উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ মোতায়েন
ট্রাম্পের অভিবাসী নীতি পাল্টানো সহজ হচ্ছে না
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
ক্ষমতায় আসার আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, ট্রাম্প আরোপিত কঠোর অভিবাসী নীতি ঢেলে সাজাবেন তিনি। ইতোমধ্যে অভিবাসী নীতি সংস্কারে বেশ কিছু নির্বাহী আদেশেও সই করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তবে বাস্তবতা হলো, খুব সহজেই সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরোপিত অভিবাসন নীতি সংস্কার সম্ভব নয়। ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০০টির মতো নিবর্তনমূলক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। এসবের ফলে পুরো অভিবাসন প্রক্রিয়াতে একটি ছন্দপতন হয়েছে।
এছাড়া ইমিগ্রেশন পলিসি ট্র্যাকিং প্রজেক্ট জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন প্রায় এক হাজারটির মতো অভিবাসী বিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। এসব সিদ্ধান্ত বাতিল করে একটি গ্রহণযোগ্য অভিবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা খুবই দীর্ঘমেয়াদি ও জটিল প্রক্রিয়া।
ট্রাম্পের এসব নীতি পরিবর্তন করতে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে জো বাইডেন প্রশাসনকে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণের বর্ডারে অভিবাসীপ-সংকট মেটাতে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে বাইডেন প্রশাসনকে।
ইতোমধ্যে, অভিবাসীদের সঙ্গে থাকা শিশুদের নিরাপদে রাখার জন্য ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট (ফেমা) কর্মকর্তাদের দক্ষিণের সীমান্তে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য হোমল্যান্ড সেক্রেটারি আলেজান্দ্রো মেওয়রকাস গত শনিবার ফেমা কর্মকর্তাদের সীমান্তে পাঠিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নির্দেশে ফেমা কর্মকর্তারা সীমান্তে আসা শিশুদের মানবিক আবাসন ও জরুরি চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করবেন।
এই প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দক্ষিণ সীমান্তের ইন-চার্জ রবের্তা জ্যাকবসন বলেন, ‘আমরা চাইলেই খুব সহজে গত চার বছরের নিয়ম-কানুন রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবো না। অভিবাসীদের জন্য কিছু সুবিধা খুব সতর্কভাবে নষ্ট করে রেখে গেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তার উপর মহামারি যোগ হয়ে এগুলো সামলানো আরো কঠিন হয়ে গেছে’।
প্রসঙ্গত, শুধু ফেব্রুয়ারি মাসেই এক লাখের বেশি অভিবাসী প্রত্যাশী দক্ষিণের সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে। এই ক্রমবর্ধিত অভিবাসী চাপের কারণে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে স্থান সংকুলান হচ্ছে না।
কোনো কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে ধারণ ক্ষমতার সাতগুণ বেশি মানুষকে রাখতে হচ্ছে। আর সীমান্তের এই সংকটময় মুহুর্তের জন্য দায়ি করা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনকে। রিপাবলিকান পার্টির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সীমান্তের এই সংকটময় পরিস্থিতির মূল কারণ বাইডেন প্রশাসনের অভিবাসী শিথিল নীতি।
তবে ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতারা একে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করছেন। এল পাসোর কংগ্রেসওমেন ভেরোনিকা এস্কোবার রোববার বলেন, ‘মূলত জো বাইডেনের উদারপন্থী নীতির কারণে নয় বরং ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে অভিবাসী দমন নীতির প্রভাব স্বরূপ দক্ষিণ সীমান্তে অভিবাসীর সংখ্যা বাড়ছে এবং মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হচ্ছে’।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন