উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ মোতায়েন
নির্বাচন ভবন উড়িয়ে দেয়ার হুমকি
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে হুমকির মধ্যে পড়েছেন নির্বাচন কমিশনের কমিশনার সচিবসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে নির্বাচন ভবন উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। গেল কয়েকদিন ধরেই এ ধরনের বার্তা পাচ্ছেন তারা।
শুক্রবার রাতে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দিন বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি বিষয়টি অবহিত রয়েছি। এ জন্য আজ থেকে নির্বাচন কমিশনে চার স্তর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
০১৮৮০৯০৮৭৩০ নম্বরে পাঠানো এ ক্ষুদে বার্তায় বলা হয়েছে- ‘আল্লাহু আকবার। এই কুফরি নির্বাচন বন্ধ কর অথবা মুজাহীদদের হাতে ভয়ংকর পরিনতির জন্য প্রস্তুত থাক। যেকোনো সময় নির্বাচন কমিশন উড়িয়ে দিতে আমরা রেডি। ইনশা আল্লাহ @মুজাহীদিন।’
এদিকে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, হুমকিতে অনেকের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে নির্বাচন ভবনে তিন স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সকল বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনেই নির্বাচন কমিশন ও কমিশন সচিবালয়। নির্বাচন ভবন উড়িয়ে দেয়ার হুমকি এবারই প্রথম। এর আগে দশম সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন চত্বর ও নির্বাচন কমিশনারদের বাসায় ককটেল হামলা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রচারণা শেষ করেছেন প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশনও সবধরনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছে। এবার সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। দীর্ঘ ১০ বছর পর মুখোমুখি হতে যাচ্ছে রাজনীতিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তারা উভয়ই জোটবদ্ধভাবে ভোটে অংশ নিয়েছে।
এবারই প্রথম দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে আওয়মী লীগ বিরুধীদের চরম নির্যাতন চালাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও সরকারের পক্ষ হয়ে দেশব্যাপী দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বরং তারাও সরকারের পক্ষপাতিত্ত করছে। এজন্য দেশের মানুষ এই নির্বাচন কশিনের উপর ব্যাপক ক্ষুব্ধ।
এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৮০০ এর বেশি প্রার্থী। এর মধ্যে ৫০ জনের মতো রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী, বাকিরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনী, বিডিআর, র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভোট কেন্দ্রে প্রায় ৬ লাখ ৮ হাজার ফোর্স নিয়োজিত রয়েছে। তাছাড়া সারাদেশে জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের টহল দল নিয়োজিত রয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শেয়ার করুন