আপডেট :

        ধর্ষকের শাস্তি সবার সামনে হোক: সোহম

        বায়ার্নের দাপটে বিদায় ব্রাজিলের ফ্ল্যামেঙ্গো, পিএসজির মুখোমুখি কোয়ার্টারে

        ধর্ষণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুরাদনগরে রাজনৈতিক উত্তেজনা: কে দায়ী?

        ইরানের কঠোর হুঁশিয়ারি: ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি

        এশিয়া কাপের সম্ভাব্য সূচি জুলাইয়ে প্রকাশিত হবে

        সরকারের প্রতিশ্রুতি ব্যর্থ: জুলাই সনদ প্রকাশ করবে এনসিপি - নাহিদ ইসলাম

        রথযাত্রার উৎসবে বিপর্যয়: উড়িষ্যায় ভিড়ে পিষ্ট হয়ে ৩ মৃত, ১০ জন আহত

        মনু মিয়ার শেষ বিদায়ে অভিনেতা খায়রুল বাসারের মানবিকতার জয়

        মেসি-রোনালদো: সময় পেরিয়েও অপ্রতিরোধ্য ফুটবলের দুই কিংবদন্তি

        মুরাদনগরের অশান্তির জন্য আওয়ামী সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয়দাতারা দায়ী: আসিফ মাহমুদ

        ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্পে পাকিস্তানে দুইবার কাঁপল ধরিত্রী

        হিরো আলমের যত্নে রিয়া মনি, প্রকাশ করলেন তার শারীরিক অবস্থা

        হাছিনা নয় শেখ হাসিনা নয়, তবুও বারবার বদলাচ্ছে স্কুলের নাম

        জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেট: ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৩২৩ কোটি টাকা

        কোকেন উৎপাদনে ঐতিহাসিক উচ্চতা, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উদ্বেগ

        ট্রাম্পের সাথে সম্পর্ক জোরদারে প্রস্তুত পুতিন, নতুন যোগাযোগের আভাস

        স্বর্ণের বাজারে ধস: এক মাসে সর্বনিম্ন দামে পৌঁছাল হলুদ ধাতু

        সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, ৩০০ গাড়ি অপেক্ষায়

        ট্রাম্পের দাবি: খামেনির প্রাণ বাঁচিয়েছি, ধন্যবাদ পাইনি

        এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা: কেন্দ্রে প্রবেশ নিয়ে নতুন নিয়ম

