হোয়াইট হাউজের সঙ্গে নিরাপত্তা নির্দেশিকা নিয়ে চুক্তি করলো এআই প্রতিষ্ঠানগুলো
হোয়াইট হাউজ শুক্রবার ঘোষণা করেছে, বাইডেন প্রশাসন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পণ্য তৈরি করে এমন সাতটি সংস্থার সাথে একটি স্বতপ্রণোদিত ভিত্তিক চুক্তিতে পৌঁছেছে। এই চুক্তির লক্ষ্য হলো প্রযুক্তিটির নিরাপদে বিকাশ নিশ্চিত করার জন্য একটি নির্দেশিকা তৈরি করা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সংবাদদাতাদের বলেন, “এই অঙ্গীকারগুলো বাস্তব; এগুলো সুসংহত। আমেরিকার নাগরিকদের কাছে এই শিল্পের কিছু মৌলিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং বিশ্বাসযোগ্য প্রযুক্তি বিকাশ করা; যার মাধ্যমে সমাজ উপকৃত হবে এবং আমাদের মূল্যবোধ ও অভিন্ন মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখবে। অঙ্গীকারগুলো সে প্রচেষ্টাকে সাহায্য করবে।”
হোয়াইট হাউজে যেসব প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি পাঠিয়েছে, সেগুলো হলো; অ্যামাজন, অ্যানথ্রোপিক, গুগল, ইনফ্লেকশন, মেটা, মাইক্রোসফট ও ওপেনএআই। সংস্থাগুলো যে পদ্ধতির উন্নয়ন ঘটাচ্ছে, তা লার্জার ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এলএলএম) নামে পরিচিত। এটা ইন্টারনেট থেকে নেয়া প্রচুর পরিমাণের তথ্য ব্যবহার করতে সক্ষম ভবিষ্যত নির্দেশক বিশ্লেষণ করতে সক্ষম এবং কথোপকথনের মাধ্যমে প্রশ্নের জবাব দিতে পারে। জনপ্রিয় চ্যাটজিপিটি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই এক বিবৃতিতে বলেছে, “হোয়াইট হাউজের সমন্বয়ে নেয়া এই প্রক্রিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বজুড়ে অর্থবহ ও কার্যকর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পরিচালনার অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।“
শুক্রবার সকালে হোয়াইট হাউজ প্রকাশিত এই চুক্তিতে তিনটি মূল বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এগুলো হলো; এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স পণ্য ব্যাপকভাবে সহজলভ্য হওয়ার আগে জনগণের ব্যবহারের জন্য তা নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত করা; এমন পণ্য তৈরি করা, যা নিরাপদ এবং যার পরিকল্পনাহীন অপব্যবহার যাতে করা না যায়, তা নিশ্চিত করা; এবং প্রযুক্তিবিকাশকারী সংস্থাগুলো কীভাবে কাজ করে এবং তারা কী তথ্য সংগ্রহ করে সে সম্পর্কে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, যাতে জনমনে আস্থা সৃষ্টি হয়।
ভয়েস অফ আমেরিকারর পক্ষ থেকে যেসব বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে, তারা সকলেই বলেছেন, এই চুক্তি উদীয়মান এআই প্রযুক্তির কার্যকর নিয়ন্ত্রণের পথে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে তারা সতর্ক করেছেন, এই শক্তিশালী মডেলগুলোর সম্ভাব্য ক্ষতি অনুধাবন করতে এবং এই ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে আরো অনেক কাজ করতে হবে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন