আপডেট :

        আর্জেন্টিনায় ৭০ হাজার সরকারি কর্মীকে বরখাস্ত

        সর্বজনীন পেনশন স্কীম কার্যক্রমের উদ্বোধন

        ভুটানের রাজাকে গার্ড অব অনার ও বিদায়ী সংবর্ধনা

        গাজায় মানবিক বিপর্যয় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে পরিণত: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান

        ভুয়া পিতৃপরিচয় দিয়ে বৃদ্ধের সঙ্গে প্রতারণা

        বাংলাদেশি আমেরিকানদের ভূয়সী প্রশংসায় ডোনাল্ড লু

        মস্কোতে আইএসের হামলা চালানো, বিশ্বাস হচ্ছে না মারিয়া জাখারোভার

        নগরীর অচল ১১০টি সিসি ক্যামেরা হল সচল

        একনেকে ১১ প্রকল্পের অনুমোদন

        স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণে সিকৃবিতে আলোচনা সভা

        বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্বাস করে না: ওবায়দুল কাদের

        নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের মৃত্যু

        বিচারকবিহীন আদালত

        বাংলাদেশের গণতন্ত্র এগিয়ে নেওয়াই যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার

        সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেনের মৃত্যু

        জাতীয় ছাত্র সমাজের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

        দ্বিতীয় টেস্টে নেই হাথুরু

        ‘ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা ২০২৪’

        গাজায় বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি: মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

        আত্মনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা করতে হবে: সিসিক মেয়র

করোনা প্রতিরোধে লস এঞ্জেলেস প্রবাসী সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. নাসিমার পরামর্শ

করোনা প্রতিরোধে লস এঞ্জেলেস প্রবাসী সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. নাসিমার পরামর্শ

সারা বিশ্বের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফার্নিয়ায়ও ছড়িয়ে পড়েছে মরনব্যধি করোনাভাইরাস। ইতোমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়াকে অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ নামের এই ভাইরাস প্রতিরোধে পরামর্শ দিয়েছেন লস এঞ্জেলেস প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসক, সংক্রামক রোগব্যাধির অ্যান্টিবায়োটিক স্টুয়ার্ডশিপ প্রোগ্রামের চেয়ারম্যান এবং সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ‌ ডা. নাসিমা বেগম।
এলএ বাংলটাইমসের সাথে আলাপকালে তিনি সবার জন্য এই পরিস্থিতিতে কিছু জরুরি পরামর্শ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবেলা করা যায় এবং নিজেকে কিভাবে সুরক্ষিত রাখা যায় এব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস একটি সংক্রামক ব্যধি। যা ইতোমধে সারা বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর যা চিনের হোবেই প্রদেশে প্রথম ধরা পড়ে। মাত্র ১১ সপ্তাহে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে। তার মানে এটি অত্যন্ত শক্তিশালি একটি ভাইরাস। এটি মূলত পশুদের একটি ভাইরাস ছিল যা এখন মানুষের শরীরে এসেছে। তাই এর ঝুঁকি প্রতিরোধে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এটি যেহেতু এখন সবখানে ছড়িয়ে গেছে, একজনের মাধ্যমে আরেকজনের মধ্যে ছড়াচ্ছে। কাজেই কোনভাবে একজন আক্রান্ত হলে এর মাধ্যমে তার পরিবার ও আশপাশের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনাকে সামনে রেখে করোনা প্রতিরোধে ডা. নাসিমার পরার্শ হলো: হ্যান্ড সেনিটাইজার দিয়ে বারবার খুব ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। কমপক্ষে বিশ সেকেন্ড। হাতের উপরে-নিচে, আঙ্গুলের ফাঁকে, নোখের মাঝে পরিস্কার করতে হবে। এক্ষেত্রে সাবান-পানি এবং এলকোহেল বেজড সেনিটাইজার ব্যবহার করা যায়। তারপর ব্লিচিং পাউডার দিয়ে সেনিটাইজার বানিয়ে ঘরের সবেচেয়ে বেশি যে স্থানগুলোতে হাত দিতে হয় যেমন: দরজার নব, কিচেনের কাউন্টারের উপর, কম্পিউটারের কি-বোর্ডে, গাড়ির দরজাতে, টেলিফোনে- এসব স্থানে মুছে মুছে জীবণুমুক্ত করতে হবে। হ্যান্ডশেক থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। কারও সাথে কথা বলতে হলে ৩-৬ ফিট দূরত্বে দাঁড়িয়ে কথা বলতে হবে। হাঁচি-কাঁশি দেওয়ার সময় টিস্যু ব্যবহার করতে হবে। তারপর টিস্যুটি ডাস্টবিনে ফেলতে হবে।
কমিউনিটি  এবং দেশ-বিদেশের সবার জন্য এই সতর্কতাগুলো মেনে চলতে অনুরোধ জানান ডা. নাসিমা।

শেয়ার করুন

পাঠকের মতামত