দীর্ঘদিন ধরে চলছে ফিলিস্তিন- ইসরাইল সহিংসতা

দীর্ঘদিন ধরে চলছে ফিলিস্তিন- ইসরাইল সহিংসতা

ফিলিস্তিন-ইসরাইলের
মধ্যকার সহিংসতা
থামাতে গত দুই দশক
ধরে নিয়মিত বিরতিতে
শান্তি আলোচনা
অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কিন্তু সমাধান
কখনোই আসেনি।
একপক্ষ
আরেকপক্ষকে
ছাড় না দেয়ার
কারণেই এ ধরনের
পরিস্থিতির সৃষ্টি
হয়েছে। যেমন,
১৯৬৭ সালে ইসরাইলিরা
যেসব ভূখ- দখল
করে নিয়েছিল,
ফিলিস্তিনিরা এর সবই
ফেরত চায়। এ
বিষয়ে তারা বেশকিছু
ব্যাখ্যাও দিয়েছে।
কিন্তু ইসরাইলিরা সেটা
মানতে নারাজ। আর
রাজি হয়নি বলেই তারা
ফিলিস্তিনে বসতি
নির্মাণ অব্যাহত
রেখেছে।
ফিলিস্তিনিদের ভূখ-
ফিরিয়ে দিতে বিশ্ব
সম্প্রদায় ইসরাইলের
ওপর বিভিন্ন সময় চাপ
প্রয়োগ করে
এলেও ইসরাইল
এতে কর্ণপাত
করেনি। ফলশ্রুতিতে
ফিলিস্তিনিরাও
নিজেদের অস্তিত্ব
টিকিয়ে রাখতে
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন
উপায়ে প্রতিবাদ-হামলা
অব্যাহত
রেখেছে।
এভাবে দুইপক্ষের
সমঝোতার
অনমনীয় মানসিকতার
ফল হিসেবেই মারা
পড়েছে অনেক
মানুষ। সমঝোতা
বৈঠকে দুইপক্ষ
পরস্পর পরস্পরকে
ছাড় দিলে এ ধরনের
অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি
সৃষ্টি নাও হতে পারত।
কিন্তু ছাড় না দেয়ার
মানসিকাতায় দশকের
পর দশক ধরে
চলছে এ ধরনের
সহিংসতা।খবরে বলা
হয়, সাম্প্রতিক সময়ে
নতুন করে শুরু
হয়েছে ফিলিস্তিন-
ইসরাইল সহিংসতা। ১৯৪৮
সালে ইসরাইল রাষ্ট্র
সৃষ্টির পর থেকেই
দুইপক্ষের মধ্যে
নিয়মিত বিরতিতে
চলছে এ ধরনের
সহিংসতা। বিভিন্ন সময়
সমাধানের নানা রকম
পদক্ষেপ নেয়া
হলেও সেসব আশার
আলো দেখেনি।
সমঝোতা বৈঠকে
দোষারোপ এবং
পাল্টা
দোষারোপের
গোলক ধাঁধায় ঘুরপাক
খেয়েছে সমাধান।
ফলশ্রুতিতে
রক্তপাত-সহিংসতা যেন
সাধারণ ঘটনা হয়ে
দাঁড়িয়েছে
সেখানে। সাম্প্রতিক
সময়ের সহিংসতাও
ব্যর্থ সমঝোতার
আরেকটি ফল।
জেরুজালেমে
চলমান সহিংসতার সৃষ্টি
মূলত দুইপক্ষের
অসমঝোতার
কারণেই। একপক্ষ
আরেকপক্ষকে
মেনে নিতে
পারছে না বলেই
ছুরিকাঘাতকে
ইহুদিদের বিরুদ্ধে
বড় ষড়যন্ত্র
উল্লেখ করে
ইসরাইলিরা
ফিলিস্তিনিদের ওপর
চড়াও হচ্ছে।
ফিলিস্তিনিদের
ছুরিকাঘাতকে
সন্ত্রাসী কার্যক্রম
বলে প্রচার করছে।
অপরদিকে
ফিলিস্তিনিরাও
আত্মরক্ষার্থে
ছুরিকাঘাত করছে
বলে জানিয়েছে।
আর ছুরিকাঘাত করতে
গিয়ে ইসরাইলিদের
হাতে যারা প্রাণ
হারাচ্ছে, তাদের
শহীদ বলেও
উল্লেখ করছে
তারা। অর্থাৎ, দুইপক্ষই
নিজেদের জায়গা
থেকে নিজেদের
সঠিক মনে করছে।
ইসরাইল রাষ্ট্র
হিসেবে
আত্মপ্রকাশ করার পর
ফিলিস্তিনিরা চার ভাগে
ভাগ হয়ে যায়। এর
মধ্যে প্রথম অংশটির
সংখ্যা প্রায় ১৭ লাখ।
তারা আরব-ইসরাইলি
নামে পরিচিত। তারা
ভোটাধিকার
প্রয়োগ করতে
পারে এবং তাত্ত্বিক
দিক থেকে তাদের
সমান অধিকার
রয়েছে। কিন্তু তারা
অর্থনৈতিকভাবে
দুর্বল এবং নিপীড়িত।
এর একটি বড় অংশ
বর্তমানে ছুরি হামলা
চালিয়ে যাচ্ছে বলে
ধারণা করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় অংশে
রয়েছে প্রায় তিন
লাখ ফিলিস্তিনি। তারা
পূর্ব
জেরুজালেমে গাজা
এবং পশ্চিম তীরের
কাছাকাছি এলাকায় বসবাস
করছে। তাদের
সবারই ইসরাইলের
নাগরিক হওয়ার
সুযোগ রয়েছে।
কিন্তু প্রায় সবাই এই
সুযোগ গ্রহণ করে
না। কারণ, এতে
করে ওই এলাকাটি
ইসরাইল নিজেদের
বলে আইনগতভাবে
দাবি করবে। এ জন্য
তারা শুধুমাত্র
রেসিডেন্টস বা
অধিবাসী পরিচয়
নিয়ে বসবাস করছে।
এ কারণে তারা
হাতেগোনা
কয়েকটি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং
ভঙ্গুর অবকাঠামোর
মধ্য দিয়ে জীবন-
যাপন করছে। তাদের
একটি অংশও বর্তমান
ছুরিকাঘাতের সঙ্গে
জড়িত বলে ধারণা
অনেকের।
ফিলিস্তিনিদের
তৃতীয় অংশটি অবস্থান
করছে পশ্চিম তীর
এবং এর আশপাশের
এলাকায়। তাদের সংখ্যা
প্রায় ২০ লাখ। তাদের
চারপাশ ঘিরে
রয়েছে ইসরাইলি
সেনাবাহিনী। এই
অংশে ইসরাইল
তাদের বসতি নির্মাণ
অব্যাহত
রেখেছে।
ফিলিস্তিনিদের এই
অংশটিও মৌলিক অধিকার
থেকে বঞ্চিত। এই
অংশটিও সাম্প্রতিক
সময়ের ছুরিকাঘাতের
সঙ্গে জড়িত বলে
ধারণা করা হয়।
ইসরাইলিদের
অভিযোগ,
প্রেসিডেন্ট মাহমুদ
আব্বাস পশ্চিম
তীরের এসব
জনগণের
কার্যক্রমের
সমালোচনা করছেন
না। এপি।


শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত