উত্তর কোরিয়ায় পরমাণু কেন্দ্রে ধস, ২০০ জনের মৃত্যু
একদিকে যখন একের পর এক দেশকে পরমাণু বিস্ফোরণের হুমকি দিচ্ছে কিম জং উন, তখন খাস উত্তর কোরিয়াতেই নিউক্লিয়ার সাইটে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল অন্তত ২০০ জনের। মাটির তলায় একটি বিশেষ টানেল তৈরির সময় ওই পরমাণু ঘাঁটিতে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মাটি ধসে টানেলের মধ্যে আটকে পড়ে অন্তত ১০০ জন। তাদের উদ্ধার করতে গেলে ফের ধস নামে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২০০। এটাই ছিল উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের পরমাণু বোমা পরীক্ষার জায়গা।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ওই দুর্ঘটনাস্থল থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হতে পারে, যা মানুষের পক্ষে ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াতে পারে। একটা পুরো হেমিস্ফেয়ার জুড়ে তৈরি হতে পারে রেডিওঅ্যাকটিভ ক্লাউড। জাপানের ‘টিভি আসাহি’ প্রথম এই খবর প্রকাশ্যে এনেছে। যদিও উত্তর কোরিয়ার তরফ থেকে এই দুর্ঘটনার ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
গত ৩ সেপ্টেম্বর ‘পিয়ংইয়ং-রি’ নামে এই নিউক্লিয়ার সাইট থেকেই ষষ্ঠ পরমাণু বোমা পরীক্ষা করেন কিম জং উন। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা কিনা সেটাও স্পষ্ট নয়। সেপ্টেম্বরেই প্রথম হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। এরপর চিন একটি সতর্কবার্তাও দেয় উত্তর কোরিয়াকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের শুরু থেকেই পারমাণবিক অস্ত্রের প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া৷ একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু বোমার পরীক্ষাও চালাচ্ছে তারা৷ ফলে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে কোরীয় উপদ্বীপ অঞ্চলে।
নভেম্বরেই দক্ষিণ কোরিয়া সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডান্ট৷ এছাড়াও জাপান, চিন, ভিয়েতনাম ও ফিলিপিনসে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর৷ এশিয়া সফরে পিয়ংইয়ং-এর প্রতি কি বার্তা দেন তিনি, সেদিকে তাকিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহল৷ উল্লেখ্য, সম্প্রতি গুয়াম নিয়ে উত্তর কোরিয়া ও আমেরিকার মধ্যে বেশ উত্তেজনার সৃষ্টি হয় । এই প্রসঙ্গে চিনও আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। তারা বলেছিল, যদি কেউ উত্তর কোরিয়ার উপর আক্রমণ করে তবে চিন চুপ থাকবে না।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
শেয়ার করুন