আপডেট :

        শনিবার খুলছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

        বৃষ্টি কামনায় ব্যাঙের বিয়ে নিয়ে প্রচলিত আছে নানা গল্পকথা

        ১৯৩ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ

        কংগ্রেসকে পাকিস্তানের ‘মুরিদ’ বলে অভিযুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

        নোবেল জয়ী বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস

        নাফ নদীতে মাছ শিকাররত ১০জন বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ

        টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে বিশ্বকাপের উদ্দেশে যাত্রা করবে টাইগাররা

        রাজধানীতে সন্ধ্যার মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস

        রাঙ্গামাটিতে স্বস্তির বৃষ্টি নামলেও এসময় বজ্রপাতে ৩জন নিহত

        কেউ কেউ আন্দোলন করে যাচ্ছে ফিজিক্যালি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না

        কেউ কেউ আন্দোলন করে যাচ্ছে ফিজিক্যালি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে, আমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না

        অতি বামদের কাছে আমার প্রশ্ন, তারা আমাকে উৎখাত করে কাকে ক্ষমতায় আনবে?

        মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী

        শ্রম অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের অগ্রগতির পর্যায়

        কক্সবাজারের পেকুয়ায় বজ্রপাতে নিহত হলেন দিদারুল ইসলাম

        ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে

        ফিরছে নিহত আট বাংলাদেশির কফিনবন্দি লাশ

        বন্যহাতির আক্রমণে কিশোরের মৃত্যু হলো

        চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধস

        চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধস

আপনার অসুস্থতার কারণ ডিপ্রেশন না তো?

আপনার অসুস্থতার কারণ ডিপ্রেশন না তো?

ডিপ্রেশন হলো ইমোশনাল ইলনেস এবং এ রোগে ব্যক্তির মন-মেজাজ বা মুডের অবনতি ঘটে দারুণভাবে। মানসিক রোগের মধ্যে সর্বাধিক কমন রোগ ডিপ্রেশন। এটি এমন এক রোগ যার সাথে জড়িয়ে থাকতে পারে উদ্বিগ্নতা এবং বাধ্যতাধর্মী গোলযোগ। তবে উদ্বিগ্নতা এবং বাধ্যতাধর্মী গোলযোগ আলাদাভাবেও রোগের মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে। যারা উদ্বিগ্নতায় সচরাচরভাবে ভুগতে থাকে তাদের মধ্যেও ডিপ্রেশন অনেক সময় দেখা দেয়। ডিপ্রেশন দেখা দিতে পারে বিভিন্ন মাত্রায়, গভীরতায় ও পরিসরে। এ রোগটি প্রায়ই দীর্ঘমেয়াদি হয়ে থাকে এবং আক্রান্ত ব্যক্তি জীবন দুর্বিষহ ও অর্থহীন করে ফেলে। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ভেঙে পড়েন, অসল হয়ে যান, হয়ে যান অকর্মঠ, নিস্তেজ, শক্তিহীন, এনার্জিহীন।

* আমেরিকায় প্রতি ২০ জনে ১ জন মারাত্মক ধরনের ডিপ্রেশনে আক্রান্ত।
* প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন তাদের জীবনে কখনো না কখনো ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হন।
* ডিপ্রেশন বিভিন্ন ফর্মে আবির্ভূত হয়ে থাকে। যেমন- অনিদ্রা ব্যক্তির মধ্যে দিনের পর দিন সঙ্ঘটিত হতে থাকে। কারো কারো ডিপ্রেশনের অন্যান্য লক্ষণ বা উপসর্গ নাও থাকতে পারে। ঘুমের সমস্যার মধ্যে দিয়ে তার মধ্যে ডিপ্রেশনের প্রকাশ ঘটতে পারে। আবার কোনো ব্যক্তি হয়তো ক্লান্তিতে ভুগে থাকতে পারেন। কেউবা হয়তো উদ্বিগ্নতায় চরমভাবে ভুগতে পারেন; কিন্তু তিনি হয়তো বুঝতেও পারেন না যে তার ভোগান্তির পেছনে কাজ করছে মারাত্মক রকমের ডিপ্রেশন নামক মানসিক ব্যাধি। অনেকে অহরহভাবে স্ট্রেসে ভুগে থাকেন। এই স্ট্রেস ব্যক্তির জীবনকে করে তোলে সমস্যাপূর্ণ, কঠিন।

