আপডেট :

        স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণে সিকৃবিতে আলোচনা সভা

        বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্বাস করে না: ওবায়দুল কাদের

        বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্বাস করে না: ওবায়দুল কাদের

        বিচারকবিহীন আদালত

        বাংলাদেশের গণতন্ত্র এগিয়ে নেওয়াই যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার

        সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেনের মৃত্যু

        জাতীয় ছাত্র সমাজের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

        দ্বিতীয় টেস্টে নেই হাথুরু

        ‘ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা ২০২৪’

        গাজায় বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

        আত্মনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা করতে হবে: সিসিক মেয়র

        রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় বেপরোয়া কিশোর গ্যাং

        মস্কো কনসার্ট হামলায় পশ্চিমা বিশ্ব ও ইউক্রেনের ইন্ধনের অভিযোগ রাশিয়ার

        র‍্যাবের পৃথক অভিযান, ১২ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

        পদ্মা সেতুতে ভুটানের রাজা

        মার্কিন কূটনীতিককে তলব

        স্বাধীনতা দিবস বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের ফসল: প্রতিমন্ত্রী

        সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে: সংসদ স্পিকার

        বাল্টিমোর সেতু দুর্ঘটনা ভয়াবহ: বাইডেন

        মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মুজিব কোট’ উপহার দিলো প্রশাসন

হাউজে ভোটাভুটির অপেক্ষায় তৃতীয় নাগরিক প্রণোদনা প্যাকেজ

হাউজে ভোটাভুটির অপেক্ষায় তৃতীয় নাগরিক প্রণোদনা প্যাকেজ

ছবি: এলএবাংলাটাইমস

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষিত ১ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের তৃতীয় নাগরিক প্রণোদনা প্যাকেজ কিছুটা পরিবর্তন হয়ে সিনেটে পাশ হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সিনেটে পাশ হওয়া এই পরিবর্তিত বিল হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভে ভোটাভুটির মাধ্যমে চুড়ান্ত হবে। এরপরই বিলটিকে আইন অনুসারে স্বাক্ষর করবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

হাউজ মেজরিটি লিডার স্টেনি হয়্যার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় বিলটির গুরুত্ব বিবেচনা পদে ভোট দেওয়া হবে। একই দিনে চেম্বার সিনেটের পরিবর্তিত বিল নিয়ে ভোটাভুটি হবে। এরপর মঙ্গলবার বিলটির সিনেট ভার্সনের উপর চুড়ান্ত ভোট দিবেন হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভের সদস্যরা।

সিনেটের মতোই হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভে বিলটি পাশ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভে ডেমোক্রেটিকদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।

বিলটি পাশ হয়ে যাওয়ার পরই প্রেসিডেন্ট বাইডেনের স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিলটি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। দ্বিতীয় স্টিমুলাস প্যাকেজের সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই তৃতীয় নাগরিক প্রণোদনা প্যাকেজটি পাশ করাতে চাইছেন ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতারা।

প্রায় ২ হাজার কোটি ডলারের এই নাগরিক প্রণোদনা প্যাকেজটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রণোদনা প্যাকেজ। বাইডেন ঘোষিত এই প্রণোদনা প্যাকেজটির আওতায় বেশিরভাগ মার্কিনী ১৪০০ ডলার করে ভাতা পাবেন। একই সাথে কর্মহীনদের জন্য সপ্তাহে ৩০০ ডলার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সাহায্য, স্থানীয় ও অঙ্গরাজ্যের জন্য বরাদ্দের পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতেও বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

এর আগে শনিবার (৬ মার্চ) ৫০-৪৯ ভোটে সিনেটে বিলটি পাশ হয়েছে। তৃতীয় নাগরিক প্রণোদনা প্যাকেজের পক্ষে কোনো রিপাবলিকান সিনেটর ভোট দেয়নি। তবে একজন রিপাবলিকান সিনেটর অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকায় বিলটি পাশ হয়ে যায়।

তবে বিলটি পাশের আগে রিপাবলিকানদের আপত্তির মুখে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়ে। এর মধ্যে একটি হলো, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত আনএপ্লয়মেন্ট বেনিফিটের জন্য আবেদনকারীরা সপ্তাহে ৪০০ ডলারের পরিবর্তে ৩০০ ডলার করে কর্মহীন ভাতা পাবেন। তবে একই সাথে কর্মহীন ভাতা প্রাপ্তির সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ভাতার অর্থ পাবেন কর্মহীনেরা। এর মধ্যে প্রথম ১০ হাজার ২০০ ডলার সম্পূর্ণ ট্যাক্স ফ্রি। একই সাথে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ট্যাক্স ব্রেক ২০২৬ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।

তাছাড়া জো বাইডেন প্রস্তাবিত বাসিন্দাদের ন্যূনতম মজুরি ঘণ্টায় ১৫ ডলারে উন্নীত করার প্রস্তাবনাটি রিপাবলিকানদের আপত্তির মুখে তৃতীয় নাগরিক প্রণোদনা প্যাকেজ বিল থেকে বাতিল করতে হয়েছে। রিপাবলিকানরা বলছেন, মজুরির বিষয়টি তৃতীয় নাগরিক প্রণোদনার সাথে সম্পর্কিত নয়।

কী আছে তৃতীয় নাগরিক প্রণোদনা প্যাকেজে?

