আপডেট :

        মিয়ানমারের আরও ৪০ সীমান্তরক্ষী টেকনাফে

        রাজউকের প্লট-ফ্ল্যাট বরাদ্দ এলো নতুন বিধিমালা

        সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু

        চুক্তিতে যেতে আগ্রহ নন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন

        গণহত্যার প্রতিবাদে চীন বর্জনের ডাক

        রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির আশা

        টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে আবহাওয়ায় ব্যপক পরিবর্তন

        হানিফ ফ্লাইওভারের উপরের যানজটকে সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য সমন্বয় সভা

        মালদায় দেবের হেলিকপ্টারে আগুন

        প্যারিসের সায়েন্সেস পো ইউনিভার্সিটি থেকে গাজাপন্থী কিছু শিক্ষার্থীকে সরিয়েছে পুলিশ

        চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা পাকিস্তানের স্যাটেলাইট

        চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা পাকিস্তানের স্যাটেলাইট

        এজলাস কক্ষে এসি স্থাপন সময়ের দাবি

        জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে বাংলাদেশ

        জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে বাংলাদেশ

        ট্রেনে গুনতে হবে বাড়তি ভাড়া

        রাজশাহীর গোদাগাড়ির ছেলে রাফায়েল টুডু ১২ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা

        রাজশাহীর গোদাগাড়ির ছেলে রাফায়েল টুডু ১২ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা

        স্বাধীন সাংবাদিকতাকে নিরুদ্দেশ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব

        কেজরিওয়াল ও রাহুলকে ঘিরে চড়ছে ভোটের পার

রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর ও মসজিদ ভেঙ্গে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করছে মিয়ানমার

রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর ও মসজিদ ভেঙ্গে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করছে মিয়ানমার

দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া রোহিঙ্গাদের এলাকাগুলোতে বাড়ি-ঘর ও মসজিদ ভেঙ্গে সেখানে ঘাঁটি তৈরি শুরু করেছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবির উল্লেখ করে গতকাল সোমবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এসব কথা জানিয়েছে।

গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কঠোর দমন অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। তাদের এই অভিযানের মুখে ঘরবাড়ি ছেড়ে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ একে জাতিগত নিধন উল্লেখ করলেও মিয়ানমার সেনাবাহিনী তা অস্বীকার করেছে।

অভিযান চলাকালে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সাড়ে তিন শতাধিক গ্রামে আগুন লাগিয়ে সেগুলো ধ্বংস করে দেয় সামরিক বাহিনী।

গতকাল সোমবার অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরপরও যে গ্রাম ও বাড়িগুলো রক্ষা পেয়েছিল অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, সেগুলো বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সেসব এলাকায় ভবন ও রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে অন্তত তিনটি নতুন ঘাঁটি নির্মাণাধীন রয়েছে বলে মানবাধিকার গোষ্ঠীটি জানিয়েছে।

এমনকি একটি ঘটনায়, যে রোহিঙ্গা গ্রামবাসী মিয়ানমারে থেকে গিয়েছিলেন তাদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে সেখানে একটি সামরিক ঘাঁটিতে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টির ক্রাইসিস রেসপন্স ডিরেক্টর তিরানা হাসান বলেছেন, ‘রাখাইন রাজ্যে আমরা যা দেখেছি তা হচ্ছে, নাটকীয় গতিতে সামরিক বাহিনীর ভূমি দখল। যেই নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তাদের আবাসনের জন্য সেখানে ঘাঁটি গড়ে তোলা হচ্ছে।’

অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এমন অন্তত চারটি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে অথবা মসজিদগুলোর ছাদ বা অন্যান্য অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। এমন একটি সময়ে এসব করা হয়েছে যখন সেখানে উল্লেখযোগ্য কোনো সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিগুলোতে দেখা গেছে, রোহিঙ্গাদের একটি গ্রামে সীমান্ত পুলিশের পোস্টের জন্য ভবন গড়ে তোলা হচ্ছে যার পাশেই একটি মসজিদ ছিল, যা সম্প্রতি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

অ্যামনেস্টির এসব অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য নোবেল বিজয়ী অং সান সুচির সরকারের কোনো মুখপাত্র বা সামরিক বাহিনীর কোনো মুখপাত্রকে তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। তবে মিয়ানমারের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, যেসব রোহিঙ্গারা ফিরে আসছেন তাদের জন্য নতুন বাড়ি নির্মাণের জন্য গ্রামগুলো বুলডোজার দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে।
নভেম্বরে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সম্প্রতি একটি চুক্তি হয়েছে। যারা সেখানে ফিরে যাবে তাদের থাকার জন্য অস্থায়ী শিবির তৈরি আছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার। অথচ প্রক্রিয়াটি এখনও শুরুই হয়নি।

অ্যামনেস্টি বলেছে, রোহিঙ্গারা যে এলাকায় বসবাস করতো তার ‘আকৃতিগত পরিবর্তন’ করে ফেলছে মিয়ানমার। সম্ভবত নিরাপত্তা বাহিনী ও রোহিঙ্গা নন এমন গ্রামবাসীকে জায়গা দিতে এমনটি করা হচ্ছে, যেন শরণার্থীরা ফিরে আসতে না চায়।
মানবাধিকার গোষ্ঠীটি বলেছে, ‘যেসব রোহিঙ্গা নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত ও ধ্বংস হওয়া থেকে এড়াতে পেরেছে, তারা ফিরে এসে সেই বাহিনীরই এত কাছে বসবাস করতে স্বস্তিবোধ করবে না। বিশেষ করে যখন মানবাধিকার লঙ্ঘন করলেও জবাবদিহি করতে হয় না এমন পরিস্থিতিতে।’


এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত