আপডেট :

        ট্রাফিক পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে রক্ষা পেল রিকশাচালকের প্রাণ

        আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা বন্ধ রাখার নির্দেশ

        তাপদাহের দোহায় দিয়ে এসির দাম রাখা হচ্ছে বেশি

        বঙ্গবন্ধু কন্যার শেখ হাসিনার কমিউনিটি ভিশন সেন্টার

        নাইরোবির উত্তরে একটি শহরে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় কমপক্ষে ৪২ জন নিহত হয়েছে

        নাইরোবির উত্তরে একটি শহরে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় কমপক্ষে ৪২ জন নিহত হয়েছে

        রাজধানীতে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে চলে বেচাকেনা

        রাজধানীতে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে চলে বেচাকেনা

        হিট‌স্ট্রো‌কে আক্রান্ত হ‌য়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার মিরা অসুস্থ‌

        জেনে নেওয়া যাক ঢাকাসহ দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে

        দেশের বাজারে সোনার দাম আবারও কিছুটা কমানো হয়েছে

        ইরাকে নতুন আইন, সমকামিতার সাজা সর্বোচ্চ ১৫ বছরের জেল

        বিমানবন্দরে বিশ্বের সবচেয়ে ‘বড় টার্মিনাল’ বানাচ্ছে দুবাই!

        কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির ঘাড়ে হাঁটু গেড়ে বসে ছিল পুলিশ, পরে মৃত্যু

        ক্ষমা চাইলেন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারী

        যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর তাণ্ডবে ৫ জনের মৃত্যু

        গরমে আরামের তিন রেসিপি

        ছোট ছোট কিছু পদক্ষেপে সহজেই হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব

        একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন

        অতিরিক্ত গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন আব্দুস সালাম

লাশের মিছিল মিনায় পদদলিত হয়ে নিহত ৭৬৯, বাংলাদেশি ২৪ জন, আহত ১৫০০

লাশের মিছিল মিনায় পদদলিত হয়ে নিহত ৭৬৯, বাংলাদেশি ২৪ জন, আহত ১৫০০

পবিত্র হজ পালনের সময়  গত বৃহস্পতিবার
মিনায় পদদলিত হয়ে নিহত হাজীদের
মরদেহের ছবি প্রকাশ করে সৌদি
কর্তৃপক্ষ -এএফপি
হজের আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে গিয়ে
বৃহস্পতিবার মক্কা নগরীর অদূরে মিনায়
পদদলিত হয়ে ৭৬৯ জন হাজী নিহত
হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও
প্রায় ১৫০০ জন হাজী। দুর্ঘটনার
নেপথ্য কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষের
অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ
উঠেছে। গতকাল পর্যন্ত ২৪ বাংলাদেশি
হাজী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ এই ২৪
জনের তালিকা টাঙিয়ে দিয়েছে বলে
জানা যায়। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন
৯৮ জন বাংলাদেশি। অন্যদিকে মিনায়
পদদলনে হতাহতের হালনাগাদ তথ্যও
প্রকাশ করেছে সৌদি সরকার।
এর আগে গত শনিবার এক সংবাদ
সম্মেলনে সৌদি স্বাস্থ্যমন্ত্রী খালিদ
আল-ফালিহ বলেন, মৃতের সংখ্যা আরও
বাড়তে পারে। নিহতের ঘটনায় পবিত্র
ঈদুল আজহার আনন্দ শোকে রূপ
নিয়েছে। তিন দিন ধরে মিনা ও মক্কায়
চলছে স্বজন হারানোর মাতম। এর
আগে ১১ সেপ্টেম্বর মক্কায় মসজিদুল
হারামে ক্রেন ছিঁড়ে ১০৭ জন হাজী ও
মুসল্লি নিহত হন। ক্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত
২৩৮ জন আহত হন। এ ঘটনায় রাষ্ট্রপতি
মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা, বিরোধী দলের নেতা
রওশন এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন
খালেদা জিয়া গভীর শোক প্রকাশ
করেছেন।এদিকে মিনায় পদদলনে
নিহতের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার বলে দাবি
করেছে নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও ইরান।
আর এ দুর্ঘটনার জন্য তারা দায়ী
করেছে সৌদি সরকারের
অব্যবস্থাপনাকে। বৃহস্পতিবার (২৪
সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল
সাড়ে ১০টার দিকে মিনার বড় জামারাতের
নিচতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে সৌদি সিভিল
ডিফেন্সের বরাত দিয়ে জানিয়েছে
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। হজ পালনকালে ২৫
বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে
মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। নিরাপত্তা নিশ্চিতের
বিষয়টি পুনর্নিরীক্ষণের আদেশ
দিয়েছেন বাদশাহ সালমান। এ বছর
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৩২
লাখ মানুষ সৌদি আরবে হজব্রত পালনে
গেছেন। ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার
থেকে শুরু হয় হজের আনুষ্ঠানিকতা।
এরই ধারাবাহিকতায় আগের দিন সোমবার
স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর মিনার
উদ্দেশে রওনা দেন মুসল্লিরা। ২০০৬
সালেও মিনায় শয়তানের স্তম্ভে পাথর
ছোড়ার সময় পদদলিত হয়ে ৩৬৪ জন
হাজীর মৃত্যু হয়েছিল। এবারের
পদদলিতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ইরানের
অন্তত ১৩৪ জন, মরক্কোর ৮৭ জন,
ক্যামেরুনের ২০ জন, নাইজারের ১৯
জন, ভারতের ১৮ জন, মিসরের ১৪ জন,
পাকিস্তানের ১১ জন, চাদের ১১ জন,
বাংলাদেশের ২৪ জন, সোমালিয়ার
আটজন, সেনেগালের পাঁচজন,
আলজেরিয়ার চারজন, তানজানিয়ার চারজন,
তুরস্কের চারজন, ইন্দোনেশিয়ার
তিনজন, কেনিয়ার তিনজন, নাইজেরিয়ার
তিনজন, নেদারল্যান্ডসের একজন,
বুরুন্ডির একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া
গেছে। নিহত বাকিদের জাতীয়তার
পরিচয় এখনো শনাক্ত করতে পারেনি
সৌদি কর্তৃপক্ষ।নাম-পরিচয় পাওয়া নিহত
বাংলাদেশি : সৌদি আরবের মিনায় বৃহস্পতিবার
হজের শেষ পর্যায়ের আনুষ্ঠানিকতা
পালনের সময় পদদলিত নিহতদের মধ্যে
রয়েছেন জামালপুরের ফিরোজা
বেগম, সুনামগঞ্জের জুলিয়া হুদা,
ফেনীর তাহেরা বেগম ও তার ভাই নূর
নবী মিন্টু, মুন্সীগঞ্জের জাহানারা
আরজু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোলাম মোস্তফা
ও দিনাজপুরের কুরমত আলী। জানতে
চাইলে জেদ্দায় বাংলাদেশ দূতাবাসের
কনসাল জেনারেল এ কে এম শহিদুল
করিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘সৌদি
কর্তৃপক্ষ নিহত ৬০০ জনের তালিকা
প্রকাশ করেছে। সেখানে দুজন
বাংলাদেশি হাজীর নাম আছে। তবে
তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু এখনো
আমরা জানতে পারিনি।’ ওই দিনের
পদদলনের ঘটনায় ৯৮ জন বাংলাদেশি
হাজী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান
বাংলাদেশ দূতাবাসের হজ কাউন্সিলর
আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন হজ
এজেন্সি সূত্রে নিখোঁজ ১২৮ জনের
তালিকা আমরা পেয়েছিলাম। পরে তাদের
মধ্য থেকে ৩০ জনের সন্ধান পাওয়া
যায়। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের সময়
তারা দলছুট হয়ে যান।’ এ ছাড়া আরও দুজন
বাংলাদেশি হাজীর লাশের পরিচয় পাওয়া
গেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন
মাতুয়াইলের জাহেদুল ইসলাম এবং কসবার
মোহাম্মদ আদেল মিয়া, পিতা মৃত রশিদ
মিয়া। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি
আছেন মাতুয়াইলের লতিফুর রহমান
মোল্লা ও আবুল হোসেন ভূঁইয়া। এ
ছাড়া নিখোঁজ বাংলাদেশিদের মধ্যে
রয়েছেন ঢাকার মোহাম্মদপুর আদাবর
শেখের টেকের রফিক হাউজিংয়ের
বাসিন্দা এ বি এম মেজবা হুর রহমান
(পাসপোর্ট নম্বর এজি ৯৪২২৩৫৩),
নবীনগরের মজিবর রহমান ও
রূপগঞ্জের বাচ্চু মিয়া। এর আগে ১১
সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার
দিকে মক্কায় পবিত্র মসজিদ আল হারামের
(গ্র্যান্ড মসজিদ) বর্ধিতাংশের
নির্মাণকাজের সময় ছাদ থেকে ক্রেন
ধসে ১১১ জন হজপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ২৫০ জন।সৌদি
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য : সৌদি আরবের
গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ বিন
আবদুল্লাহ আল শেখ বলেছেন,
‘মৃত্যুতে মানুষের হাত নেই। মৃত্যু
মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এ কারণে
মিনা ট্র্যাজেডির জন্য হজ কমিটিকে
দোষারোপ করা যাবে না।’ সৌদি
আরবের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও সুপ্রিম
হজ কমিটির চেয়ারম্যান ক্রাউন প্রিন্স
মোহাম্মদ বিন নায়েফ বলেন, ‘নিয়তি বা
তকদির অমোঘ, অলঙ্ঘনীয়।’ ঘটনার
পরপরই সৌদি যুবরাজ এ ঘটনার জন্য
‘আফ্রিকান’ হাজীদের দায়ী করে বিবৃতি
দেন। এত বড় ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে
এ ধরনের মন্তব্য করা ঠিক হয়েছে কি
না, সে প্রশ্নও উঠেছে। এ ছাড়া
নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, মিসর, ইরানসহ বেশ
কয়েকটি দেশ এ দুর্ঘটনার জন্য সৌদি
কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত করছে।
দেশগুলোর বক্তব্য, সৌদি কর্তৃপক্ষ
হাজীদের নিরাপত্তার বিষয়টি ঠিকভাবে
দেখভাল করতে পারেনি। এ কাজে
তাদের গাফিলতি ছিল। ইরানের পাশাপাশি সরব
হয়েছে ইন্দোনেশিয়াও। মুখ
খুলেছেন নাইজেরিয়ার হজযাত্রী
দলের প্রধান। একটি প্রশ্ন বার বার উঠে
আসছে, হজের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব
এককভাবে সৌদি সরকারের হাতে, নাকি
মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর হাতে
যৌথভাবে থাকা উচিত। ২৫ বছরের মধ্যে
ভয়াবহতম এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন
আরও প্রায় দেড় হাজার হাজী। এত
হতাহতের পরও সৌদি সরকারের পক্ষ
থেকে জানানো হয়নি বা জানা সম্ভব
হয়নি, আসলে কোন দেশের কতজন
নিহত বা আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত
যে হিসাব, এর পুরোটাই সংশ্লিষ্ট
দেশগুলোর উদ্যোগ থেকে পাওয়া।
অথচ ওই ঘটনার পর যতটুকু জানা গেছে,
তা সৌদি সিভিল ডিফেন্সের কাছ থেকে।
অন্য কোনো সূত্র থেকে তা যাচাই-
বাছাইয়ের সুযোগ ছিল না। হজের
কয়েক দিন আগে ১১ সেপ্টেম্বরের
