রাশিয়ার শপিং মলে ভয়াবহ আগ্নিকাণ্ড, নিহত ৬৪
রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় একটি শপিং মলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে।
সাইবেরীয় শহর কেমেরোভোয় ওই ঘটনায় অনেকে নিখোঁজ রয়েছে বলে রুশ সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে। এর আগে রুশ কর্মকর্তারা ৬৮ জন নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়ে বলেছিলেন এদের মধ্যে ৪১টি শিশু রয়েছে। পরে তারা জানান ওইসব শিশুর অনেকেই নিহত হয়েছে।
রোববার ছুটির দিনে বিকেলে উইন্টার চেরি কমপ্লেক্স নামের ওই শপিং মলে আগুন লাগে। এসময় কমপ্লেক্সের সিনেমা হলে অনেক লোক ছিল। আগুনে ভবনটির বেশ ক্ষতি হয়েছে এবং সেটি ধসে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রুশ বার্তা সংস্থা ইতার-তাস জানিয়েছে, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা প্রায় একশ মানুষকে শপিং মল থেকে বের করে আনে এবং আরও ২০ জনকে বিভিন্ন ফ্লোর থেকে উদ্ধার করেছে। কিন্তু কিভাবে ওই আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি।এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে ।
রাজধানী মস্কো থেকে তিন হাজার ৬০০ কিলোমিটার (২২০০ মাইল) দূরে রাশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কয়লা উৎপাদন কেন্দ্র কেমেরোভো। সেখানে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে উইন্টার চেরি কমপ্লেক্সের ওপরের তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আসা ভিডিওতে দেখা যায়, আগুন থেকে বাঁচার জন্য কেউ কেউ জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ছেন।
উদ্ধার কাজের জন্য কর্তৃপক্ষ সাড়ে ছয়শ’রও বেশি লোক নিয়োজিত করেছে। ফায়ার সার্ভিসের ২৮৮ কর্মীর পাশাপাশি আকাশ থেকে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন পুরো এলাকা থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। ১৭ ঘণ্টা চেষ্টার পর তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
২০১৩ সালে উইন্টার চেরি কমপ্লেক্স যাত্রা শুরু করে। এতে একটি বিনোদন কমপ্লেক্স, সিনেমা হল, রেস্তেরাঁ ও পোশা প্রাণীদের একটি ছোট্ট চিড়িয়াখানাও রয়েছে। কেমেরোভো অঞ্চলের ডেপুটি গভর্নর ভ্লাদিমির চেরনভ জানান, শপিং মলের একটি মুভি থিয়েটার থেকেই পাওয়া গেছে ১৩ জনের লাশ।
এদিকে কেমেরোভোর জরুরি বিভাগের উপ প্রধান ইয়েভগেনি দেদিউখিন জানিয়েছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী আগুন ওই শপিং মলের প্রায় ১৫০০ বর্গমিটার জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুটি সিনেমা হলের ছাদ ধসে পড়ে। তিনি আরো জানান, যে ৩৭ জনের লাশ পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে নয় শিশু রয়েছে।
কেমেরোভো থেকে ইনস্টাগ্রামে দেওয়া একটি ছবিতে দেখা যায় আহতদের স্বেচ্ছায় রক্ত দেওয়ার জন্য সেখানে একটি হাসপাতালের বাইরে লম্বা লাইন পড়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
শেয়ার করুন