আপডেট :

        সুন্দরবনে সন্ধ্যায়ও বিক্ষিপ্তভাবে অর্ধশতাধিক স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়

        উচ্চশিক্ষাকে ডিজিটালাইজেশনে আওতায় আনার সিদ্ধান্ত

        কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ওপরে ড্রোন, পাহারায় পুলিশ’

        বাংলাদেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয় বরং উন্মুক্ত

        বাংলাদেশের গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয় বরং উন্মুক্ত

        দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে হতে পারে ঝড়-বৃষ্টি

        দীর্ঘ সময় পর ঢাকা-জয়দেবপুরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

        জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পারফর্ম বিবেচনা করে বিশ্বকাপ ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে

        জবিতে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাড মেকিং প্রতিযোগিতা

        মিয়ানমারের আরও ৪০ সীমান্তরক্ষী টেকনাফে

        রাজউকের প্লট-ফ্ল্যাট বরাদ্দ এলো নতুন বিধিমালা

        সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু

        চুক্তিতে যেতে আগ্রহ নন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন

        গণহত্যার প্রতিবাদে চীন বর্জনের ডাক

        রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির আশা

        টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে আবহাওয়ায় ব্যপক পরিবর্তন

        হানিফ ফ্লাইওভারের উপরের যানজটকে সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য সমন্বয় সভা

        মালদায় দেবের হেলিকপ্টারে আগুন

        প্যারিসের সায়েন্সেস পো ইউনিভার্সিটি থেকে গাজাপন্থী কিছু শিক্ষার্থীকে সরিয়েছে পুলিশ

        চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা পাকিস্তানের স্যাটেলাইট

নীরবেই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় যে ৫ রোগ!

নীরবেই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় যে ৫ রোগ!

আমাদের শরীরে অনেক রোগ আছে, যা চিকিৎসায় সহজে ধরা পড়ে না। তবে এসব শরীরের মধ্যে প্রকট আকার ধারণ করার পরে লক্ষণ দেখে বুঝতে হয়। লক্ষণ দেখে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা না করলে শরীরে অনেক ক্ষতি করে। যে কোনো সময় গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। তাই এগুলোকে নীরব ঘাতক বলা হয়। শুধু তাই নয়, নীরবে শরীরের ক্ষতি করে মৃত্যুর দিকেও ঠেলে দিতে পারে। তাই সবার এ রোগগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত।

প্রথমত উচ্চরক্তচাপ, যাকে হাইপারটেনশনও বলা হয়। চিকিৎসকরা এই সমস্যাকে নীরব ঘাতক বলে থাকেন। কারণ উচ্চরক্তচাপ সহজে ধরা যায় না। দীর্ঘদিন ধরে কোনো বাহ্যিক লক্ষণ ছাড়াই উচ্চরক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। যার ফলে রক্তনালি ব্লক হয়ে গিয়ে নানা রকম জটিলতা দেখা দিতে পারে। ব্লাড প্রেশারের চিকিৎসা না হলে, হতে পারে নানা অসুখ। হার্টঅ্যাটাক এবং স্ট্রোকসহ আরও নানা গুরুতর রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই নিজেকে সুস্থ-সবল রাখতে নিয়মিত ব্লাড প্রেশারের চিকিৎসা করা দরকার। হাইপ্রেশার না থাকলেও সময়ে সময়ে প্রেশার মাপান। তবেই ভালো থাকতে পারবেন।

উচ্চ কোলেস্টেরলকেও নীরব ঘাতক বলা হয়। এ ক্ষেত্রেও রোগীর মধ্যে সহজে কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না। কোলেস্টেরলের মাত্রা মারাত্মক পর্যায়ে গেলে তবেই লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। এ অবস্থায় রক্ত প্রবাহ খারাপ কোলেস্টেরল অনেক বেড়ে যায়। বাড়তি কোলেস্টেরল রক্ত প্রবাহের স্বাভাবিক চলাচলে বাধা দেয়। ফলে হার্টসংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দিতে থাকে। ডায়াবেটিস বলতে বোঝায়, রক্তে খুব বেশি গ্লুকোজ বা ব্লাড সুগার থাকা। যখন অগ্ন্যাশয় শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন উৎপাদন বন্ধ করে দেয়, তখন ডায়াবেটিস হয়। শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ কমে যায় ডায়াবেটিসে। ডায়াবেটিসও একটি নীরব ঘাতক।

সাধারণত ডায়াবিটিস দানা বাঁধলে প্রথম অবস্থাতেই টের পাওয়া যায় না। মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছলে তবেই নানা লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। এটি এমন একটি রোগ, যা নিঃশব্দে শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। ক্যানসারের নাম শুনলেই আঁতকে ওঠেন সবাই। স্তন ক্যানসার, সার্ভিক্যাল ক্যানসার, কোলোরেক্টাল ক্যানসার, ডিম্বাশয়ের ক্যানসার এবং ফুসফুসের ক্যানসারসহ বেশিরভাগ ক্যানসারই নীরব ঘাতক। মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছলে তবেই ধরা পড়ে।

ফ্যাটি লিভার রোগ দুই ধরনের হতে পারে— নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এবং অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, যাকে অ্যালকোহলিক স্টেটোহেপাটাইটিসও বলা হয়। এক ধরনের ফ্যাটি লিভার, যা অ্যালকোহল সেবনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। আর প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল সেবনের কারণে ঘটে। ফ্যাটি লিভারও খুব সহজে ধরা পড়ে না। এটি নীরব ঘাতক রোগ।

অস্টিওপোরোসিস হলো এক ধরনের হাড়ের রোগ। যার টের পাওয়া যায় না সহজে। যতক্ষণ না ফ্র্যাকচারের পর্যায় অবধি পৌঁছাচ্ছে। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি বুঝতেই পারেন না যে, তিনি অস্টিওপোরোসিসে ভুগছেন। এ কারণে একে নীরব ঘাতক রোগ বলা হয়। এই অসুখে হাড়গুলো দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তাতে চিড় ধরতে শুরু করে। হাড়ের ক্ষয় হতে থাকে। যে কোনো সময় ফ্র্যাকচারের সম্ভাবনা থেকে যায়। সামান্য ঝটকানিতেই হাড় ভেঙে যেতে পারে।

স্লিপ অ্যাপনিয়া হল গুরুতর ঘুমের ব্যাধি। এই রোগে নাক ডাকার সমস্যা থাকবেই। অনেকটা নীরব ঘাতকের মতো এই রোগ। ঘুমের মধ্যেই অকাল মৃত্যু হতে পারে আক্রান্ত ব্যক্তির। স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগীদের ঘুমের মধ্যেই স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির ঘুমের সময় শ্বাসনালি বারবার সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।



এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত