আপডেট :

        সিলেটে পাথরের সঙ্গে শাহ আরেফিন টিলাও লুট হয়ে গেল

        ডাকসুর আজীবন সদস্যের প্রস্তাবে হাসিনা মানতে পারেননি ‘ভেটো’, প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হামলা

        চীনের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে স্বস্তিতে ভারত

        যুক্তরাষ্ট্রে শিপিং জালিয়াতি মামলায় ক্যালিফোর্নিয়ার এক ব্যক্তির কারাদণ্ড

        আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে যাত্রী বেড়ে রেকর্ড গড়ল অন্টারিও বিমানবন্দর

        ক্যালিফোর্নিয়ায় গুলিতে তিনজনের মৃত্যু

        মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ৬,০০০ শিক্ষার্থী ভিসা বাতিল করেছে

        বাহামাসের একই রিসোর্টে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু

        সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেল এজেন্ট মোতায়েন, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ নিউসমের

        ক্যালিফোর্নিয়ায় পানির নিচ থেকে নিখোঁজ মা ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার

        ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ড পাঠাচ্ছে তিন রিপাবলিকান অঙ্গরাজ্য

        হারিকেন এরিন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দিকে ধেয়ে আসছে, আকারে বড় হচ্ছে ঝড়

        আনাহাইমে কার ওয়াশ ও হোম ডিপোতে অভিবাসন অভিযান, আটক একাধিক ব্যক্তি

        সান বার্নার্ডিনোতে অভিবাসন অভিযানে ফেডারেল এজেন্টের গুলি

        এয়ার কানাডার ফ্লাইট রবিবার থেকে চালু

        দেশে ফেরার সম্ভাবনা শেষ! সাকিবের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

        ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টার স্পষ্ট ঘোষণা

        প্রথম দিনেই ‘ধূমকেতু’ ২ কোটি আয় করল

        ওয়েব সিরিজে ‘ছোট বাদশা’ আরিয়ান খান, বাবার ভঙ্গিতেই ডেবিউ

        ইয়েমেনের রাজধানীতে বিস্ফোরণ: ইসরায়েলের হামলায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন

ডিএনএ টেস্টে ৫০ বছর পর দেখা হয়ে গেল দুই বোনের

ডিএনএ টেস্টে ৫০ বছর পর দেখা হয়ে গেল দুই বোনের

ছবি: এলএবাংলাটাইমস

আরও একজন বোন থাকার কথা জানতেন না দুই বোনের কেউই। তবু ৫০ বছর পর ডিএনএ পরীক্ষা মিলিয়ে দিল তাঁদের।

যুক্তরাষ্ট্রের কারেন স্যান্ডিন এবং জেনিফার জনসনের মা একই হলেও তাঁদের বাবা ছিলেন আলাদা। এই ব্যবধানটুকুই একই মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া দুই বোনকে আলাদা করে রেখেছিল দশকের পর দশক।

বোনকে পাওয়ার অনুভূতিকে যেন কোনো শব্দেই প্রকাশ করতে পারছিলেন না কারেন স্যান্ডিন। বর্তমানে স্যান্ডিনের বয়স ৫৫ বছর, আর জেনিফার জনসন পা রেখেছেন ৫২ বছরে।
একই মায়ের গর্ভে জন্ম হলেও ইতিপূর্বে তাঁদের মধ্যে কোনো দিনও দেখা হয়নি। জন্মের পর থেকেই দাদা-দাদির কাছে বেড়ে উঠেছিলেন স্যান্ডিন।

স্যান্ডিন জানান, সম্প্রতি স্বামী মারা যাওয়ার পর একসঙ্গে ২৫ বছর ধরে বসবাস করা নিজের বাড়িটি তিনি পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় তিনি তাঁর দাদির রেখে যাওয়া সব ছবি, চিঠি ও সার্টিফিকেটগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিলেন। এসব দেখতে দেখতেই স্যান্ডিনের মনে হলো—তাঁর মা হয়তো এখনো বেঁচে আছেন। হয়তো তাঁর আরও ভাই-বোনও রয়েছে। এমন ভাবনা থেকেই শেষ পর্যন্ত পারিবারিক বংশ পরিক্রমা নিয়ে কাজ করা অ্যাঙ্কেস্ট্রি ডটকমের দ্বারস্থ হন তিনি।

এদিকে জেনিফারও অ্যাঙ্কেস্ট্রি ডটকমে গিয়েছিলেন আরও পাঁচ বছর আগেই। এর ফলে চলতি বছর অ্যাঙ্কেস্ট্রি ডটকমে স্যান্ডিন যোগ দিয়েই বোন জেনিফারকে তিনি পেয়ে যান।

স্যান্ডিন জানান, অ্যাঙ্কেস্ট্রি ডটকমের সাহায্যে তিনি তাঁর এক মামাকেও খুঁজে পেয়েছেন। স্যান্ডিনের মা তথা নিজের বোনকে খুঁজছিলেন সেই ব্যক্তি। অবশেষে স্যান্ডিনকে পেয়ে যাওয়ায় অনেক বড় উপকার হয়েছে তাঁর। কারণ বর্তমানে কিছু মানসিক অক্ষমতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

একে অপরকে আবিষ্কারের পর থেকেই দেখা হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতি সন্ধ্যায় একে অপরের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন স্যান্ডিন এবং জেনিফার। কারণ তাঁরা দুজন আমেরিকার দুই অঙ্গরাজ্যে বসবাস করেন। এর মধ্যে জেনিফার থাকেন ওকলাহোমায় এবং স্যান্ডিন থাকেন আরকানসাসে।

দুঃখজনক বিষয় হলো—বহু বছর আগে জেনিফারও তাঁর মায়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ তাঁকে দত্তক নিয়েছিল আরেকটি পরিবার। এবার তাঁরা দুই বোন এক হয়ে হারানো মাকে খুঁজে পাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। এ জন্য একে অপরকে আরও জানতে এবং একসঙ্গে আরও সময় কাটানোরও পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা।

স্যান্ডিন বলেন, ‘আমরা আশা করি, আমাদের জৈবিক মাকে আমরা খুঁজে পাব এবং আমাদের পরিবার সম্পর্কে আরও জানতে চাচা এবং কিছু কাজিনের সঙ্গে সময় কাটাব।’

এলএবাংলাটাইমস/এজেড

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত