নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ
ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
রোববার দিনভর তিনি অচেতন থাকলেও রাতে তার জ্ঞান ফেরে এবং তিনি চোখ মেলে তাকান।
তার উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এমনকি ইশারায় তিনি পানি চাইলে চিকিৎসকরা তাকে নলের মাধ্যমে তা খেতে দেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুমূর্ষু অবস্থায় দিনভর ভেন্টিলেশন মেশিনে অচেতন ছিলেন।
বিএসএমএমইউর চিকিৎসকরা জানান, রাতে তিনি চোখ মেলে তাকিয়েছেন। তার উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, প্রস্রাবও হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে ওবায়দুল কাদেরকে বিএসএমএমইউর ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেয়া হয়। সেখান থেকে জরুরি ভিত্তিতে তাকে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) নিয়ে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসকরা তার মেডিক্যাল চেকআপ করেন। চেকআপ শেষে তাকে দ্রুত এনজিওগ্রাম করার পরামর্শ দেন। পরে এনজিওগ্রাম শেষে ওবায়দুল কাদেরের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ার কথা জানান চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল রোববার সকালে এনজিওগ্রামের পর ওবায়দুল কাদেরের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। তার হার্টে রিং পরিয়ে একটি ব্লক সচল করা হয়। পরে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এখনো তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
হাসপাতালটির কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আলী আহসান জানিয়েছেন, সেতুমন্ত্রীর এনজিওগ্রাম করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। সার্বিকভাবে তার শারীরিক অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন, ৭২ ঘণ্টা না গেলে কিছুই বলা যাবে না।
এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালে এসে পৌঁছান সিঙ্গাপুরের চার সদস্যের একদল চিকিৎসক। তারাও ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানা গেছে।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শেয়ার করুন