আপডেট :

        জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচারে রোববার থেকে সাইট ব্লক

        নিউইয়র্কে সিলেটিদের প্রতিবাদ: উন্নয়ন বঞ্চনায় ক্ষোভ

        নিউইয়র্কে ডমেস্টিক সহিংসতা রোধে নতুন বিশেষ ইউনিট

        জুলাই সনদ সই শেষ, বাস্তবায়ন পদ্ধতি এখনও অনিশ্চিত

        ‘জুলাই সনদ’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক মাইলফলক: ইইউ

        জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে সং ঘ র্ষ: ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মা ম লা

        দেড় মাস পর আবার খুলছে সুপ্রিম কোর্ট

        ২৫ আনসার সদস্য আহত, ১০ জন সিএমএইচে ভর্তি

        রাজনাথ সিংয়ের হুঁশিয়ারি: ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের নাগালে পাকিস্তান

        সালমার তিন বিয়ে ও বিতর্ক: ফিরে দেখা জীবনের গল্প

        চায়ের দোকান থেকে বলিউড: ওম পুরির সিনেমার মতো জীবন

        বলিউড অভিনেত্রীর গর্ভপাতের পর কঠিন অভিজ্ঞতার বর্ণনা

        হোপের দাপটে বাংলাদেশের জয়ের আশা ঝুঁকিতে

        রিশাদের দাপটে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানো জয়

        বর্ধিত মাশুল স্থগিতে ব্যবসায়ীদের আন্দোলন, ৭ দিনের আল্টিমেটাম

        পিআর নিয়ে টালবাহানা সহ্য করবে না জনগণ: চরমোনাই পীর

        গাজার যুদ্ধবিরতি নেতানিয়াহুর জন্য ৬টি বড় বিপদ ডেকে আনল

        পাকিস্তান-আফগানিস্তানে ৪৮ ঘণ্টার নতুন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা

        নাশকতার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা: সরকার

        বিমানবন্দর দ্রুত চালুর প্রতিশ্রুতি দিলেন উপদেষ্টা

বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ে চুরি করতে যেতেন ‘সুপার চোর’

বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ে চুরি করতে যেতেন ‘সুপার চোর’

পরনে নামিদামি ব্র্যান্ডের পোশাক, হাতে দামি মোবাইল ফোন। চাল-চলন কোনও নায়কের চেয়ে এক বিন্দুও কম নয়। চুরি করতে যেতেন বিলাসবহুল সেডান গাড়িতে চেপে। এমনই এক ‘সুপার’ সিঁধেল চোরকে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।

নাম সিদ্ধার্থ মেহরোত্র। ২৭ বছরের সিদ্ধার্থ এক প্রাক্তন ব্যাংককর্মীর ছেলে। দক্ষিণ দিল্লির বসন্তকুঞ্জ এলাকায় গত ১০ মাস ধরে শুধুমাত্র মন্ত্রী, আমলা এবং রাজনীতিকদের ঘরেই সিঁধ কাটছিলেন। গত ১৫ আগস্ট দিল্লির পিতমপুরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার দুই সহযোগীকেও। জেরায় অপরাধ স্বীকার করেছেন তারা।

সিদ্ধার্থ পুলিশকে বলেন, ‘বেছে বেছে শুধুমাত্র মন্ত্রী, আমলা এবং রাজনীতিকদেরই ঘরেই সিঁধ কাটতাম।’

তবে সে নাকি সাধারণ কোনো চোর নয়। তার চুরি করার পদ্ধতি একেবারে আলাদা।

দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, অনেক ভেবে অভিজাত বসন্তকুঞ্জ এলাকাকে বেছে নিয়েছিল সিদ্ধার্থ। তার চালচলন একেবারেই চোরের মতো ছিল না। বিলাসবহুল সেডান গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। পরেন দামি ব্র‌্যান্ডের জামা–কাপড়। তাই তাকে দেখে কারও মনে সন্দেহ জাগেনি। যে বাড়িগুলিতে আলো জ্বলত না সেসব বাড়ি নিশানা করতেন তারা। প্রথমে কলিং বেল বাজাতেন। বাড়ির কেউ দরজা খুলতে এলে, ভুল ঠিকানা এসে পড়েছেন বলে বাহানা দেখিয়ে সটকে পড়তেন। কিন্তু একাধিকবার বেল বাজানোর পরও কেউ বেরিয়ে না এলে বাড়িতে কেউ নেই বলে বুঝে যেতেন তারা। তখনই শুরু হত অপারেশন। আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে জানালা কিংবা গ্রিল কেটে চুপিসারে বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়তেন। সাফ করে দিতেন টাকা-পয়সা, অলঙ্কার।

এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রথম সিদ্ধার্থ মেহরোত্রার কাজকর্মের হদিস পায় পুলিশ। তবে তার নাগাল পেতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়।

এর আগে ২০১৫ সালে নয়ডা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। অনলাইন সার্চ ইঞ্জিন গুগলের মাধ্যমে সেই ঘটনার বিস্তারিত তথ্য হাতে পায় পুলিশ। তারপর সিদ্ধার্থের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের হদিস মেলে। ১৫ অগস্ট পিতমপুরার একটি রিসর্টে ছুটি কাটাচ্ছিলেন তিনি। ফাঁদ পেতে সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উদ্ধার করা হয়েছে, ১১টি সোনার চেন, ৪টি আংটি, ৮ জোড়া কানের দুল, ২টি বালা, ২০০ মার্কিন ডলার, ইন্দোনেশিয়ার ১ লাখ রুপিয়া, নেপালের ২০ রুপি, ১টি ৪২ ইঞ্চির স্যামসাং এলইডি টিভি, সোনি প্লে স্টেশন, ভিআর প্লেয়ার, ১টি ল্যাপটপ, এবং ১টি টিসট ঘড়ি।

এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত