নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতিকে জাসদের ৭ প্রস্তাব
নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে সাতটি প্রস্তাব দিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গভবনে নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করে হাসানুল হক ইনু এ প্রস্তাব দেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে- সংবিধানের চার মূলনীতিতে আস্থাশীল ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন, আইন প্রণয়নের আগে প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি ও হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি এবং বাংলাদেশের সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত এমন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে বাছাই কমিটি গঠন, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ছয় মাস আগে আইন অনুযায়ী কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরু করা।
এছাড়া বাছাই কমিটির রাজনৈতিক দল ও নাগরিকদের প্রস্তাব বাছাই করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের বিপরীতে তিনজন করে নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণ, বাছাই কমিটি কর্তৃক ১/৩ ভিত্তিতে বাছাইকৃত ১৫ জনের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর আগে এ তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশ ও পাঠানোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমপক্ষে একজন নারী নির্বাচন কমিশনারসহ চারজন নির্বাচন কমিশনারসহ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেন হাসানুল হক ইনু।
রাষ্ট্রপতি প্রস্তাবগুলো বিবেচনায় নিয়ে সামগ্রিক মতামত দেওয়ার আশ্বাস দেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে জাসদ হাসানুল হক ইনু ছাড়াও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলম, সহ-সভাপতি মীর হোসাইন আখতার, স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এমএ করিম, স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন খান, হাবিবুর রহমান শওকত, জিকরুল আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আখতার ও নাদের চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
পরে জাসদ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার জানান, ২০১১ সালে নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির কাছে জাসদের পক্ষ থেকে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন পরিস্থিতিতে ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করা সম্ভব হয়নি।
এ সময় জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
শেয়ার করুন