১৪০০ ডলার স্টিমুলাস চেকতৃতীয় নাগরিক প্রণোদনার আওতায় বেশিরভাগ মার্কিনী অন্তত ১৪০০ ডলার করে ভাতা পাবেন। এর মধ্যে যেসব বাসিন্দা একক করদাতা, তাদের প্রত্যেকে পাবেন ১৪০০ ডলার। বিবাহিত স্বামী-স্ত্রী যারা স্টিমুলাস চেকের জন্য দ্বৈত ফাইল করেছেন, তারা পাবেন ২৮০০ ডলার। এর সাথে যদি তাদের পরিবারে সন্তান বা পোষ্য থাকে, তবে সেসব পরিবার আরো ১৪০০ ডলার করে পাবেন। তবে স্টিমুলাস চেকের অর্থ বাৎসরিক আয়ের উপর নির্ভর করে দেওয়া হবে। একক করদাতাদের ক্ষেত্রে বাৎসরিক আয় ৭৫ হাজার ডলার ও বিবাহিতদের জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে যাদের একক আয় ১ লাখ ডলারের উপর ও দ্বৈত আয় ২ লাখ ডলারের উপর, তাদের ভাতার অর্থ প্রাপ্তির পরিমাণ কিছু কম হতে পারে।

সন্তানসহ পরিবারের জন্য ট্যাক্স ব্রেক: যেসব পরিবারে ১৮ বছরের কম বয়েসী সন্তান রয়েছে, তাদের ট্যাক্স রিটার্নের সময় চাইল্ড ক্রেডিট ৩ হাজার ডলার করে দেওয়া হবে। তবে ৬ বছরের কম বয়েসী সন্তানদের জন্য তা ৩ হাজার ৬০০ ডলার হবে। একই সাথে চাইল্ড ট্যাক্স ক্রেডিটকে সম্পূর্ণ ফেরতযোগ্য করার পাশাপাশি অর্ধেক চাইল্ড ক্রেডিট অগ্রীম পেয়ে যাবে শিশুদের পরিবার। আইআরএসের মাধ্যমে জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এই ভাতা দেওয়া হবে৷

স্থানীয়  অঙ্গরাজ্য সরকারের জন্য অনুদান: তৃতীয় প্রণোদনা প্যাকজের আওতায় স্থানীয় ও অঙ্গরাজ্য সরকারের জন্য ৩৫০ বিলিয়ন ডলার অনুদান বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে শুরু থেকেই এই অনুদানের বিষয়ে দ্বিমত করে আসছিলো রিপাবলিকানরা। স্থানীয় সরকার ও মেয়রের সমর্থনে অবশেষে বিলটি পাশ হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুদান: করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় চালু করার সক্ষমতা অর্জনে ও শিক্ষার্থীদের দ্রুত ক্লাসরুমে ফিরিয়ে নিতে ১৩০ বিলিয়ন ডলারের অনুদান বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে কলেজ ও ইউনিভার্সিটির জন্য ৪০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এসব অর্থ মহামারি থেকে সুরক্ষা উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে ও শিক্ষার্থীদের খাদ্য এবং বাসস্থান সংকট নিরসনে খরচ করা হবে।  

ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অনুদান: করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও বৃহৎ খাতের কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ৪০০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এয়ারলাইন্স ও কন্ট্রাক্টরদের জন্য ১৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। একই সাথে রেস্টুরেন্ট ও বার ব্যবসায়ীদের জন্য ২৫ বিলিয়ন বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া পে চেক প্রোটেকশনের জন্য সাত বিলিয়ন ডলারের উপর বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

কর্মহীনতার মেয়াদবৃদ্ধি: করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ও চাকরি হারানো বাসিন্দাদের জন্য কর্মহীনতার মেয়াদ আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ৬ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বেকার ভাতা হিসেবে বাসিন্দাদের সপ্তাহে ৩০০ ডলার করে দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্যখাতে অনুদান: তৃতীয় নাগরিক প্রণোদনা প্যাকেজে স্বাস্থ্যখাতের জন্য বড় অনুদান রাখা হয়েছে। এই অনুদানের অর্থ করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে ও ওবামা প্রশাসনের এফোর্ডেবল কেয়ার এক্ট এর জন্য খরচ করা হবে। এই বিলের আওতায় ৪৬ বিলিয়ন ডলার ফেডারেল, স্টেট এবং লোকাল করোনা টেস্টিং সাইটের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া দেশব্যাপী করোনার টিকা বিতরণের জন্য আরো ১৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

এলএবাংলাটাইমস/ওএম

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত