কক্সবাজারে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে চুক্তি
ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের নির্মাণ ও ব্যবহার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটি কক্সবাজারের মহেশখালীতে নির্মাণ করা হবে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর পেট্রোসেন্টারে পেট্রোবাংলা এবং যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জির মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার, পেট্রোবাংলার সচিব সৈয়দ আশফাকুজ্জামান এবং এক্সিলারেট এনার্জির প্রধান উন্নয়ন কর্মকর্তা ড্যানিয়েল বুসটাস চুক্তিতে সই করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া ব্লুম বার্নিকাট।
চুক্তি অনুযায়ী ১৮ মাসের মধ্যে টার্মিনাল নির্মাণ সম্পন্ন হবে। ২০১৮ সালের মধ্যেই টার্মিনালটি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এটি ১ লাখ ৩৮ হাজার ঘনমিটার এলএনজির ধারণ ক্ষমতার। রি-গ্যাসফিকেশন করে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে।
দেশে জ্বালানির চাহিদা পূরণে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস বা এলএনজি) আমদানি করে এই টার্মিনালের (এসএসআরইউ) মাধ্যমে সেই গ্যাসকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া হবে। সেই গ্যাস পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে সরবরাহ করা হবে। প্রাকৃতিক গ্যাস যে চাপ ও তাপমাত্রায় গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে, সেটাকে শীতলকরণ (রেফ্রিজারেশন) প্রযুক্তির মাধ্যমে তাপমাত্রা কমিয়ে ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনলে তা তরলে পরিণত হয়। এই তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসই হচ্ছে এলএনজি। ৬০০ লিটার গ্যাসকে এলএনজিতে রূপান্তর করে মাত্র এক লিটারের বোতলে রাখা যায়।
চুক্তি অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, শিল্প ও বিদ্যুৎ উন্নয়নে তাদের যে লক্ষ্য, তাতে আরো ৩৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট নতুন গ্যাস লাগবে। এ লক্ষ্য পূরণ করতে গ্যাস অনুসন্ধান চলছে, পাশাপাশি আমদানি করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ভাসমান এই টার্মিনাল ছাড়াও ভূমিতে আরো চারটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। একাধিক ভাসমান টার্মিনাল নির্মাণের প্রস্তাব তাদের কাছে রয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শেয়ার করুন