আপডেট :

        ২১ জনের দেহে করোনা, তবে মৃত্যুর খবর নেই

        করলার বীজের অতিরিক্ত সেবন: স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব

        সোনম কাপুরের মানবিক উদ্যোগ: চুল দান করে সাহায্যের হাত বাড়ালেন

        পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে সিলেটে শ্রমিক-ব্যবসায়ীদের উত্তপ্ত আন্দোলন

        পুরান ঢাকার বড় কাটরা, মুঘল ইতিহাসের এক ম্লান সাক্ষী

        মেসির ৩৮তম জন্মদিন: মাঠের জাদুকরের গল্প এখনো অপ্রতিরোধ্য!

        ‘পঞ্চায়েত’ চতুর্থ সিজন শুরু, রাজনীতি ও প্রেমের মিশেলে কী চমক?

        গুগল পে বাংলাদেশে: ফোন ট্যাপ করেই দ্রুত ও নিরাপদ পেমেন্ট

        একনেক সভায় প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা: পুঁজিবাজার উন্নয়নে পাঁচ দফা পরিকল্পনা

        ১২ দিনের যুদ্ধের অবসান: ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ইসরায়েলের

        পাটের দামে হতাশা: কৃষকদের চাষে অনীহা বাড়ছে

        টাকার জন্য থমকে আছে মধুবালার বায়োপিক

        ইসরায়েলি হামলার জবাবে পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে ইরান

        ছুটি পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন? জানুন উপকারিতা

        ভোটার হচ্ছেন জুবাইদা

        ট্রাম্পের কড়া বার্তা: ইরানের বর্তমান শাসন ব্যবস্থার প্রতি প্রশ্ন

        টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন শান্ত!

        শান্তির সুরে বিশ্বকে এক করেছেন যারা

        বড় ধরনের হামলায় ইরানের সব পারমাণবিক কেন্দ্রে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

        মব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পুরান ঢাকার বড় কাটরা, মুঘল ইতিহাসের এক ম্লান সাক্ষী

পুরান ঢাকার বড় কাটরা, মুঘল ইতিহাসের এক ম্লান সাক্ষী

ঢাকার পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকায় বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত বড় কাটরা মুঘল আমলের জমিদারির একটি স্মারক। কাটরা বা কাটারা শব্দটি এসেছে আরবি ও ফরাসি ‘ক্যারাভ্যানসারাই’ থেকে, যেখানে পথিকেরা অবস্থান করতেন। 

ইতিহাস ও নির্মাণ
বড় কাটরা নির্মিত হয় ১৬৪৪-৪৬ খ্রিস্টাব্দে, সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজার নির্দেশে দিওয়ান মীর আবুল কাসিম দ্বারা। মূলত এটি একটি সরাইখানা।

যা পরবর্তীকালে মুসাফিরখানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। বর্তমানে এটি জামিয়া হোসাইনিয়া আশরাফুল উলুম মাদরাসার আওতায় রয়েছে। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ইমারতটির সংরক্ষণে আগ্রহ প্রকাশ করলেও মূল্যবান দালানটি অধিগ্রহণে মালিক পক্ষের বাধায় তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্থাপত্য ও পাঠাগার
একসময়ে কাটরার তোরণে একটি পাথরের ফলকে রয়েছে ফার্সি ভাষায় খলিফা শাহ সুজার দান-খয়রাতের তথ্য—মুসাফিরদের বিনা মূল্যে থাকার জন্য এবং সংস্কারের ব্যয়সম্ভারের উদ্দেশ্যে ২২টি দোকানঘর নির্মাণের নির্দেশ উল্লেখ ছিল।

আজকের দিনে ফলকটি ভগ্নাংশে পরিণত হলেও এর ঐতিহাসিক তাৎপর্য অম্লান রয়েছে।
বড় কাটরার স্থাপত্যশৈলী আকর্ষণীয়—উত্তর ও দক্ষিণে দুটি প্রবেশপথ, হালকা আয়তাকার কেন্দ্রীয় প্রাঙ্গণ এবং তাতে ২২টি কক্ষ। দুই প্রান্তে রয়েছে আটকোনা আকৃতির বুরুজ, আর ফটকের দুই পাশে দুইতলা জোড়া ভবন।

ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে রিকশাযোগে চকবাজারের দিকে বাবুবাজার এলাকায় বড় কাটরায় পৌঁছানো যায়।

ঢাকা ছাড়াও অন্যান্য জেলা থেকে আগতরা প্রথমে ঢাকায় এসে পুরান ঢাকার দিকে রওনা হলে সহজেই ঐতিহাসিক এই নিদর্শন ভ্রমণ করতে পারবেন।

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত