পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয়ব
‘ঐক্যফ্রন্ট বনাম প্রশাসনের নির্বাচন চলছে’
‘পুলিশ রাতের বেলায় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করছে। নেতাকর্মীদের বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ যুক্ত হয়ে নেতাকর্মী ও পরিবারের লোকজনকে গালাগাল করে তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে আমাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এতে বুঝা যায়, চাঁদপুর- ৫ আসনে ঐক্যফ্রন্ট বনাম প্রশাসনের নির্বাচন চলছে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মমিনুল হক সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে মমিনুল হক বলেন, পুলিশ নির্বিচারে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। ইতিমধ্যে আমাদের ৭৮জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চারশ’ নেতাকর্মীর নামে ও বেনামে এক হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা হামলার কারণে নেতাকর্মীরা বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আমি গণসংযোগে বের হতে পারছি না। জনগণকে আসামি করে মেজর (অব:) রফিকুল ইসলাম ফের এমপি হতে চান।
তিনি বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য মেজর (অব:) রফিকুল ইসলাম ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে কারচুপির মাধ্যমে এবং ২০১৪ সালে ভোটবিহীন নির্বাচনে এমপি হয়েছেন। তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। সন্ত্রাস ও প্রশাসনের মাধ্যমে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি জয়ী হতে চান। কিন্তু হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির মানুষ এটি মেনে নেবে না।
মমিনুল আরও বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ উপজেলার বেলচোঁ বাজারে গণসংযোগস্থল থেকে ১৯জন নেতাকর্মীকে পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে রাতে ১৭ জন নেতাকর্মীকে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পূর্বের একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলে পাঠানো হয়। যার মধ্যে একজন ভাতাপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধী রয়েছেন। ১৪ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কাজিরগাঁও, সুহিলপুর ও ছয়ছিলা গ্রামে এসআই জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে পুলিশ তার গণসংযোগ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ১৫ ডিসেম্বর শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের লোটরা বাজারে গণসংযোগে আসা নেতাকর্মীদের উপরে পুলিশ ও ছাত্রলীগ অতর্কিত হামলা করে। এ সময় ২০জন নেতাকর্মী গুরুতর জখম হন।
তিনি বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলাপ্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে উল্লেখিত বিষয়ে বক্তব্য রাখি। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার প্রচারণার ক্ষেত্রে সমঅধিকারের বিষয়ে আমাকে আশস্ত করেন। কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন হয়নি। কারণ ১৮ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জের গর্ন্ধব্যপুর ইউনিয়ন ও শাহরাস্তি দোফল্লা বাজারে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগ হামলা করে। ওই স্থান থেকে আমাদের ৪জন নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পুলিশের আসার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা আমার নিরাপত্তার জন্য এসেছেন এবং নেতাকর্মীদের গণসংযোগস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন।
এ সময় সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান খাঁন বাচ্চু, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদ হোসেন মোল্লা, যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনির, এম এ রহিম পাটওয়ারী, আবু সুফিয়ান রানা, এম এ নাফের শাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শেয়ার করুন