দুই শতাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
এবার ইউনেস্কো থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল
ইউনেস্কো ত্যাগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পথ অনুসরণ করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। ‘দখলদার’ দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগামী সপ্তাহের মধ্যে সংস্থাটি থেকে ইসরায়েলের নাম প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।
২৪ ডিসেম্বর রোববার দেশটির মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকের শুরুতে নেতানিয়াহু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেওয়া নির্দেশের বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো থেকে তার দেশ বেরিয়ে যাবে। আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে ইউনেস্কো থেকে ইসরায়েলের নাম প্রত্যাহার করে নিতে দেশটির কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট, একতরফা ও অযৌক্তিক মনোভাবের কারণে সংগঠনটি থেকে বেরিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।’
সংস্থাটিকে ইসরায়েলবিরোধী হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা পর থেকে নানামূখী সমালোচনার মধ্যে থাকা নেতানিয়াহু নিজের দেশকে ইউনেস্কো থেকে গুটিয়ে নেয়ার তথ্য জানালেন।
এর আগে ‘ইসরাইল বিরোধী’ অভিহিত করে ইউনেস্কো ছেড়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্যারিস-ভিত্তিক ইউনেস্কো প্রতিনিধিদের প্রত্যাহার করে সেখানে 'পর্যবেক্ষণ মিশন' স্থাপন করবে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া ইউনেস্কোতে আর্থিক ঘাটতি যেভাবে বাড়ছে তা নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র চিন্তিত এবং ওই সংস্থায় আমূল সংস্কার প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ইউনেস্কো জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ সম্পর্কে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে, যেখানে ওই পবিত্র স্থানের সঙ্গে ইহুদীদের সম্পর্কের কথা একেবারেই উল্লেখ করা হয়নি। এ কারণে ইসরায়েল সংস্থাটির সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়। পরে সংস্থাটি পশ্চিম তীরের প্রাচীন শহর হেবরনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করলে এর কড়া সমালোচনা করেছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এদিকে ২০১১তে ইউনেসকো ফিলিস্তিনিদের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রতিবাদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সে বছর আর্থিক সহায়তা করেনি। এর বাইরেও ইউনেসকোর নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ছিল।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
শেয়ার করুন