আপডেট :

        ফোন ছিনতাই হলো দেশে কিন্তু উদ্ধার হলো দেশের বাইরে থেকে

        দেশজুড়ে বইছে তাপপ্রবাহ, গরমে বাড়বে অস্বস্তি

        দেশজুড়ে বইছে তাপপ্রবাহ, গরমে বাড়বে অস্বস্তি

        দেশজুড়ে বইছে তাপপ্রবাহ, গরমে বাড়বে অস্বস্তি

        বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট

        পৌরসভা "খ" শ্রেণি থেকে "ক" শ্রেণিতেও উন্নীত হলো কিন্তু আলোর মুখ দেখছে না

        সর্বমোট ৫ হাজার ৪৫৬ জন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছে

        ৪৮ ঘণ্টার জন্য হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ

        ৪৮ ঘণ্টার জন্য হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ

        ২-৩ বছরের মধ্যে মহাকাশে যাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট

        ব্যাংক নির্বাহীদের সন্দেহজনক লেনদেন ও বিলিয়ন ডলার ঋণ খেলাপির জন্য তারল্য সংকটে ভুগছে বাংলাদেশ

        নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের মধ্যে অস্বস্তি ছিল

        জিসিসি গ্রান্ড ট্যুর’ নামে নতুন ভিসা চালু করতে যাচ্ছে উপসাগরীয় ছয় দেশ

        বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করা তরুণ কর্মীদের ক্ষমতায়ন পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র

        দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র নেই

        মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে ফাঁসির আসামিদের কনডেম সেলে না রাখার সিদ্ধান্ত

        নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রার্থী হওয়া ৪৫ জনকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে বিএনপি

        নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রার্থী হওয়া ৪৫ জনকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে বিএনপি

        ঢাকাসহ রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় আজ বৃষ্টি হতে পারে

        নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে প্রার্থিতা বাতিল

পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের মানবেতর গুহাজীবন

পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের মানবেতর গুহাজীবন

দখলদার ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ অব্যাহতভাবে
বাড়িঘর নির্মাণ বাধা প্রদান করারকারণে আল-খলিল (হেবরন) শহরের আশপাশেগুহাগুলোয় বসবাস করছে অবরুদ্ধ পশ্চিমতীরের অসংখ্য ফিলিস্তিনি পরিবার।অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনের জন্য তাদেরবসতি এলাকাকে চিহ্নিত করে রাখাহয়েছে। নিজেদের বসতি এলাকায়ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর নির্মাণ করতেবাধা দিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।শহরটির ফিলিস্তিনি বাসিন্দা নোমানহামামদা (৫৭) আনাদোলু সংবাদ সংস্থাকেজানান, তিনি ও তার সহযোগীরা এমনঅবস্থার মাঝেও ইট-সিমেন্ট দিয়ে বাড়িনির্মাণের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তুইসরাইলিরা অনুমতি ছাড়া বাড়ি নির্মাণকরার অভিযোগ এনে সেসব স্থাপনা গুঁড়িয়েধূলিস্যাৎ করে দিয়েছে। দখলদার ইহুদিকর্তৃপক্ষের এই এলাকায় ফিলিস্তিনিদেরবাড়ি নির্মাণের অনুমতি ঘটনা বিরল।হামামদা তার ১৩ সদস্যের পরিবার নিয়েবর্তমানে ৩০ বর্গমিটারের একটি গুহায়বসবাস করছেন। সেখানে নেই কোনোমৌলিক সুযোগ-সুবিধা। তবু তার মতো সবফিলিস্তিনিদের কাছে পৈতৃক ভূমিইহুদিদের কাছে ছেড়ে দিয়ে চলে যাওয়ারচেয়ে গুহাজীবনই বেশি পছন্দ। তিনিবলেন, দখলদার বাহিনী আমাদের উচ্ছেদকরার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমি এই ভূখণ্ডত্যাগ করব না। এখানে জীবন যাপন খুবইকঠিন। তবুও এখানেই আমরা থাকতে চাই।হামামদার বসবাসের গুহাটি তিন ভাগেবিভক্ত। একটি ঘুমানোর ঘর, একটিতেমালামাল রাখা ও তৃতীয়টি ব্যবহৃত হয়মেহমানদারির জন্য। গুহার বাইরে একটিকাঠের চুলায় তার স্ত্রী রাসমিয়া রুটিতৈরি ও অন্যান্য রান্নার কাজ করেন।রাসমিয়া বলেন, আমরা এখানে আদিমযুগের মতো বসবাস করছি। শুধু নিজেদেরভূমি রক্ষা করার জন্য আমরা এই জীবনকেমেনে নিয়েছি।হামামদার পরিবারের মতো আরো প্রায়১৫টি পরিবার আল খলিল এলাকার পাহাড়িগ্রাম আল-মাফকারায় বসবাস করছে।ফিলিস্তিনি ভূমি দখল করে ইসরাইলেরপাঁচটি সমৃদ্ধ ইহুদি বসতির জন্য সংরক্ষিতজায়গার মাঝে অবস্থিত একটি গুচ্ছগ্রামআল মাফকারা। সাম্প্রতিক বছরগুলোয়ইসরাইলি সৈন্যরা এখানে বারবারঅনুপ্রবেশ করে ফিলিস্তিনিদের বসতবাড়িধ্বংস করেছে। আল-মাফকারা গ্রামেইসরাইলি বাহিনী সর্বশেষ অভিযানচালায় ২০১৩ সালে। সে সময় তাদেরবুলডোজার এখানকার ঘরবাড়িতে বিদ্যুৎসরবরাহকারী একমাত্র জেনারেটরটিগুঁড়িয়ে দেয়। একই অভিযানে ইসরাইলিসেনারা একটি স্থানীয় মসজিদও ভেঙেফেলে।হামামদার ১১ বছর বয়সী কনিষ্ঠ ছেলেআদম জানায়, ‘আমি আর টেলিভিশন দেখতেপারি না। কারণ ইসরাইলিরা আমাদেরজেনারেটর ধ্বংস করে দিয়েছে।’ আদম ওতার বন্ধুরা প্রতিদিন তিন কিলোমিটারপথ হেঁটে পাশের শহরের স্কুলে যায়। আদমজানায়, ‘স্কুল থেকে ফিরে আমিগবাদিপশুগুলো দেখাশোনা করি অথবাবন্ধুদের নিয়ে মাঠে খেলতে যাই। ইহুদিবসতি স্থাপনকারীরা প্রায়ই আমাদেরধাওয়া করে, ধরতে পারলে পেটায়।’মার্কিন মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত অসলো চুক্তিঅনুসারে, সমগ্র পশ্চিম তীরের দুই-তৃতীয়াংশের সমান এই অসুখী গ্রামগুলোতথাকথিত ‘এরিয়া সি’ এলাকার অন্তর্ভুক্ত।এ অঞ্চলটি চুক্তি অনুসারে পূর্ণ ইসরাইলিনিরাপত্তা ও বেসামরিক নিয়ন্ত্রণভুক্ত।১৯৯৩ ও ৯৫ সালে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনকর্তৃপক্ষের মধ্যে সম্পাদিত এ চুক্তিতেসমগ্র পশ্চিম তীরকে এ বি সি তিনটিক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। এরিয়া সিঅঞ্চলটি ইসরাইলি প্রশাসনের আওতায়পড়েছে এই অজুহাতে ইহুদি বাহিনী এখানেফিলিস্তিনিদের কোনো স্থাপনা নির্মাণকরতে দিচ্ছে না। আল-খলিল শহরেরজনপ্রিয় প্রতিরোধ কমিটির সমন্বয়কারীরাতিব আল-জবুর আনাদোলু বার্তা সংস্থাকেবলেন, ‘আল-মাফকারা ও আশপাশেরগ্রামগুলোয় অনেক ফিলিস্তিনি পরিবারপানি, বিদ্যুৎসহ অনেক মৌলিক সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই বসবাস করছে। এমনকিতারা যাতায়াতে বাহন হিসেবে গাধা বাঘোড়া ব্যবহার করছেন।’ তিনি আরো বলেন,দখলদার বাহিনী বাসিন্দাদের উৎখাতকরতে অনেকভাবে চেষ্টা করছে, যাতেতারা এখানে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণকরতে পারে।আল-জবুরের দেয়া তথ্যানুযায়ী, আল-খলিলএলাকার বেশির ভাগ ভূমি ইসরাইল কর্তৃকদখলের হুমকিতে রয়েছে। তারা এসবজমিতে আরো ইহুদি বসতি অথবা সামরিকপ্রশিক্ষণ ঘাঁটি স্থাপন করতে চায়। তিনিবলেন, পাশের ইহুদি বসতির বাসিন্দারানিয়মিতভাবে ফিলিস্তিনিদের নির্যাতনকরে। তারা গ্রামের নারী ও শিশুদেরআক্রমণ করে, গাছ কেটে ফেলে এবং পশুদেরবিষ প্রয়োগ করে। দুই মাস আগে ‘পিস নাউ’নামে বাম ধারার একটি ইসরাইলি এনজিওবলেছে যে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে আরো৪৫০টি নতুন বসতি ইউনিট নির্মাণ করতেটেন্ডার আহ্বান করেছে ইসরাইল সরকার।আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পশ্চিম তীর ওপূর্ব জেরুসালেম ইসরাইলের জবর দখলকৃতএলাকা। তারা ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে এঅঞ্চলটি দখল করে। আন্তর্জাতিক আইনে এইনির্মিত সব ইহুদি বসতি অবৈধ।ফিলিস্তিনি আলোচকেরা স্থগিত শান্তিআলোচনা আবার শুরু করার আগে ইসরাইলিবসতি নির্মাণ বন্ধ দাবি জানিয়েছিলেন।বর্তমানে কার্যত এ শান্তি আলোচনার মৃত্যুঘটেছে।মিডলইস্টমনিটর অবলম্বনে।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত