রাখাইনে ফের আগুন-ধোঁয়ার কুণ্ডলি, এপারে আতঙ্ক
নাফ নদীর ওপারে রাখাইনে ফের ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা গেছে। আর তাতে এপারে সীমান্তবর্তী জনপদে উদ্বেগ ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
রোববার দুপুরে টেকনাফ পৌর এলাকার ট্রানজিট জেটি থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি প্রত্যক্ষ করেন স্থানীয়রা। মংডু টাউনশিপের আনুমানিক ৪-৫ কিলোমিটার উত্তরের এলাকা থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।
এটা কিসের আগুন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে শনিবার আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে মিয়ানমার সেনাদের রকেট লাঞ্চার নিক্ষেপে বুচিদংয়ের ছানচিপ্রাং নামের একটি গ্রামের দুইটি রোহিঙ্গা ঘর ও ৬টি গবাদিপশু পুড়ে গেছে বলে অসমর্থিত সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুড়ে যাওয়া বাড়ি ও গবাদিপশুর ভিডিও ফুটেজ দেখা গেছে।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার সকাল থেকে তারা নাফ নদীর ওপারে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উড়তে দেখেছেন। সেই গ্রামটি মংডুর আশিক্কাপাড়া অথবা পেরামপুরু এলাকার হতে পারে। এছাড়া শনিবার রাতে ওপার থেকে ৮-১০ রাউন্ড গুলির শব্দও শুনেছেন তারা।
তবে সেই আগুন কোনো বাড়িঘরের আগুন কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অপর একটি সূত্রের মতে, পাহাড়ে জুম চাষের আগুনও হতে পারে সেটি।
রাখাইনে আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখে নানা জন নানা মত প্রকাশ করছেন। তারা নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। সীমান্তবর্তী লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওপারে আগুন দেখলেই আবারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আতঙ্কে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেন তারা।
টেকনাফ জালিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, ১১ লাখ রোহিঙ্গার ভারে আমরা জর্জরিত।
তবে এ ব্যাপারে বিজিবির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
২০১৭ সালে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাদের নির্মম নির্যাতনে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পালিয়ে আসা সাড়ে ৭ লাখসহ ১১ লাখ রোহিঙ্গা বর্তমানে উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে অবস্থান করছে।
শেয়ার করুন