ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট: পরমাণু যুদ্ধ কি আসন্ন?
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কয়েক দশক ধরে পরমাণু অস্ত্রের কোড বহনকারী ব্রিফকেস সার্বক্ষণিক সঙ্গে রাখলেও কখনও তা ব্যবহার করেননি। ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে এবার কি সভ্যতাবিনাশী এই মারণাস্ত্রের ব্যবহার হতে যাচ্ছে?
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিনের কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকির পর এ প্রশ্ন এখন সবার মনে উঁকি দিচ্ছে। এর নিশ্চিত উত্তর জানা নেই কারোরই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেনে প্রচলিত অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়া রণাঙ্গনে বিপর্যয়ের মুখোমুখি হওয়ায় পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি নিতে পারে। যেমন কয়েক দিন ধরে ইউক্রেনের বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া।
অবশ্য পশ্চিমা ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কোনো লক্ষণ তাঁরা দেখছেন না। এখন পর্যন্ত রুশ পরমাণু অস্ত্র স্থানান্তরের কোনো আলামতও তাঁরা পাননি। একই কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ।
রাশিয়া এ নিয়ে পরস্পরবিরোধী কথা বলছে। পুতিনের হুমকির পর ক্রেমলিনের মুখপাত্র পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা কার্যত নাকচ করে দিলেও সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির একজন শীর্ষস্থানীয় জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে।
এসব হুমকি সত্ত্বেও বিশেষজ্ঞরা পরমাণু যুদ্ধ এড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী। তাঁরা বলছেন, স্নায়ুযুদ্ধের প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত দুই দেশই সংযত হতে পারে। তাঁরা এ ক্ষেত্রে প্রায় ৬০ বছর আগে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের কথা উল্লেখ করেছেন। কিউবাকে ঘিরে তখন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন পরমাণু যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছলেও শেষ পর্যন্ত উভয় দেশই স্বাভাবিক পরিস্থিতির দিকে ফিরে আসে।
রাশিয়া কী চায় এটা স্পষ্ট নয়- ইউক্রেনে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার কী লাভ হবে। যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ অধ্যয়ন ইনস্টিটিউট (আইএসডব্লিউ) বলেছে, ইউক্রেনকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা কিংবা পশ্চিমা সহায়তা বন্ধের জন্য চাপ দিতে পুতিন কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
এলএবাংলাটাইমস/এজেড
শেয়ার করুন