ক্রেন দুর্ঘটনা আর পদদলিতের ঘটনা
দুটো আলাদা। কিন্তু একসঙ্গে ২০
লাখের মতো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি জড়ো
হওয়ায় তাদের নিরাপত্তা নিয়ে সৌদি সরকার
আসলেই কতটা ভেবেছিল সে প্রশ্ন
আজ উপস্থিত হাজী ও সংশ্লিষ্ট
দেশগুলোর। প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে
মিনায় হজব্রত পালনের সময় পদদলিত
হয়ে মারা যান ৩৬৪ হাজী। এ ছাড়া পবিত্র
নগরী মক্কায় ২০০১ সালে ৩৫, ২০০৪
সালে ২৪৪, ১৯৮৭ সালে ৪০০, ১৯৯০
সালে ১ হাজার ৪২৬, ১৯৯৪ সালে ২৭০ এবং
১৯৯৭ সালে পদদলিত হয়ে মৃত্যুবরণ
করেন ৩৪৩ জন। এদিকে বাংলাদেশিদের
খবর জানতে বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ
নিচ্ছে মক্কায় হজ মিশনের মেডিকেল
টিম। হজ মৌসুমে মক্কায় প্রচণ্ড যানজট
থাকায় যথেষ্ট ভোগান্তিতে পড়তে
হচ্ছে হাজীদের। দূতাবাসের হজ
কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান জানান, ইতিমধ্যে
হজ মিশনের টিমপ্রধান ড. হাসান
জাহাঙ্গীরসহ একটি গ্র“প মক্কার
হাসপাতালগুলোতে বাংলাদেশি হাজীদের
সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া শুরু
করেছেন।প্রত্যক্ষদর্শীদের
বক্তব্য : মিনায় পদদলিত হয়ে সাত শতাধিক
হাজীর মৃত্যুর জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষকেই
দায়ী করছেন বেঁচে যাওয়া হাজীরা।
এখন তারা হজপরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা পালন
করতেও ভয় পাচ্ছেন। ভয়াবহ ওই
পরিস্থিতির হাত থেকে মাসহ বেঁচে
গেছেন লিবিয়ার আহমদ আবু বকর (৪৫)।
তিনি ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন,
‘প্রচণ্ড ভিড় ছিল। পুলিশ একটি ছাড়া
হজক্যাম্পের সব প্রবেশ ও নির্গমন
ফটক বন্ধ করে দিয়েছিল।’ তিনি বলেন,
‘আমার সামনে অনেক মৃতদেহ পড়ে
ছিল। অনেকে আহত হয়েছেন।
অনেকের দম বন্ধ হয়ে আসছিল।
পুলিশের সঙ্গে আমরাও অনেককে
সরিয়েছি। সেখানে থাকা পুলিশদের
কর্মকাণ্ড দেখে বোঝা গেছে, তারা
কতটা অনভিজ্ঞ। তারা মিনা ঘিরে থাকা
রাস্তাঘাট ও এলাকাগুলো পর্যন্ত চেনে
না।’ মক্কাভিত্তিক ইসলামিক হেরিটেজ
রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা
ইরফান আল-আলাবি বলেন, ‘বিপুলসংখ্যক
পুলিশ সদস্য ছিলেন। কিন্তু তারা যথাযথ
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত না। এমনকি বিভিন্ন দেশ
থেকে আসা হাজীদের সঙ্গে কথা
বলার মতো ভাষাজ্ঞানেরও অভাব
রয়েছে তাদের। কী করে এসব
মানুষের সঙ্গে মিশতে হয় তারা তাও
জানেন না।’ দেশটির স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেনারেল
মনসুর আল-তুর্কি বলেন, ‘মিনা থেকে
জামারায় পাথর ছোড়ার জন্য লাখো
হাজী চলেন কাতারে কাতার। হঠাৎ দুটি
সড়কের সংযোগস্থল কিছুক্ষণের
জন্য থমকে যায়। কিন্তু পেছন থেকে
একই গতিতে আসা হাজীরা বিষয়টি বুঝতে
পারেননি। তাই তারা সামনেই অগ্রসর হতে
থাকেন। ফলে মাঝখানের ভিড়ে চাপা
পড়ে পদদলিত হন শত শত মানুষ। সামনে
বা পেছনে যাওয়ার কোনো উপায় না
থাকায় সেখানকার পরিণতি ছিল শ্বাসরুদ্ধ।’
তবে সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ
ঘটনার জন্য হাজীদের দায়ী
করেছেন। তিনি বলেন, ‘হাজীরা
হজের নিয়ম না মানার কারণেই এ ঘটনা
ঘটেছে।’সৌদি গণমাধ্যমের পাল্টা
অভিযোগ : এদিকে মিনায় পদদলন ঘটনার
জন্য অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা
আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি জাতিসংঘ থেকে
তদন্তের দাবি তোলার পর সৌদি গণমাধ্যম
পাল্টা অভিযোগ করে ‘হুড়োহুড়ির ওই
ঘটনার জন্য একদল ইরানি হজযাত্রী
দায়ী’ উল্লেখ করে প্রতিবেদন
প্রকাশ করেছে।পোপের শোক :
পবিত্র নগরী মক্কায় হজ পালন করতে
গিয়ে সাত শতাধিক হাজীর প্রাণহানির ঘটনায়
শোক ও সহমর্মিতা জানিয়েছেন
ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু
পোপ ফ্রান্সিস। গত বৃহস্পতিবার
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট প্যাট্রিক
ক্যাথিড্রালের প্রার্থনা সভায় রাখা
বক্তব্যে তিনি এই শোক জানান।
লিড

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত