গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত
- হোম
- আন্তর্জাতিক
- বিস্তারিত
কেজরিওয়াল কী করতে পারেন
- আন্তর্জাতিক
- News Desk
- ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫ ২৩:২১
ভারতের বিধানসভা নির্বাচনে আশাতীত ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছে আম আদমি পার্টি (এএপি)। জনগণের গগণচুম্বী প্রত্যাশা মাথায় নিয়ে দ্বিতীয় দফায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ১৪ ফেব্রুয়ারি শপথ নেবেন দলটির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।‘আবকি বার, মোদি সরকার’ (এই বার, মোদি সরকার) স্লোগানের ঝড়ে কংগ্রেসকে কুপোকাত করে মাত্র সাত মাস আগে সরকার গঠন করে বিজেপি। কিন্তু সেই বিজেপিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিল্লির মতো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিধানসভায় জয়ের ঝান্ডা উড়িয়েছে এএপি।এএপি তথা কেজরিওয়ালকে আবারও দিল্লির মসনদে আসীন হতে যাঁরা সহায়তা করেছেন, তাঁদের বেশির ভাগই প্রকৃত অর্থে দিল্লির ‘আম আদমি (সাধারণ মানুষ)’। এসব মানুষ মনে করছেন, আম আদমি পার্টি তাঁদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে। তাই ক্ষমতা হাতে পাওয়ার মাত্র ৪৯ দিন পর যে ব্যক্তি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁর ওপর আবার ভরসা করতে চাইছেন সেই পোড় খাওয়া মানুষেরা। রাজনীতিবিদ ও অভিজাত ব্যক্তিদের প্রভাব ও দাপটের নিচে চাপাপড়া এসব মানুষের কথা আগে এমন করে কেউ ভাবেনি। এর আগে কেউ তাঁদের একজন হয়ে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের দৈনন্দিন সমস্যাগুলোকে এত জীবনঘনিষ্ঠ করে রাজনৈতিক দাবি হিসেবে তুলে আনেননি।কেজরিওয়ালের কাছে সাধারণ মানুষের সেই প্রত্যাশাগুলো আসলে কী? কেজরিওয়াল তাঁর নির্বাচনী প্রচারের সময় বরাবরই দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এবারও তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁর প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে দুর্নীতি মোকাবিলা করা। তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ নেওয়া বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়া ক্ষমতায় গেলে পানি ও বিদ্যুতের দাম কমানোর বিষয়টি কেজরিওয়ালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে অন্যতম। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হ্রাসের কথাও বলেছেন এএপিপ্রধান। এর কিছু বিষয় দিল্লির মানুষ কেজরিওয়ালের ৪৯ দিনের ক্ষমতাকালীন বাস্তবায়ন হতে দেখেছেন। এ কারণে আবারও সেসব দিন ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা।
আম আদমি পার্টির নির্বাচনী ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে শহরজুড়ে ‘স্বরাজ’ প্রতিষ্ঠা। অর্থাৎ পাড়া-মহল্লা, এলাকায়-এলাকায় কমিটি গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। এ কমিটিগুলো স্থানীয় বিদ্যালয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বল্পমূল্যে খাবার বিতরণের বিষয়টি তত্ত্বাবধান করবে। আর এটি বাস্তবায়ন করা তখনই সম্ভব হবে, যদি এএপি ‘স্বরাজ বিল’ পাস করাতে সক্ষম হয়।
নারী নিরাপত্তার বিষয়টিও বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে এএপির নির্বাচনী ইশতেহারে। নারীদের নিরাপত্তায় উন্নত সড়কবাতি, পরিবহনব্যবস্থার নিশ্চিতের পাশাপাশি ১০ হাজার নারী নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে শহরজুড়ে।
এ ছাড়া জলাধার সংরক্ষণ, সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব কর্মসূচি রয়েছে এএপির ইশতেহারে।
দুর্নীতি দমনের বিষয়টি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রথম দফায় দুর্নীতিবিরোধী লোকপাল বিল পাস করাতে পারেননি কেজরিওয়াল। সেই ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে ৪৯ দিন পর ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ালেও সেই দায়িত্বহীনতার অপরাধবোধ রয়েছে কেজরিওয়ালের। তাই এবার এএপি স্লোগান তুলেছে ‘পাঁচ সাল, কেজরিওয়াল (পাঁচ বছর কেজরিওয়াল)’। দিল্লিবাসীও আশায় বুক বেঁধেছেন, আগুয়ান দিনগুলোতে তাঁদের অপূর্ণ থাকা প্রত্যাশা পূরণ হয়ে একটা পরিবর্তন আসবে। আসবে সুদিন। সেই আশাতেই সবার দৃষ্টি এখন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ওপর।
(টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট অবলম্বনে)
পাঠকের মতামত
এ বিভাগের আরো খবর
Follow us
- 12.5 k Likes
- 12.5 k Follwers
- 12.5 k Follwers
- 12.5 k Photos
- 12.5 k Follwers
- 12.5 k Follwers
শেয়ার করুন