স্ট্রেসে আক্রান্ত ব্যক্তি হয়তো কল্পনাও করতে পারেন না যে, তার স্ট্রেস বা মনোদৈহিক চাপকে পরিচালনা করছে ডিপ্রেশন। অনেক নারী-পুরুষেরই ভোঁতা প্রকৃতির শারীরিক ব্যথা-বেদনার সমস্যা থাকতে পারে- যার অনেক সময় শারীরিক কোনো কারণ হয়তো খুঁজে পাওয়া যায় না। আসলে এ ধরনের ব্যথা- বেদনা অনেক সময় ডিপ্রেশনজনিত কারণে প্রকাশ পেতে থাকে। ডাক্তারের কাছে ব্যক্তি এমন নানা ধরনের রোগের উপসর্গ বা কষ্টের কথা বলতে পারেন যা অনেক সময় মূল রোগ ডিপ্রেশনকে ঢেকে রাখে। আর এই ঢাকা ব্যাপারটাকে খোলার দায়িত্ব ডাক্তারের। ডাক্তাররা সে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

• শিশুদের মধ্যে শতকরা ২ ভাগ এবং তরুণ-তরুণীদের মধ্যে শতকরা প্রায় ৫ ভাগ ডিপ্রেশনে ভুগে থাকে।
• ৬৫ বছরের অধিক বয়সের ব্যক্তিরা বলা যায় এ বয়সের বৃদ্ধ ও বৃদ্ধারা জনসাধারণের অন্যদের চেয়ে ৪ গুণ বেশি ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হয় বা ভুগে থাকেন।
• মৃদু বা মাঝারি মাত্রার চেয়েও লক্ষণীয়ভাবে ডিপ্রেশন গভীররূপ নিতে পারে এবং একটি মানুষের মানসিক ও শারীরিক উৎকর্ষতার মাত্রা ও কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিতে পিছপা হয় না।
• ডিপ্রেশন এমন এক মেন্টাল ডিসঅর্ডার যার অশুভ থাবায় মানুষের জীবন হয়ে পড়তে পারে ক্ষত-বিক্ষত।
• বাংলাদশের মতো দরিদ্র দেশেও এ রোগ অবিশ্বাস্যভাবে বেড়েই চলছে, যা কিনা গোটা জনসমাজকে ভাবিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট।

আমাদের দেশ কুশিক্ষা ও কুংস্কারে ভরপুর। এ দেশে মানসিক রোগ যেন অবহেলার বস্তু। এ দেশে মানসিক রোগী মানে তথাকথিত ‘পাগল’। মানসিক রোগকে এ দেশের মানুষ যেন শিকারই করতে চায় না। মনোব্যাধি হলে লোকে মনে করেন জ্বিনে ধরেছে, নয়তো পরী ধরেছে অথবা কোনো খারাপ আত্মা বা ভূত-প্রেত আসর করেছে। এ ধরনের অবৈজ্ঞানিক ও অযৌক্তিক ভাবনা ও চিন্তাধারা রোগীকে করে তোলে অসহায় আর রোগীর অসহায়ত্বকে আরো মানসিকভাবে করে তোলে বিপর্যস্ত। তবে এখন দিন কিছুটা হলেও পাল্টাতে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও মানসিক রোগের কথা জানতে পারছে এবং কিছুটা হলেও সচেতন হচ্ছে। আমাদের দেশে দরিদ্র হলেও অন্যান্য রোগ-ব্যাধির চিকিৎসার মতো মানসিক রোগের চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে এবং ডিপ্রেশনেরও চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে।

বর্তমানে পুরুষদের চেয়ে দ্বিগুণ মহিলারা ডিপ্রেশনের চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে এর সঠিক কারণ জানা যাচ্ছে না।

এলএবাংলাটাইমস/এলআ/এলআরটি

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত