জাপানে টয়লেট মিউজিয়াম!
জাপানের সর্বাধুনিক টয়লেট
'টোটো'।
ইতিহাস-ঐতিহ্য নতুন
প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে
দিতে সাধারণত প্রাচীন,
বিলুপ্ত জিনিসে সাজানো
হয় মিউজিয়াম। সেখানে
শোভা পায় রাজ-
রাজড়াদের ব্যবহৃত বিভিন্ন
আসবাব, পোশাক, নানা
গুপ্তধন, পুরাতন মুদ্রা,
হাতিয়ার, অস্ত্র ইত্যাদি।
থাকে সমসাময়িক
জিনিসপত্রও। পশু-পাখির
জন্যও আছে আলাদা
মিউজিয়াম। বিশ্বের প্রায়
সকল দেশেই
মিউজিয়ামগুলোতে থাকে
দর্শনার্থীর ভীড়। কিন্তু সকল
মিউজিয়ামের রেকর্ড যেন
ভাঙতে চলেছে জাপানে
তৈরি টয়লেট মিউজিয়াম।
এই মিউজিয়ামটি
সাজানো হয়েছে বিভিন্ন
ধরণের টয়লেট দিয়ে। শুধু এই
সর্বাধুনিক টয়লেটই নয়,
একেবারে আদ্যি কালের
টয়লেট থেকে হালের
'টোটো', সব রকমের টয়লেট
নিয়ে জাপানে তিন মাস
আগে চালু হয়েছে এ
মিউজিয়াম। চালু হওয়ার পর
গত তিন মাসে দেশ, বিদেশ
থেকে কম করে তিরিশ
হাজার মানুষ এসে ঘুরে
গিয়েছেন এই টয়লেট
মিউজিয়াম।
এদিকে এখানে থাকা
টোটো টয়লেটটি যেন
কোনও বিলাসবহুল শোওয়ার
ঘর! যাতে গা গরম করে
নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
রয়েছে যন্ত্রের মাধ্যমে গরম
জলে ম্যাসাজ করানোর
ব্যবস্থা। রয়েছে এয়ার
কন্ডিশনার। জলের
তাপমাত্রা ও চাপ
বাড়ানো-কমানোর ব্যবস্থা।
রয়েছে এয়ার ড্রায়ার।
রয়েছে সুবাস ছড়ানোর জন্য
'পাওয়ার ডিওডোরাইজার'।
সঙ্গে রয়েছে সুন্দর, সুরেলা
মিউজিক 'ওতোহিমে'
শোনার ব্যবস্থা। আছে
অটোম্যাটিক সেন্সরও।
বাথরুমে ঢুকলেই আপনাআপনি
খুলে যাবে ঢাকনা। ভরে
যাবে ব্যাকটেরিয়া
বিনাশী জলের ফোয়ারায়।
জ্বলে উঠবে ঝকঝকে আলো।
এটাই সর্বাধুনিক জাপানি
প্রযুক্তির টয়লেট। যার নাম-
টোটো। যা বানাতে খরচ
হয়েছে ছয় কোটি মার্কিন
ডলার। যারা এই সর্বাধুনিক
টয়লেট বানিয়েছে, সেই
সংস্থা ইতিমধ্যেই এমন চার
কোটি টয়লেট বানিয়ে
বিভিন্ন দেশে
পাঠিয়েছে।
শেয়ার করুন