আপডেট :

        অপরাধ সাম্রাজ্যের নেতৃত্ব দিচ্ছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা

        চাঁদপুরে সেই পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের উপর পদক্ষেপ

        বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিলেও গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদ

        তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরো বাড়ার শঙ্কায় সারা দেশে হিট অ্যালার্ট

        কোয়াডকপ্টার উড়িয়ে শত্রুরা ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে যা তাদের নিজেদের জন্যই অপমানজনক

        কোয়াডকপ্টার উড়িয়ে শত্রুরা ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে যা তাদের নিজেদের জন্যই অপমানজনক

        বিয়ে করতে গেলেন হেলিকপ্টার নিয়ে গেলেণ বর

        ইরানের ইস্পাহান শহরের জারদানজান এলাকায় একটি পারমাণবিক স্থাপনায় নিরাপত্তায় নিয়োজিত সামরিক বাহিনীর সদস্যরা

        যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দের মানববন্ধন ও সমাবেশে

        সারাদেশে অভিযান চালিয়ে ১৫টি গাড়িকে ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানো হয়েছে

        সারাদেশে অভিযান চালিয়ে ১৫টি গাড়িকে ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানো হয়েছে

        নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরতে হবে বললেন রাষ্ট্রপতি

        নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরতে হবে বললেন রাষ্ট্রপতি

        শাহজালালের থার্ড টার্মিনালে ঢুকে গেল রাইদা বাস, প্রকৌশলীর মৃত্যু

        ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা ভোট গ্রহন

        রাসেল মাহমুদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়েও পায়নি মোহামেডান

        তূর্ণা ও কক্সবাজার এক্সপ্রেসে কাটা পড়লো ২ জন

        প্রতারিত বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা

        সিলেটের শাহপরাণে পুলিশের জালে দুই কারবারি

        সিলেট নগরীতে ২১ এপ্রিল থেকে কোভিডের ৩য় ও ৪র্থ ডোজ প্রদান করা হবে

করোনার নিয়ন্ত্রন নিয়ে সংশয়ে ট্রাম্প প্রশাসন

করোনার নিয়ন্ত্রন নিয়ে সংশয়ে ট্রাম্প প্রশাসন

এলএ বাংলা টাইমস


করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে সংশয় ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। কারণ, এখনো দেশের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। আগামী তিন মাস করোনার ভ্যাকসিনের ব্যাপক পরীক্ষা হবে বলে জানানো হচ্ছে। ভ্যাকসিন আসার পর বিপুলসংখ্যক মানুষ তা না পেলে ভবিষ্যতে কী হবে, এ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে স্বাস্থ্যসেবীদের মধ্যে। আর এতে করে অনেকটাই সংশয়ে পড়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়তে পারে ট্রাম্প। 

ট্রাম্প প্রশাসনের হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিস সেক্রেটারি এলেক্স আজার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, দুই মাস আগের চেয়ে পরিস্থিতি এখন ভিন্ন। সম্পূর্ণ ভিন্ন বাস্তবতা এবং জটিল থেকে জটিলতর হয়ে পড়া অবস্থায় আমেরিকার জন্য করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জানালা বন্ধ হয়ে পড়ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ এলাকায় নিশ্চিত করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কোনো কোনো রাজ্যে হাসপাতালে রেকর্ডসংখ্যক লোকজন করোনার সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে। হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিস সেক্রেটারি অবশ্য বলেন, যুক্তরাষ্ট্র করোনা মোকাবিলায় আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে। বর্ধিত টেস্টিং, কন্টাক্ট ট্রেসিং, হাসপাতালে বর্ধিত বেডের সংখ্যা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী মজুতের পরিমাণ—এসবকেই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আগের চেয়ে ভালো পরিস্থিতি মনে করছেন তিনি। তাঁর এ বক্তব্যের সঙ্গে যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথার কোনো সামঞ্জস্য নেই।

অন্যদিকে, আমেরিকার শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি পৃথক এক সাক্ষাৎকারে বলেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ কার্যকর হলেও তিনি সন্তুষ্ট হবেন। তবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোকজন ভ্যাকসিন নিতে অস্বীকার করলে রোগটির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হবে না বলে ফাউসি মনে করেন।

সরকারের সহযোগিতায় বাজারে আগামী তিন মাস করোনা ভ্যাকসিনের ব্যাপক পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। অ্যান্থনি ফাউসি জানান, মিজেল রোগের বিরুদ্ধে আমেরিকার সাফল্য ছিল সবচেয়ে বেশি। ৯৭ থেকে ৯৮ শতাংশ সাফল্য ছিল মিজেলের ভ্যাকসিনে। তবে করোনার ভ্যাকসিনের সাফল্য সে পর্যায়ে সম্ভব নয়। তিনি ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ সাফল্য আসা করছেন।

গত মাসে করা এক জরিপে দেখা গেছে, আমেরিকার এক-তৃতীয়াংশ লোকজন করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণে অনিচ্ছুক। স্বল্প মূল্যে সহজলভ্য হলেও সচেতনতার অভাবে আমেরিকার বহু লোক বিশ্বাস করে না, ভ্যাকসিন গ্রহণ করা নিজেদের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক জনগোষ্ঠীর শরীরে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্যও এ বিষয়টি অন্তরায়। করোনার সংক্রমণের পর শরীরে স্থায়ী প্রতিরোধ গড়ে উঠলে বা ব্যাপক লোকজন ভ্যাকসিন গ্রহণ করলেই করোনাকে পরাজিত করা সম্ভব বলে ফাউসি মনে করেন। তিনি আমেরিকার জনগণের মধ্যে ভ্যাকসিন গ্রহণ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

এ ছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কন্টাক্ট ট্রেসিং কর্মসূচি ততটা এগোচ্ছে না। সংক্রমিত হওয়া লোকজনকে টেলিফোনে ট্রেসিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন স্টেট ও সিটির কর্মসূচিতে। তবে অধিকাংশ লোকজন ফোনই ধরছে না। প্রথম দফা ফোন ধরলেও পরে আর ফোনকল আর ধরছে না। কারা সংস্পর্শে এসেছে, সে তথ্যও দিচ্ছে না অনেকেই। এমন নানা জটিলতা, সংশয় ও অসচেতনতার মধ্য দিয়ে চলছে যুক্তরাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি। 

এলএ বাংলা টাইমস/এম/বিএইচ

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত

এ বিভাগের আরো খবর