কানাডায় স্বেচ্ছামৃত্যুর পক্ষে রায়
একেবারেই নিরাময় অযোগ্য বা দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বেচ্ছামৃত্যুর পক্ষে রায় দিয়েছেন কানাডার সুপ্রিম কোর্ট। রায়ের ফলে চিকিৎসরকরা চাইলে এ ধরনের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বেচ্ছায়মৃত্যুতে সাহায্য করতে পারবেন।দুজন কানাডীয় নারীর পক্ষে একটি মানবাধিকার সংগঠনের দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় দেন কানাডার সর্বোচ্চ আদালত। সর্বসম্মতিক্রমে দেওয়া এ রায়ে ১৯৯৩ সালে স্বেচ্ছামৃত্যুর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে নাগরিকদের অধিকারে 'হস্তক্ষেপ' বলে উল্লেখ করা হয়। খবর বিবিসির একইসঙ্গে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নে সরকারকে এক বছর সময় বেঁধে দিয়েছেন আদালত। এ সময়ের মধ্যে আইন প্রণয়ন করা না হলে বর্তমানে প্রচলিত আইনটি বাতিল হয়ে যাবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু কানাডার আইনে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ বা স্বেচ্ছামৃত্যুতে সাহায্য করলে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের শাস্তির বিধান রয়েছে। আদালতের দেওয়া এ রায়ে কানাডার নাগরিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, এ ধরনের আইন বিশ্বজুরে 'আত্মহত্যার পর্যটন' হিসেবে আবির্ভূত হবে। যেসব দেশে এ ধরনের মৃত্যু আইনত দণ্ডনীয় সেসব দেশের নাগরিকরা অন্য দেশে গিয়ে আত্মহত্যা করবে। তবে রায়ের পক্ষে লোকের সংখ্যাও কম নয়। তাদের মতে, প্রতিটি মানুষের তার জীবন অথবা মৃত্যুর মধ্যে যে কোনো একটি বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে; এটি তার নাগরিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে।
শেয়ার করুন