বাংলাদেশে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩
লালমনিরহাটে ভূমিকম্পের সময়
আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করে বের হতে
গিয়ে তিনজন মারা গেছেন।
ঢাকায় আহত হয়েছেন প্রায় ৩০ জন।
তাঁদের বেশির ভাগই ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের
শিক্ষার্থী। আজ সোমবার ভোরে
সারা দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ঢাকায় নিহত ব্যক্তির নাম আতিকুর
রহমান (২৩)। তাঁর বাড়ি জুরাইন
এলাকায়। রাজশাহীতে নিহত
ব্যক্তির নাম খলিলুর রহমান। তাঁর
বাড়ি শহরের মেহেরচন্ডী
এলাকায়। লালমনিরহাটে নিহত
ব্যক্তির নাম নুরুল ইসলাম (৫৫)। তাঁর
বাড়ি পাটগ্রাম উপজেলার
ঘোড়াবাড়ি গ্রামে।
ঢাকায় নিহত আতিকুরের
প্রতিবেশী রহমানের ভাষ্য,
ভূমিকম্পের সময় প্রায় ১০-১২ জন
একসঙ্গে দোতলা থেকে হুড়োহুড়ি
করে নামেন। এ সময় আতিকুর অসুস্থ
হয়ে পড়েন। সকাল পৌনে ৬টার
দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত
চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা
করেন। আতঙ্কে একসঙ্গে ছুটোছুটি
করে নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন
প্রায় ৩০ জন। তাঁদের মধ্যে
সাতজনকে ঢাকা মেডিক্যাল
কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা
হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক
চিকিৎসা দেওয়া হয়। হাসপাতাল
সূত্রে জানা গেছে, তাঁরা মাথা,
হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন
জায়গায় আঘাত পেয়েছেন।
হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ)
মোজাম্মেল হক একজনের মৃত্যুর
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
লাশ হাসপাতালের জরুরি
বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
রাজশাহীর মেহেরচন্ডী এলাকায়
আতঙ্কে ঘর থেকে বের হওয়ার সময়
অসুস্থ হয়ে পড়েন খলিলুর রহমান
নামে এক ব্যক্তি। পরে তিনি
সেখানেই মারা যান। তিনি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের
বঙ্গবন্ধু হলের ডাইনিংয়ের
কর্মচারী। নিহত খলিলুরের
প্রতিবেশী রাজীব বলেন, তিনি
খাট থেকে নেমে জামাকাপড়
নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা
করছিলেন। এ সময় অসুস্থ হয়ে
সেখানেই মারা যান।
লালমনিরহাটে ভূমিকম্পের সময়
বাড়ির আঙিনায় ছিলেন নুরুল
ইসলাম। আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে তাঁর
মৃত্যু হয়।
শেয়ার করুন