আপডেট :

        আজ কানাডায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে

        পোপ নির্বাচিত হন যেভাবে

        সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস

        উডল্যান্ড হিলসে রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ

        দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় নারী কেন্দ্রিক ফায়ার একাডেমিতে নারীদের অগ্রগতি

        ওরেঞ্জ কাউন্টিতে ডাকাতির তদন্তে মিলল অবৈধ মাদক কারখানার সন্ধান

        ডাউনটাউন লং বিচে ভয়াবহ দুর্ঘটনা: ৬ জন হাসপাতালে ভর্তি

        ভ্যানকুভারে ফিলিপিনো উৎসবে গাড়ি হামলা: নিহত ৯, বহু আহত

        পোমোনার অটো বডি শপে কাউন্টি ও ফেডারেল এজেন্টদের অভিযান

        আরব সাগরে ভারতীয় নৌবাহিনী যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল

        ভারত ও পাকিস্তান নিয়ে আগ বাড়িয়ে কিছু করতে চাই না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

        যেভাবে বুঝবেন হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন

        কানাডায় লাপু লাপু উৎসবে গাড়ি হামলায় নিহত ৯

        আজ সিলেট থেকে চালু হচ্ছে কার্গো ফ্লাইট

        আসছে কে-পপ 'সেভেন্টিনের' নতুন অ্যালবাম ‘হ্যাপি বার্স্টডে’

        দুধ–ভাত কি খাচ্ছেন?

        এ. কে. ফজলুল হকের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে

        ‘দম্ভ দেখানো’ তাওহীদ হৃদয়ের আবারও শাস্তি

        হজযাত্রীদের জন্য অ্যাপ ‘লাব্বাইক’ চালু করতে যাচ্ছে সরকার

        ভারত-পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যে আবার গোলাগুলি

যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এল সালভাদরের বিতর্কিত কারাগার পরিদর্শন

যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এল সালভাদরের বিতর্কিত কারাগার পরিদর্শন

ছবি: এলএবাংলাটাইমস

যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোম এল সালভাদরের একটি বিতর্কিত কারাগার পরিদর্শন করতে যাচ্ছেন, যেখানে সম্প্রতি ২৩৮ জন ভেনেজুয়েলান বন্দিকে পাঠানো হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, এই ব্যক্তিরা ভেনেজুয়েলার কুখ্যাত অপরাধী গ্যাং Tren de Aragua-এর সদস্য। ট্রাম্প প্রশাসন ১৭৯৮ সালের “এলিয়েন এনিমিজ অ্যাক্ট” ব্যবহার করে তাদের দ্রুত নির্বাসিত করে এল সালভাদরে পাঠিয়েছে।

তবে এই পদক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেক পরিবারের সদস্য দাবি করেছেন, তাদের প্রিয়জনেরা কোনো অপরাধী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন। এই পরিস্থিতির মধ্যে নোমের এল সালভাদর সফর এবং বিশেষ করে “টেররিজম কনফাইনমেন্ট সেন্টার” (সেকট) কারাগার পরিদর্শনকে দেশটির প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলেকে সমর্থন জানানোর অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের প্রশংসা, কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ

নোম তার সফরের অংশ হিসেবে এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এল সালভাদরে গ্যাং দমন অভিযান চালানোর অংশ হিসেবে বুকেলে এই বিশাল কারাগারটি তৈরি করেছেন। সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এল সালভাদর সফর করার সময় বুকেলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঠানো বন্দিদের সেখানে রাখার প্রস্তাব দেন।

রুবিও এটিকে “বন্ধুত্বের নজিরবিহীন উদাহরণ” বলে প্রশংসা করলেও, মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছেন, এই কারাগারে বন্দিরা জানালাবিহীন কক্ষে থাকতে বাধ্য হন এবং খালি ধাতব বাঙ্কের ওপর ঘুমান। এটি একটি “কংক্রিট ও স্টিলের গর্ত” ছাড়া কিছু নয় বলে সমালোচনা করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা।

এদিকে, এই বন্দিদের দ্রুত নির্বাসনের বৈধতা নিয়েও বিতর্ক চলছে। ফেডারেল বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করেছেন এবং ১৭৯৮ সালের আইনের ব্যবহারকে অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন। ট্রাম্প এই আইন ব্যবহার করে বন্দিদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে বলেন, “আমরা আমাদের দেশ থেকে খারাপ লোকদের সরিয়ে দিয়েছি।” হোয়াইট হাউস পরে জানিয়েছে, এসব বন্দিদের ব্যাপক যাচাই-বাছাই করেই বহিষ্কার করা হয়েছে।

তবে, ভেনেজুয়েলায় থাকা তাদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, তারা কোনো অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো পূর্ববর্তী অপরাধের রেকর্ডও নেই।

বিচারকদের কড়া সমালোচনা ও ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন কোর্ট অফ আপিলস-এর এক বিচারক মন্তব্য করেছেন যে, “নাজিরাও এই আইনের অধীনে ভালো ব্যবহার পেয়েছিল।” বিচারকের এই মন্তব্য ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

অন্যদিকে, এল সালভাদরের কিছু আইনজীবী, যারা ধারণা করা হচ্ছে ভেনেজুয়েলা সরকারের সমন্বয়ে কাজ করছে, তারা দেশটির সুপ্রিম কোর্টে বন্দিদের মুক্তির জন্য আবেদন করেছে।

ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি অব্যাহত

এটি ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় মেয়াদে অভিবাসনবিরোধী কঠোর নীতির অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প Tren de Aragua এবং MS-13-কে “বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন” হিসেবে ঘোষণা করে একটি নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করেন।

প্রচারণার সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার শাসনামলে অবৈধ সীমান্ত পারাপারের সংখ্যা কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন হলেও, বহিষ্কারের গতি প্রত্যাশিতভাবে এগোচ্ছে না বলে ট্রাম্প হতাশা প্রকাশ করেছেন।

এলএবাংলাটাইমস/ওএম

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত