আপডেট :

        মার্কিন ইতিহাসে দীর্ঘতম সরকারী শাটডাউন: অচলাবস্থার কারণ ও পরবর্তী ধাপ

        পোর্ট হুয়েনিমেতে পার্টিতে ছুরিকাঘাত, দুই কিশোরী হাসপাতালে

        নর্থরিজে বান্ধবীকে জিম্মি করে রাখার অভিযোগে পুলিশের গুলিতে আহত যুবক গ্রেপ্তার

        ক্যালিফোর্নিয়ায় ‘প্রপ ৫০’ পাস, ডেমোক্র্যাটদের জন্য নতুন পাঁচটি আসন নিশ্চিত

        ৪৩ বছর ভুল সাজা ভোগের পর মুক্ত ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তির যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসন স্থগিত

        নিউইয়র্কের নতুন মেয়র মামদানির ঐতিহাসিক জয়, কিন্তু সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ

        কেনটাকিতে ইউপিএস কার্গো প্লেন বিধ্বস্ত, নিহত কমপক্ষে ৭ জন

        'খেলার নিয়ম বদলে গেছে', প্রপ ৫০ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী: গ্যাভিন নিউজম

        মার্কিন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি আর নেই

        ‘শিক্ষা, বিতাড়ন নয়’: আইসিই হেফাজতে লস এঞ্জেলেসের রিসিডা হাইস্কুলের শিক্ষার্থী

        তিন সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পর জীবিত উদ্ধার ৬৫ বছর বয়সী শিকারি

        নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে ট্রাম্পের সমর্থন কুয়োমোকে, মামদানি জিতলে অর্থ সহায়তা বন্ধের হুমকি

        অস্কার-মনোনীত অভিনেত্রী ডায়ান ল্যাড আর নেই

        হ্যালোউইন ঘিরে আইএস-প্রভাবিত সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা: মিশিগানে দুই ব্যক্তি অভিযুক্ত

        নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক আগাম ভোট

        লস এঞ্জেলেসে গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুইজনের মৃত্যু, পাঁচজন হাসপাতালে

        সরকারি শাটডাউনে বিপর্যস্ত পরিবারগুলোর জন্য কার্ল’স জুনিয়রের ১ ডলারের খাবার উদ্যোগ

        লস এঞ্জেলেসের সান ফার্নান্দো ভ্যালিতে গুলিবর্ষণ, আহত একাধিক ব্যক্তি

        ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর সম্ভাবনা অস্বীকার করলেন ট্রাম্প

        শাটডাউনের সময় খাদ্য সহায়তা বন্ধ করা যাবে না: মার্কিন আদালতের রায়

এবার দুই কারণে স্বাধীনতা চায় স্কটল্যান্ড, ভেঙে যাবে ইংল্যান্ড?

এবার দুই কারণে স্বাধীনতা চায় স্কটল্যান্ড, ভেঙে যাবে ইংল্যান্ড?

ইংলিশদের অধীনে আর থাকতে চাচ্ছে না স্কটল্যান্ড। দেশটির নাগরিকদের মাঝে নতুন করে স্বাধীতার দাবি মাথাচাড়া দিয়েছে।  বর্তমানে ব্রিটেনের স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যটির ৫১ থেকে ৫৯ শতাংশ মানুষই স্বাধীন স্কটল্যান্ড দেখতে চান। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত এক গণভোটে অবশ্য ৫৫-৪৫ শতাংশ ভোটে স্বাধীনতার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিল স্কটিশরা।

সর্বশেষ ১৪টি জরিপের ফল বলছে, বেশিরভাগ স্কটিশের মনোভাবে পরিবর্তন এসেছে। কারণ, এর আগে কখনও এত বেশি মানুষ স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা চাননি।

স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজিওনের বক্তব্যেও উঠে এসেছে বিষয়টি। শনিবার তিনি বলেন, এর আগে কখনও ‘স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার বিষয়ে এত বেশি নিশ্চিত তিনি ছিলেন না।’ খবর রয়টার্স।

২০১৪ সালে প্রত্যাখ্যান করলেও বর্তমানে অনেক বেশি মানুষের ব্রিটেনের সঙ্গে যুক্ত না থেকে স্বাধীনতা চাওয়ার কারণ হল- ব্রেক্সিট তথা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া এবং ব্রিটেনের করোনাভাইরাস মোকাবেলার পদ্ধতি পছন্দ না হওয়া। এ কারণে আবারও গণভোট আয়োজনে করে ব্রিটেন থেকে বেরিয়ে যেতে চায় স্কটল্যান্ড। মূলত, মদ ও তেলশিল্পসহ নিজেদের উপার্জনে আরও উন্নত হতে পারবে বলে মনে করে স্কটিশরা। সে ধারণা থেকেই বিভিন্ন সময় স্বাধীনতার প্রশ্ন সামনে আনা হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে গণভোট দেয়া হয়। তাতে স্বাধীনতার দাবি প্রত্যাখ্যাত হলেও স্বাধীনতার পক্ষে ভোট পড়ে ৪৫ শতাংশ। এর পর থেকে ব্রেক্সিট ইস্যুতে স্কটিশরা ইইউতে থেকে যাওয়ার পক্ষে। কিন্তু ব্রেক্সিট গণভোটে পাস হওয়ার পর থেকে মানুষের মধ্যে পরিবর্তন আসতে থাকে।
এই সুযোগে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতাপন্থী স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নিকোলা স্টরজিওন আবারও গণভোটের পক্ষে অবস্থান নেন। আগামী বছর পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে গণভোট দেয়ার প্রতিশ্র“তি দিচ্ছেন স্টারজিওন। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা হচ্ছে আমাদের সুস্পষ্ট লক্ষ্য। লক্ষ্যে প্রতি একাÍতা, মানবতা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা এটি অর্জন করব। এর আগে আমি কখনও স্বাধীনতার বিষয়ে এত বেশি নিশ্চিত ছিলাম না।’

নতুন বছর ইইউ থেকে বের হয়ে যাচ্ছে ব্রিটেন। তার দগদগে ক্ষতের মধ্যেই হতে পারে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে আরেকটি গণভোট। পর্যবেক্ষকরা বলছেনÑ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের হাতে দুটি বিকল্প আছে। হয় তিনি গণভোট আয়োজন করতে দেবেন না। সেটি হলে তার জনপ্রিয়তা কমে যাবে। আরেকটি তিনি করতে পারেন গণভোটের অনুমতি দেয়া। এটি করা হলে স্কটল্যান্ড আর ব্রিটেনের মানচিত্রের অংশ থাকবে না। এ কারণে বরিস বলেছেন, ২০১৪ সালে একটি গণভোট হয়েছে এবং স্কটল্যান্ডের মানুষ স্বাধীনতার দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এখন আরেকটি গণভোটের আয়োজনের কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।

যদিও শেষ পর্যন্ত আরেকটি গণভোট হয় এবং স্কটল্যান্ড ব্রিটেন থেকে স্বাধীন হয়ে যায় তবে একশ’ বছর আগে আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতার পর ব্রিটেনের জন্য আরেকটি বড় আঘাত। আর এই আঘাতটি হবে ব্রেক্সিটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে। এক সময় স্কটল্যান্ড স্বাধীন দেশ ছিল। ১৬০৩ সালে স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের রাজবংশ রাজা জ্যাকবের নেতৃত্ব একত্রিত হয়। ১৭০৭ সালে দেশ দুটির আইনসভাও একীভূত করা হয়। তবে শিক্ষা, বিচার ও মুদ্রার ক্ষেত্রে স্বকীয়তা বজায় রেখেছে স্কটল্যান্ড। ১৯৯৯ সাল থেকে নিজস্ব পার্লামেন্টও রয়েছে এবং সেটি স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে তখন থেকে।

 

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/ইউ

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত