দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে উপজেলায় থাকবেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট
স্কুল-কলেজের স্পোর্টস ইভেন্টে অংশ নিতে পারবেনা রূপান্তরিত নারীরা!
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাজ্য হিসেবে রূপান্তরিত মেয়ে ও নারীদের উপর বৈষম্যমূলক নতুন আইন জারি করেছে ফ্লোরিডা কর্তৃপক্ষ।
নতুন আইন অনুযায়ী, রূপান্তরিত লিঙ্গের মেয়েরা স্কুল কিংবা কলেজের স্পোর্টস ইভেন্টে নারী দলের হয়ে অংশ নিতে পারবে না৷
মঙ্গলবার (১ জুন) রাজ্যের রিপাবলিকান গভর্নর রন ডে'সান্তিস এই আইনে স্বাক্ষর করেন।
এই আইনে বলা হয়েছে, কোনো স্পোর্টস ইভেন্টে খেলোয়াড় নির্বাচনের সময় জন্ম সনদে উল্লেখিত 'বায়োলজিক্যাল সেক্স' বা লিঙ্গের উপর ভিত্তি করেই দল সাজাতে হবে। সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে রূপান্তরিত হয়ে নারী হওয়া শিক্ষার্থীরা কোনো স্পোর্টস ইভেন্টে অংশ নিতে পারবে না।
এই আইন পাশের পরেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এলজিবিটি কমিউনিটি এক্টিভিস্টরা৷ এক এক্টিভিস্ট গ্রুপ এই আইনের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিজ্ঞা করেন। এই আইনকে 'বৈষম্যমূলক' বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
ফ্লোরিডার গভর্নর ডে'সান্তিস জ্যাকসনভিল সিটির ক্রিশ্চিয়ান স্কুলে এই আইনটি স্বাক্ষর করার সময় বলেন, 'আমরা খেলাধূলার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার বিশুদ্ধতা বজায় রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ'।
'আমরা খেলাধূলার ক্ষেত্রে জীবতত্ত্বকে প্রাধান্য দিতে চাই, মতাদর্শকে নয়'- যোগ করেন তিনি।
রিপাবলিকান ভাবাদর্শের রাজনীতিবিদেরা সর্বদাই এলজিবিটি কমিউনিটির বিরোধীতা করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে ফ্লোরিডায় এই আইনটি পাশ হলো। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ ডেমোক্রেটিকরা এই কমিউনিটির ক্ষেত্রে সর্বদা উদার নীতি দেখিয়েছেন।
এই আইন কী বলে?
ফ্লোরিডার আইন অনুযায়ী, খেলাধূলার ক্ষেত্রে জন্ম সনদের উপর নির্ভর করে লিঙ্গ নির্ধারণ করা হবে।
ফেয়ারনেস ইন ওমেন'স স্পোর্টস অ্যাক্ট অনুযায়ী, মেয়েদের খেলাধূলায় কোনো পুং লিঙ্গের কেউই অংশ নিতে পারবে না৷
তবে হুট করেই নারী খেলোয়াড়দের জন্ম সনদ প্রদর্শন প্রয়োজন হলো কেনো- এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
এই আইনের সমর্থকেরা বলছেন, রূপান্তরিত নারীরা নারী দলে খেললে বেশি সুবিধা পায়। এর কারণ, এরা পুরুষ হিসেবে জন্ম নিলেও পরবর্তীতে রূপান্তর হয়েছে৷
তবে সমালোচকরা বলছেন, 'এটি খুবই অযৌক্তিক। এবং একই সাথে বৈষম্যমূলক'।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন