রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একজোট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) ওয়াশিংটনে জার্মান চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেলকে স্বাগত করেন। তিনি বলেন ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি একত্রে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কাজ করবে।‘
বাইডেন জানান যে তিনি মার্কেলের নিকট রাশিয়া-জার্মানি গ্যাস পাইপলাইন নিয়ে নিজের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। দুই পক্ষই একমত যে মস্কোকে শক্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে দেয়া যাবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জানান যে দুই মিত্র দেশই চীনে অগণতান্ত্রিক কাজের বিরোধিতা করবে।
মিসেস মার্কেল এই নিয়ে চারজন আমেরিকান প্রেসিডেন্টের সাথে কাজ করেছেন। তিনি আর নির্বাচনে দাঁড়াবেন না বলে নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবারে (১৫ জুলাই) প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও চ্যান্সেলর মার্কেল একত্রে একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন ‘আমরা একত্রে কাজ করছি ও একত্রে কাজ করে যাবো। আমাদের পূর্ব-ইউরোপীয় মিত্রদেরকে রুশ আগ্রাসন থেকে রক্ষা করবো।‘
তিনি জানান যে দুই মিত্র দেশ নর্ড স্ট্রিম ২ গ্যাসলাইনের ব্যাপারে একমত না। বাইডেনের মতে, এই পাইপলাইনটি রাশিয়া ইউক্রেন ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের উপর লেভারেজ হিসেবে ব্যবহার করবে।
সাম্প্রতিককালে, বাইডেন নর্ড স্ট্রিম ২ এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন । বাইডেন বলেন ‘ভালো বন্ধুরা সবসময় একমত প্রকাশ নাই করতে পারে।‘
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন যে ‘ গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় আমরা একসাথে কাজ করবো। বেইজিং কিংবা অন্য কোন দেশ যদি মুক্ত সমাজের বিরুদ্ধে আঘাত হানলে আমরা একত্রে তা প্রতিরোধ করবো।‘
বার্লিন আর বেইজিং এর মাঝে শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে। তারপরেও বার্লিন মানবাধিকারের ব্যাপারে বেইজিং এর কড়া সমালোচনা করেছে।
মিঃ বাইডেন সাংবাদিকদের জানান যে হাইতিতে চলমান অস্থিতিশীল পরিবেশে আমেরিকা হস্তক্ষেপের কথা ভাবছে না।
কিউবায় চলমান বিক্ষোভ নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে বাইডেন জানান যে ‘ব্যর্থ রাষ্ট্রটি’ তাঁর নাগরিকদের দমিয়ে রাখছে।
তিনি বলেন ‘কমিউনিজম একটি ব্যর্থ সিস্টেম। আমার মনে হয় না যে সোশ্যালিজমও ভালো ফলাফল বয়ে আনবে না।‘
উভয় নেতাই তাদের এক ঘন্টাব্যাপী বৈঠকের সৌহার্দ্যপূর্ণ প্রকৃতির উপর জোর দেন। মিসেস মার্কেল একাধিকবার তার হোস্টকে "ডিয়ার জো" বলে সম্বোধন করেন।
বাইডেন তাঁর অতিথিকে বলেন ‘সম্মেলনগুলোতে আপনাকে অনুপস্থিতি অনুভব করব।‘
এদিকে মিসেস মার্কেল জার্মানিতে বন্যার কারণে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের জন্য সহানুভূতি প্রকাশ করেন।
জার্মান নেতার সাথে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক শীতল ছিল। এর পাশাপাশি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ওবামা ও জর্জ বুশের সাথে তাঁর সম্পর্ক ততোটাও গভীর ছিলো না।
মিসেস মার্কেল সর্বপ্রথম ২০০৫ সালে জার্মানির চ্যান্সেলর হন। তিনি সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। তাঁর পার্টি ‘ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন’ জনমত জরিপে শীর্ষে আছে।
এলএবাংলাটাইমস/এমডব্লিউ
শেয়ার করুন