই বাবার সঙ্গে তোলা ছবিকে নিজের প্রোফাইল বা কাভার ছবিতে রাখেন, স্ট্যাটাস লিখে প্রকাশ করেন বাবার জন্য ভালোবাসা। যাদের বাবা বেঁচে নেই, তারাও এদিন করেন স্মৃতিচারণ।

সব মিলিয়ে ‘বাবা দিবস’ উদযাপন এখন বেশ প্রচলিত। সবাই এদিনটিতে চান বাবাকে না বলা অনেক কথা বলতে, বাবার প্রতি নিজের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশ করতে। এদিন বাবাকে জানিয়ে দিতে চান- ভালোবাসি বাবা!


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত