আপডেট :

        এবারের বইমেলা যেন জুলাইয়ের প্রতিচ্ছবি

        চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বড় স্বপ্ন শান্তদের

        স্বামীকে বাঁচাতে ঢাল হয়ে দাড়িয়েছিলেন স্ত্রী

        সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি নিয়ে উটছে বিতর্ক

        সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি নিয়ে উটছে বিতর্ক

        বাড়ির আগুনে দমকলকর্মী আহত, নারী ও বিড়াল নিহত

        এলএফসি তারকা জিরুর বাড়িতে চুরি, $৫ লক্ষ গহনা লোপাট

        কানাডায় বিমানবন্দরে উল্টে গেছে উড়োজাহাজ, আহত ১৯

        ঘন কুয়াশায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ৮ গাড়ির সংঘর্ষ

        দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেওয়ার ১০ টি উপায়

        দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেওয়ার ১০ টি উপায়

        ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর পদের দৌড়ে চ্যাড বিয়ানকো

        ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতি চাচ্ছেন ট্রাম্প

        মরিশাসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গ্রেপ্তার

        ল্যাঙ্গারস ডেলি প্রতি ডিমে ৫০ সেন্ট বাড়াল

        পরমাণু কর্মসূচিতে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র কোনো ক্ষতি হবে না

        মেক্সিকোর কিংবদন্তি গায়িকা পাকিতা লা দেল বারিওর মৃত্যু

        লস এঞ্জেলেস পাবলিক স্কুলে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ: মঙ্গলবার থেকে কার্যকর

        সমালোচনার মুখে এসপিকে প্রত্যাহার

        সোনালী কাবিন পদক পেলেন আবুল কাশেম ফজলুল হক

আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে: শরিফুলের বাবা

আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে: শরিফুলের বাবা

বলিউড তারকা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। তবে শরিফুলের বাবা বলেছেন, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি তার ছেলে শরিফুল হলেও সিসিটিভি ফুটেজে যাকে দেখা গিয়েছিল, সে অন্য কেউ। তার ছেলে নন। তার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

শরিফুল ইসলামের বাবা রুহুল আমিন ফকির ইত্তেফাককে জানিয়েছেন, ‘আমার ছেলের ডাকনাম সাজ্জাদ (শেহজাদ)। সে এতকিছু কেমনে করল, আমি তা বুঝে উঠতে পারছি না। সিসিটিভিতে যে ছেলেটিকে দেখছি, সে আমার ছেলে নয়। পুলিশ যাকে গ্রেপ্তার করেছে, সে-ই আমার ছেলে। সিসিটিভিতে যে ছেলেটিকে দেখা যাচ্ছে, তার মুখের ধরন আর চুলের স্টাইলের সঙ্গে আমার ছেলের কোনো মিল নেই। আমার ছেলে উলটে চুল আঁচড়াত। কপাল পর্যন্ত চুল রাখত না।’

শরিফুলের বাবা আরও বলেন, ‘গত বছর মার্চ-এপ্রিল নাগাদ শরিফুল ঝালকাঠির বাসা ছেড়ে চলে গিয়েছিল। পরে জানতে পারি ও ভারতে আছে। তবে ভারতের কোথায় আছে, অতশত বুঝতাম না। মাসের ১০ তারিখে শরিফুল মাইনে পেত। আর আমাদের প্রত্যেক মাসের ১২ তারিখের মধ্যে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পাঠাত।’ শরিফুলের সঙ্গে শেষ কবে কথা হয়েছিল? এমন প্রশ্নের উত্তরে রুহুল আমিন বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে শরিফুল আমাকে ফোন করেছিল। জিজ্ঞেস করেছিল, ‘আব্বা কেমন আছ?’ এরপর আরও কিছু কথা হয়। আমি এমনিতে কম কথার মানুষ। তাই বেশি কথা হয়নি। তার পর থেকে আর ওর গলা শুনতে পাইনি।’

ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর, অভিযুক্ত শরিফুল বাংলাদেশের জেলা ও জাতীয় স্তরের কুস্তিগির ছিলেন। এ কথা বলতে অবাক হলেন রুহুল আমিন ফকির। তিনি বলেন, ‘আমাদের ঝালকাঠিতে কুস্তির তেমন প্রচলন নেই। তাই ওর কুস্তি করার প্রশ্ন নেই। ঈদের সময় দু-একবার হয়তো কুস্তি করেছে। আমাদের রাজধানী ঢাকাতে কুস্তি হয়। তবে শরিফুল ফুটবল খেলত। আর ও এসএসসি পাস করেছিল।’ ঝালকাঠিতে কী করতেন শরিফুল? তার বাবা জানান, ‘আমি ওকে একটা মোটরসাইকেল কিনে দিয়েছিলাম। সেটা চালিয়ে যাত্রী আনা-নেওয়ার কাজ করত।’

একসময় খুলনা মিলে চাকুরি করা শরিফুলের বাবা রুহুল আমিন ফকির হতাশার সুরে বলেন, ‘সাইফ আলি খান একজন বিখ্যাত মানুষ, তার সাথে আমাদের সাজ্জাদের (শেহজাদ) কোন বিরোধ থাকতে পারে না। সে এলাকায় থাকাকালীন সময়ে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিল। বিভিন্ন সময়ে অত্যাচারিত হওয়ার কারণেই দেশে ছেড়েছে।’

  
তিনি আরও বলেন, ‘হামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর পরই তার পক্ষে কারা আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন সেটাও আমরা জানি না। তার গ্রেপ্তারের খবর আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আজকে ভারত থেকে কয়েকজন ফোন দিয়েছিল তারা জানিয়েছেন তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে। এর আগে আমার ছেলেকে আদালতে উঠানো হয়েছে সে সময় সাজ্জাদ তাকে নির্দোষ দাবি করেছেন। আমরা আরও জানতে পেরেছি তাকে মেরে তার কাছ থেকে হামলা করার স্বীকারোক্তি নেয়া হয়েছিল।’


রুহুল আমিন ফকির বলেন, ‘কখনো আমার ছেলের নামে কোনো অভিযোগ বা নালিশ শুনিনি। আমি চাই, আমার ছেলে সঠিক বিচার পাক। ভারতে আমাদের কেউ নেই। আমরা খুব অসহায়। আমরা শুধু আল্লাহর ভরসায় আছি। ওনার কাছে আমরা সবাই দোয়া করছি। আমাদের আর্থিক পরিস্থিতি ভালো নয়। আজ আমার ছেলে কি বিচার পায়, দেখি। ভাবছি দু-এক দিনের মধ্যে ভারতীয় হাইকমিশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাব। আমার তিন ছেলে। শরিফুল ওরফে সাজ্জাদ হলো দ্বিতীয় সন্তান।’ শরিফুল এখনো বিয়ে করেননি বলেও জানান তার বাবা। 

 

এদিকে শরিফুলের আইনজীবী সন্দীপ শেখানে বলেছেন, ‘অভিযুক্ত যে বাংলাদেশি, তার কোনো প্রমাণ নেই। পুলিশের দাবি যে অভিযুক্ত ছয় মাস আগে মুম্বাইতে এসেছেন।’ অভিযুক্ত ব্যক্তির আইনজীবীর দাবি, শেহজাদ সাত বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে মুম্বাইতে আছেন। সন্দীপ শেখানে আরও বলেছেন, ‘অভিযুক্তের নাগরিকত্ব বদল করে পুলিশ এ মামলার ফোকাস ঘোরাতে চাইছে।’ তার দাবি, শরিফুলের কাছ থেকে পুলিশ কোনো কিছু উদ্ধার করতে পারেনি।

 

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত