শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে সংবাদ , পত্রিকা অফিসে আগুন
ইসরায়েলি হামলায় ১১ মাসে প্রাণ হারালেন যত নেতা
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
ইসরায়েলি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও হিজবুল্লাহর অনেক নেতা নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা, গুপ্তহত্যাসহ নানা কৌশলে ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে তাঁদের সমর্থিত সংগঠনগুলোর নেতাদের হত্যা করে চলেছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে হামাস ও হিজবুল্লাহ নেতাদের হত্যার সংখ্যা বেড়ে গেছে। সর্বশেষ হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এর আগে হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়াকে ইরানে হত্যা করেছিল ইসরায়েল। গত ১১ মাসে ইসরায়েলের হাতে নিহত হামাস ও হিজবুল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
৩১ অক্টোবর ২০২৩
ইব্রাহিম বিয়ারিকে হত্যা করে ইসরায়েল। হামাসের কেন্দ্রীয় জাবালিয়া ব্যাটালিয়নের কমান্ডার ছিলেন তিনি। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর অভিযানে উত্তর গাজা উপত্যকায় তিনি নিহত হন।
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজি মুসাভি নিহত হন। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পসের একজন উচ্চপদস্থ জেনারেল মুসাভি সিরিয়া এবং ইরানের মধ্যে সামরিক জোট সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন। দামেস্কে বিমান হামলায় নিহত হন।
২ জানুয়ারি ২০২৪
সালেহ আল-আরৌরি নিহত হন। হামাস জ্যেষ্ঠ নেতা সালেহ সামরিক শাখার একজন প্রতিষ্ঠাতা কমান্ডার এবং হামাস ও হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রধান যোগাযোগকারী ছিলেন। বৈরুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন।
১০ মার্চ ২০২৪
নুসরেইত শরণার্থীশিবিরের নিচে টানেলে বোমা হামলায় নিহত হন হামাসের ডেপুটি কমান্ডার মারওয়ান ইসা। তাঁকে ইসরায়েলে ৭ অক্টোবর হামলার মাস্টারমাইন্ড বলা হয়।
১ এপ্রিল ২০২৪
ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন। দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলায় তিনি নিহত হন। মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের প্রধান কাশেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলের হাতে নিহত কর্মকর্তাদের মধ্যে রেজা জাহেদি ছিলেন সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতা।
১৩ জুলাই ২০২৪
ইসরায়েলে ৭ অক্টোবরের হামলার আরেক মাস্টারমাইন্ড মোহাম্মদ দায়েফ খান ইউনিসে এক বোমা হামলায় নিহত হন। এ বোমা হামলায় আরও ৯০ জন নিহত হয়েছিলেন।
৩০ জুলাই ২০২৪
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শোকরকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল বিমান হামলা চালায়। ওই হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
৩১ জুলাই ২০২৪
ইরানে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইসমাইল হানিয়া ছিলেন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান। দায়িত্ব পালন করেছিলেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির সূচনালগ্ন থেকেই এর সদস্য ছিলেন হানিয়া। ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর তেহরানে যে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন, সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন তিনি।
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইব্রাহিম আকিল নামের হিজবুল্লাহর এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডার নিহত হন। লেবাননের রাজধানী বৈরুতের শহরতলিতে ইসরায়েল এ বিমান হামলা চালায়।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাজধানী বৈরুতসহ লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় গত শুক্রবার রাতভর বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। জানা যায়, ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর কমান্ড সেন্টারে সংগঠনের নেতা হাসান নাসরুল্লাহ ও অন্য নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এরপর হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার দাবি করে ইসরায়েল।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন