আপডেট :

        ধর্ষণ মামলায় হার্ভকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০২০ সালে দেওয়া রায় বাতিল

        ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের জেরে স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করল সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়

        ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট

        যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ দমনে মারমুখী পুলিশ

        ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেফতার শতাধিক

        পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে

        গাজা উপকূলে অস্থায়ী বন্দর যুক্তরাষ্ট্রের !

        রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করার নির্দেশ

        জাতীয় নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অবদান কখনোই ভুলবার নয়

        ৮৮ আসনে দুপুর পর্যন্ত কত ভোট পড়লো

        ২৬ জেলার ওপর তাপপ্রবাহ

        চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ রেকর্ড ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা

        চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ রেকর্ড ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা

        কেন্দ্রীয় কি ঋণখেলাপি ও অর্থপাচারের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে, প্রশ্ন টিআইবির

        ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

        বিমান হামলায় নিহত এক নারীর গর্ভ থেকে প্রসব হওয়া সন্তানটি মারা গেছে

        ফেনীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাং গ্রেফতার

        তাপ্প্রবাহে ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড

        তিন দিনের সফরে বর্তমানে চীনে রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন

        ভারতীয় দলে হার্দিক পাণ্ডিয়া ও বিরাট কোহলি নেই

অরেগনে দাবানল বাড়ছে, পুড়ে গেছে ৩ লাখ একরেরও বেশি জমি

অরেগনে দাবানল বাড়ছে, পুড়ে গেছে ৩ লাখ একরেরও বেশি জমি

ছবি: এলএবাংলাটাইমস

অরেগন অঙ্গরাজ্যে দেশের এখন সবচেয়ে সক্রিয় দাবানলটিতে ৩ লাখ একরেরও বেশি জমি পুড়ে গেছে। দাবানলের কারণে হাজার হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

প্রায় ২০০০ এরও অধিক দমকলকর্মী ‘বুটলেগ ফায়ার’ নামক দাবানলটির মোকাবেলা করছে। দাবানলটিকে অরেগনের ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ দাবানল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আগুনটি জুলাই মাসের ৬ তারিখে শুরু হয়। ইতোমধ্যে এটি লস এঞ্জেলস শহরের চেয়ে বেশি বড় আকার ধারণ করেছে।

বর্তমানে দেশ জুড়ে চলতে থাকা ৮০টি বড় দাবানলের মধ্যে এটি অন্যতম। বর্তমানে পুরো দেশের ১৩টি রাজ্যজুড়ে ৮০টি বড় দাবানল চলছে। এইসব দাবানল তৈরির পিছে হিট ওয়েব ও প্রবল বাতাসকে দায়ী করা হচ্ছে।

দাবানলটিকে বুটলেগ ফায়ার নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। মূলত, দাবানলটির পাশেই অবস্থিত ‘বুটলেগ স্প্রিংস’ নামক ঝর্ণার নামে দাবানলটির নামকরণ করা হয়েছে। দাবানলটি ইতোমধ্যে ১৬০টিরও অধিক ভবন ও বাড়ি ধ্বংস করেছে। দাবানলটি প্রায় দুই হাজারের মতো মানুষকে তাদের বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য করেছে। 

কর্তৃপক্ষ জানায় যে আগুনটির এক চতুর্থাংশ নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে।

রবিবারে (১৮ জুলাই) অপারেশন সেকশন চিফ জন ফ্ল্যানিগান বলেন ‘আবহাওয়া আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার পাশাপাশি অস্থিতিশীল বাতাসের কারণে তাপ দ্রুত গতিতে বাড়ছে।‘

এই সপ্তাহের আবহাওয়া আগুন নিভানোর কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এই সপ্তাহে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১০-১৫ ডিগ্রি বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে। এর পাশাপাশি খরাও দেখা যেতে পারে।

আগুনটি পোর্টল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বদিকে ৪৮০কিঃমিঃ জায়গাজুড়ে জ্বলছে। ইতোমধ্যে এটি ১৬০টির অধিক ভবন ধ্বংস করেছে ও আরও শত শত ভবন ধ্বংস করার সম্ভাবনা রাখে।  

ক্লামাথ ফলস ও রেডমন্ড সহ কয়েকটি শহরের বাসিন্দাদের জন্য  দুটি আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।

ন্যাশনাল ইন্টারেজেন্সি ফায়ার সেন্টারের মতে, এই বছরে দেশের ১২ লাখ একর জমি দাবানলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশিরভাগ দাবানলই পশ্চিমদিকের রাজ্যগুলোতে ঘটেছে।

সংস্থাটির হিসাবমতে, ২০২১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত আমেরিকাতে  চার হাজারের বেশি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যাটি ২০২০ সালের মোট দাবানলের সংখ্যার দ্বিগুণ।

শুধুমাত্র ক্যালিফোর্নিয়ায়, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি একর জমি পুড়ে গেছে।

ধারণা করা হচ্ছে যে, রাজ্যটিতে সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া ‘ডিক্সি ফায়ার’ নামক দাবানলের পিছনে ‘পিজি অ্যান্ড ই’ নামক একটি ইউটিলিটি ফার্ম দায়ী। উল্লেখ্য যে, এই একই ফার্মের কারণে ২০১৮ সালে রাজ্যটিতে ‘ক্যাম্প ফায়ার’ নামক দাবানলের সৃষ্টি হয়েছিলো। ‘ক্যাম্প ফায়ার’ দাবানলটি ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক দাবানল হিসেবে কুখ্যাত।

আমেরিকার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশ কানাডাতেও দাবানলের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কানাডিয়ান ইন্টারেজেন্সি ফরেস্ট ফায়ার সেন্টার জানায়, কানাডাতে বিগত সপ্তাহেই ১৫০ এর অধিক নতুন দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানায়,  বহু বছর ধরে চলা খরার কারণে ২০২১ সালে উত্তর আমেরিকায় দাবানলের সংখ্যা পূর্বের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বৃদ্ধি পাবে।

বিজ্ঞানীদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শুষ্ক ও গরম আবহাওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। এই শুষ্ক ও গরম আবহাওয়ার কারণে দাবানলের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।  

শিল্প যুগ শুরু হওয়ার পর থেকে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ইতোমধ্যে ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের সরকার যদি গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন কমাতে না পারে, তাহলে এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতেই থাকবে।

 এলএবাংলাটাইমস/এমডব্লিউ

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত