আপডেট :

        দীর্ঘ অভিজ্ঞতার পরও এড়ানো গেল না বিমান দু র্ঘ ট না

        স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্রেই অবহেলা স্বাস্থ্যবিধি

        পাকিস্তানের শোকবার্তা: ভারতীয় বিমান দু র্ঘ ট না

        পাচার হওয়া অর্থের তথ্য সংগ্রহে বড় চ্যালেঞ্জ: মন্তব্য

        এ টি এম আজহারুল: ‘জনসমর্থন থাকলে পালানোর প্রশ্নই ওঠে না’

        নির্বাচনী কাঠামো পরিবর্তন ছাড়া নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন অসম্ভব

        তারেক রহমান জানালেন ভারত বিমান দু র্ঘ ট না র জন্য শোক

        একতরফা নির্বাচন নিয়ে সরব জিএম কাদের

        আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারি হেলথ কেমন?

        জোভানের ‘আশিকি’ দখল করল ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষ স্থান

        ‘কোন একদিন’ দিয়ে ফিরলেন আফজাল-মৌ জুটি

        আমিরের সঙ্গে পর্দায় ফিরছেন জেনেলিয়া

        অবশেষে অনুদানের অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য শাকিব খান

        সমু চৌধুরী উদ্ধার: পুলিশ জানালো ঘটনার বিবরণ

        হামজারা এখনও এশিয়ান কাপের দৌড়ে টিকে আছে

        শান্তর মন্তব্য: টেস্ট ফাইনাল নয়, এখন মনোযোগ প্রক্রিয়ায়

        ফিফা র‍্যাংকিংয়ে উন্নতির ঝলক বাংলাদেশের নারী ফুটবলে

        শান্তর সরে দাঁড়ানো: ব্যাটিং ফোকাসেই সিদ্ধান্ত

        লেভানদোভস্কি-কোচ বিরোধ: পোল্যান্ড কোচ সরে দাঁড়ালেন

        ব্লেন্ডার ছাড়াই টিকিয়া বানানোর মজার রেসিপি

ডিএনএ টেস্টে ৫০ বছর পর দেখা হয়ে গেল দুই বোনের

ডিএনএ টেস্টে ৫০ বছর পর দেখা হয়ে গেল দুই বোনের

ছবি: এলএবাংলাটাইমস

আরও একজন বোন থাকার কথা জানতেন না দুই বোনের কেউই। তবু ৫০ বছর পর ডিএনএ পরীক্ষা মিলিয়ে দিল তাঁদের।

যুক্তরাষ্ট্রের কারেন স্যান্ডিন এবং জেনিফার জনসনের মা একই হলেও তাঁদের বাবা ছিলেন আলাদা। এই ব্যবধানটুকুই একই মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া দুই বোনকে আলাদা করে রেখেছিল দশকের পর দশক।

বোনকে পাওয়ার অনুভূতিকে যেন কোনো শব্দেই প্রকাশ করতে পারছিলেন না কারেন স্যান্ডিন। বর্তমানে স্যান্ডিনের বয়স ৫৫ বছর, আর জেনিফার জনসন পা রেখেছেন ৫২ বছরে।
একই মায়ের গর্ভে জন্ম হলেও ইতিপূর্বে তাঁদের মধ্যে কোনো দিনও দেখা হয়নি। জন্মের পর থেকেই দাদা-দাদির কাছে বেড়ে উঠেছিলেন স্যান্ডিন।

স্যান্ডিন জানান, সম্প্রতি স্বামী মারা যাওয়ার পর একসঙ্গে ২৫ বছর ধরে বসবাস করা নিজের বাড়িটি তিনি পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় তিনি তাঁর দাদির রেখে যাওয়া সব ছবি, চিঠি ও সার্টিফিকেটগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিলেন। এসব দেখতে দেখতেই স্যান্ডিনের মনে হলো—তাঁর মা হয়তো এখনো বেঁচে আছেন। হয়তো তাঁর আরও ভাই-বোনও রয়েছে। এমন ভাবনা থেকেই শেষ পর্যন্ত পারিবারিক বংশ পরিক্রমা নিয়ে কাজ করা অ্যাঙ্কেস্ট্রি ডটকমের দ্বারস্থ হন তিনি।

এদিকে জেনিফারও অ্যাঙ্কেস্ট্রি ডটকমে গিয়েছিলেন আরও পাঁচ বছর আগেই। এর ফলে চলতি বছর অ্যাঙ্কেস্ট্রি ডটকমে স্যান্ডিন যোগ দিয়েই বোন জেনিফারকে তিনি পেয়ে যান।

স্যান্ডিন জানান, অ্যাঙ্কেস্ট্রি ডটকমের সাহায্যে তিনি তাঁর এক মামাকেও খুঁজে পেয়েছেন। স্যান্ডিনের মা তথা নিজের বোনকে খুঁজছিলেন সেই ব্যক্তি। অবশেষে স্যান্ডিনকে পেয়ে যাওয়ায় অনেক বড় উপকার হয়েছে তাঁর। কারণ বর্তমানে কিছু মানসিক অক্ষমতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

একে অপরকে আবিষ্কারের পর থেকেই দেখা হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতি সন্ধ্যায় একে অপরের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন স্যান্ডিন এবং জেনিফার। কারণ তাঁরা দুজন আমেরিকার দুই অঙ্গরাজ্যে বসবাস করেন। এর মধ্যে জেনিফার থাকেন ওকলাহোমায় এবং স্যান্ডিন থাকেন আরকানসাসে।

দুঃখজনক বিষয় হলো—বহু বছর আগে জেনিফারও তাঁর মায়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ তাঁকে দত্তক নিয়েছিল আরেকটি পরিবার। এবার তাঁরা দুই বোন এক হয়ে হারানো মাকে খুঁজে পাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। এ জন্য একে অপরকে আরও জানতে এবং একসঙ্গে আরও সময় কাটানোরও পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা।

স্যান্ডিন বলেন, ‘আমরা আশা করি, আমাদের জৈবিক মাকে আমরা খুঁজে পাব এবং আমাদের পরিবার সম্পর্কে আরও জানতে চাচা এবং কিছু কাজিনের সঙ্গে সময় কাটাব।’

এলএবাংলাটাইমস/এজেড

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত