প্রবাস ফেরতকর্মীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হয়নি : প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, প্রবাসফেরত কর্মীর সংখ্যা এখনো উদ্বেগজনক হয়ে উঠেনি। আশঙ্কা করা হয়েছিল অর্থনৈতিক মন্দা এবং করোনার প্রভাবে প্রধান কর্মী নিয়োগকারী দেশসমূহের শ্রমবাজার বিপর্যস্ত হওয়ার কারণে অনেক বিদেশি কর্মী বেকার হয়ে পড়বে। কিন্তু আশার কথা হলো, এখন পর্যন্ত ফেরত আসা কর্মীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হয়ে উঠেনি। এক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিদেশস্থ মিশন ও দূতাবাস একযোগে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, ‘প্রবাসী কর্মীদের একটি অংশ দেশে ফেরত এসেছে। গত ১ এপ্রিল থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ৩ লাখ ২৬ হাজার ৭৫৮ জন প্রবাসী কর্মী দেশে ফেরত এসেছে। তাদের অনেকে কাজের মেয়াদ শেষে বা কাজ না থাকায় দেশে ফেরত এসেছে।’
শুক্রবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২০ উপলক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শামসুল আলম, ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, বোয়েসেল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল হাসান বাদল এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শহীদুল আলম ও খাদিজা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষিতে বৈশ্বিক শ্রমবাজার আজ প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন এবং এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ একটি চ্যালেঞ্জ। তারপরেও আমরা আশাবাদী। অর্থনৈতিক মন্দার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কর্মী নিয়োগকারী দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অবশ্যই কর্মী প্রয়োজন হবে এবং শ্রমবাজার আবার স্বাভাবিক হবে। এই প্রত্যাশায় আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মী প্রেরণের লক্ষ্যে আমাদের কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য সার্টিফিকেশনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হলো রেমিট্যান্স। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ হলো ১৮.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিগত বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থ বছরের প্রথম ৫ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১০.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত অর্থ বছরের প্রথম পাঁচ মাসের তুলনায় ৪১.৩৩ শতাংশ। এই বিপুল অংকের রেমিট্যান্সের জন্য তিনি দেশপ্রেমিক প্রবাসী কর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
মন্ত্রী এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রেমিট্যান্সের ২ শতাংশ ইনসেনটিভ দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তার এই দূরদর্শী নির্দেশনা রেমিট্যান্স প্রবাহের ঊর্ধ্বগতির অন্যতম কারণ।
এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/বি
শেয়ার করুন