উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ মোতায়েন
ডিটেনশন সেন্টারগুলোতে টিকা দেওয়া বিষয়ে নেই কোনো পরিকল্পনা
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
করোনা মহামারির শুরু পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপোর্টেশন সেন্টারগুলোতেও এর প্রভাব পড়েছে। ডিপোর্টেশন সেন্টারগুলোতে থাকা অনেক বাসিন্দাই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ও মারা গেছে।
দেশব্যাপী যখন করোনার টিকা দেওয়া নিয়ে জোরদার কর্মসূচি চালানো হচ্ছে, তখন জানা গেলো ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ইসিআই) টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে কোনো পরিকল্পনাই গ্রহণ করেনি।
ব্যুরো অফ প্রিজনের মতো ইসিআই স্থানীয় ও রাজ্যের হেলথ ডিপার্টমেন্টগুলোর উপর টিকা বিষয়ে নির্ভর করে আছে। ডিপোর্টেশন সেন্টারগুলোতে থাকা কতোজন বাসিন্দা এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছে, সেই বিষয়েও এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কিছদিন আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, আগামী মে মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সকল প্রাপ্তবয়ষ্ক বাসিন্দাকে টিকার আওতায় আনা হবে। ইমিগ্রেশন এজেন্ট জানিয়েছিলো, অভিবাসীদের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে ডিপোর্টেশনে থাকা বাসিন্দাদের আইনইজীবিদের অনেকেই জানিয়েছেন, আইসিই’র বাসিন্দাদের টিকা দেওয়া নিয়ে কোনো ধরণের পরিকল্পনা কিংবা গুরুত্ব নেই।
ক্যালিফোর্নিয়ার ডিজঅ্যাবিলিটি রাইটস অ্যাডভোকেট স্টাফ এটর্নি মেলিসা রাইস বলেন, ‘দেশে যেভাবে টিকাদান কর্মসূচী চলছে, সেভাবে টিকাদান কর্মসূচী বিষয়ে আইসিই’র কোনো ধরণের পরিকল্পনা নেই। ডিপোর্টেশন সেন্টারে বসবাসরতরা অনেক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পরিস্থিতি যে কোনো সময় ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে’।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ডিটেনশন সেন্টারগুলোতে বসবাসরতদের মধ্যে ১০ হাজার বাসিন্দা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া মারা গেছে আরো ৯ জন। বর্তমানে ৩৭০ বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত রয়েছে।
ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সূত্র মতে, যেসব স্থানে এক সাথে অনেক মানুষ থাকে, সেসব স্থানের বাসিন্দাদের করোনার টিকা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
সিডিসি’র মতে, কারাগার কিংবা ডিটেনশন সেন্টারগুলোতে একসাথে অনেক বাসিন্দা থাকে বলে করোনার স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মেনে চলা সম্ভব হয় না। তাই এসব স্থানে বসবাসরতদের দ্রুত টিকা প্রয়োগ করা উচিত।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন