আপডেট :

        ঢাকার ভেতরে যারা আছে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে ডিএমপি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ

        ধ্বংসযজ্ঞকারীদের বিরুদ্ধে জনগণকেই রুখে দাঁড়াতে হবে: শেখ হাসিনা

        সীমিত পরিসরে হলেও চালু থাকুক ইন্টারনেট সেবা

        চার স্টেশন বন্ধ, দুই ভাগে চলছে ট্রেন

        বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) গেটে আগুন

        বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) গেটে আগুন

        ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভেতরে থেকে পুলিশদের উদ্ধার করতে হেলিকপ্টার

        একটি মাত্র ভিসায় ৬টি দেশ ভ্রমণ করা যায়

        প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমে আলোচনা করবেন আইনমন্ত্রী

        ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সড়কে যান চলাচল বন্ধ

        হামলার ঘটনাকে ‘নৃশংস’ উল্লেখ করে একের পর এক পদত্যাগ

        শুধু কোটা নয়, গোটা দেশ সংস্কার প্রয়োজন

        মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বিঘ্ন হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন ব্যবহারকারীরা

        ইউরো শেষে পদত্যাগ করলেন সাউথগেট

        ফ্লাইওভারে সং ঘ র্ষের ঘটনায় এক তরুণ নি হ ত

        রাহুল গান্ধী পরিপক্ব রাজনীতিবিদে পরিণত হয়েছেন মন্তব্য করলেন অমর্ত্য সেন

        ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের হত্যাকারীদের বিচারের দাবী

        ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের হত্যাকারীদের বিচারের দাবী

        সিদ্ধান্ত মোতাবেক হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানালো ঢাবি কর্তৃপক্ষ

        ট্রাম্পকে জয়ী করতে মাসে ৪৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ইলন মাস্কের

এবার দুই কারণে স্বাধীনতা চায় স্কটল্যান্ড, ভেঙে যাবে ইংল্যান্ড?

এবার দুই কারণে স্বাধীনতা চায় স্কটল্যান্ড, ভেঙে যাবে ইংল্যান্ড?

ইংলিশদের অধীনে আর থাকতে চাচ্ছে না স্কটল্যান্ড। দেশটির নাগরিকদের মাঝে নতুন করে স্বাধীতার দাবি মাথাচাড়া দিয়েছে।  বর্তমানে ব্রিটেনের স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যটির ৫১ থেকে ৫৯ শতাংশ মানুষই স্বাধীন স্কটল্যান্ড দেখতে চান। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত এক গণভোটে অবশ্য ৫৫-৪৫ শতাংশ ভোটে স্বাধীনতার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিল স্কটিশরা।

সর্বশেষ ১৪টি জরিপের ফল বলছে, বেশিরভাগ স্কটিশের মনোভাবে পরিবর্তন এসেছে। কারণ, এর আগে কখনও এত বেশি মানুষ স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা চাননি।

স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজিওনের বক্তব্যেও উঠে এসেছে বিষয়টি। শনিবার তিনি বলেন, এর আগে কখনও ‘স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার বিষয়ে এত বেশি নিশ্চিত তিনি ছিলেন না।’ খবর রয়টার্স।

২০১৪ সালে প্রত্যাখ্যান করলেও বর্তমানে অনেক বেশি মানুষের ব্রিটেনের সঙ্গে যুক্ত না থেকে স্বাধীনতা চাওয়ার কারণ হল- ব্রেক্সিট তথা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া এবং ব্রিটেনের করোনাভাইরাস মোকাবেলার পদ্ধতি পছন্দ না হওয়া। এ কারণে আবারও গণভোট আয়োজনে করে ব্রিটেন থেকে বেরিয়ে যেতে চায় স্কটল্যান্ড। মূলত, মদ ও তেলশিল্পসহ নিজেদের উপার্জনে আরও উন্নত হতে পারবে বলে মনে করে স্কটিশরা। সে ধারণা থেকেই বিভিন্ন সময় স্বাধীনতার প্রশ্ন সামনে আনা হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে গণভোট দেয়া হয়। তাতে স্বাধীনতার দাবি প্রত্যাখ্যাত হলেও স্বাধীনতার পক্ষে ভোট পড়ে ৪৫ শতাংশ। এর পর থেকে ব্রেক্সিট ইস্যুতে স্কটিশরা ইইউতে থেকে যাওয়ার পক্ষে। কিন্তু ব্রেক্সিট গণভোটে পাস হওয়ার পর থেকে মানুষের মধ্যে পরিবর্তন আসতে থাকে।
এই সুযোগে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতাপন্থী স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নিকোলা স্টরজিওন আবারও গণভোটের পক্ষে অবস্থান নেন। আগামী বছর পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে গণভোট দেয়ার প্রতিশ্র“তি দিচ্ছেন স্টারজিওন। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা হচ্ছে আমাদের সুস্পষ্ট লক্ষ্য। লক্ষ্যে প্রতি একাÍতা, মানবতা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা এটি অর্জন করব। এর আগে আমি কখনও স্বাধীনতার বিষয়ে এত বেশি নিশ্চিত ছিলাম না।’

নতুন বছর ইইউ থেকে বের হয়ে যাচ্ছে ব্রিটেন। তার দগদগে ক্ষতের মধ্যেই হতে পারে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে আরেকটি গণভোট। পর্যবেক্ষকরা বলছেনÑ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের হাতে দুটি বিকল্প আছে। হয় তিনি গণভোট আয়োজন করতে দেবেন না। সেটি হলে তার জনপ্রিয়তা কমে যাবে। আরেকটি তিনি করতে পারেন গণভোটের অনুমতি দেয়া। এটি করা হলে স্কটল্যান্ড আর ব্রিটেনের মানচিত্রের অংশ থাকবে না। এ কারণে বরিস বলেছেন, ২০১৪ সালে একটি গণভোট হয়েছে এবং স্কটল্যান্ডের মানুষ স্বাধীনতার দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এখন আরেকটি গণভোটের আয়োজনের কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।

যদিও শেষ পর্যন্ত আরেকটি গণভোট হয় এবং স্কটল্যান্ড ব্রিটেন থেকে স্বাধীন হয়ে যায় তবে একশ’ বছর আগে আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতার পর ব্রিটেনের জন্য আরেকটি বড় আঘাত। আর এই আঘাতটি হবে ব্রেক্সিটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে। এক সময় স্কটল্যান্ড স্বাধীন দেশ ছিল। ১৬০৩ সালে স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের রাজবংশ রাজা জ্যাকবের নেতৃত্ব একত্রিত হয়। ১৭০৭ সালে দেশ দুটির আইনসভাও একীভূত করা হয়। তবে শিক্ষা, বিচার ও মুদ্রার ক্ষেত্রে স্বকীয়তা বজায় রেখেছে স্কটল্যান্ড। ১৯৯৯ সাল থেকে নিজস্ব পার্লামেন্টও রয়েছে এবং সেটি স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে তখন থেকে।

 

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/ইউ

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত