গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ থেকে রেহাই পেলেন ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
বিলিওনিয়ার লগ্নিকারক এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা থমাস ব্যারাকের বিরুদ্ধে বিদেশী সরকারের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির যে অভিযোগ আনা হয়, সেটি প্রমাণিত হয়নি। ফলে এই অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পেলেন তিনি।
থমাস ব্যারাক (৭৪) ২০১৬ সাল থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন শীর্ষ উপদেষ্টা ও দাতা।
তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনের আগে এবং পরে অবৈধভাবে ইউনাইটেড আরব আমিরাত (ইউএই) সরকারের হয়ে তদবির করার অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (এফবিআই) মিথ্যা তথ্য প্রদানের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোমবার (২৬ জুলাই) নিউ ইয়র্ক আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো শুনানি হয় এবং এই অভিযোগগুলো মিথ্যা হিসেবে সাব্যস্ত হয়।
ক্যালিফোর্নিয়া থেকে গত সপ্তাহে থমাসকে আটক করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে ষড়যন্ত্রের মামলা, ন্যায়বিচারে বাঁধা প্রদান ও এফবিআই এর কাছে ভুল তথ্য পরিবেশনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।
সোমবার রায় শেষে ব্যারাক বলেন, 'আমরা যেভাবে আশা করছিলাম, সিস্টেম সেভাবেই কাজ করছে। আমি যে শতভাগ নিষ্পাপ, সেটি শীঘ্র প্রমাণিত হবে'৷
থমাস ব্যারাকের কর্মী ম্যাথিউ গ্রিমেসের বিরুদ্ধেও একই ধরণের অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেসব অভিযোগ থেকেও নিষ্কৃতি পেয়েছেন গ্রিমেস। একই সাথে ইউএই'র নাগরিক রাশিদ সুলতান রাশিদ আল মালিক আলশাহির (৪৩) বিরুদ্ধে আনা অভিযোগও প্রমাণিত হয়নি এবং তাঁকে এসব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এই তিনজনের বিরুদ্ধেই ইউএই সরকারের স্বার্থ রক্ষায় থমাস ব্যারাকের রাজনৈতিক যোগাযোগ অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ইউএই'র ঘনিষ্ঠদের আবুধাতি কূটনীতিক হিসেবে নিয়োগের অভিযোগ আনা হয়।
থমাস ব্যারাক সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চার দশকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। নির্বাচনের সময় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
আগামী ২ সেপ্টেম্বর আবারো আদালতে উপস্থিত হতে হবে থমাস ব্যারাককে। ব্যারাক বর্তমানে ২৫০ মিলিয়ন বন্ডের বিনিময়ে জামিনে আছেন৷ তবে তাঁকে বাধ্যতামূলক ইলেট্রনিক জিপিএস অ্যাংকেল ব্রেসলেট, চলাচল এবং কারফিউ এর আওতাধীন থাকতে হবে৷
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন