ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্য হওয়ার পথে বাধা স্লোভাকিয়া
ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্য হওয়ার স্বপ্নে বড় বাধা হয়ে দাাঁড়িয়েছে স্লোভাকিয়া। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে চায় ইউক্রেন। তবে ইউক্রেন যেন ন্যাটোতে যোগ না দিতে পারে, সেই নিশ্চয়তা বরাবরই আদায় করার চেষ্টা করেছে রাশিয়া। মূলত ইউক্রেন প্রসঙ্গে রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হচ্ছে ন্যাটো। তবে ন্যাটোর ভেতরেও রয়েছে ইউক্রেনের বিরোধী। আর তাই তো, স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্য পদের আবেদনে ভেটো দেওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
জানা গেছে, স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্তো ফিকো চলতি সপ্তাহে কিয়েভ সফরের আগে ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্য পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে তার দেশের বিরোধিতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, তিনি এই (ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করার) পদক্ষেপে ভেটো দেবেন। একইসঙ্গে ইউক্রেনকে তিনি বিশ্বের ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং দেশটির সামগ্রিক ‘প্রভাব’ যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানান তিনি। ফিকো শনিবার পাবলিক ব্রডকাস্টার আরভিটিএসকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূর্ণ প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ইউক্রেন।’
স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, বুধবার তিনি কিয়েভ যাবেন এবং ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহালের সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমি তাকে বলব, আমি ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্য হওয়ার বিপক্ষে এবং আমি ভেটো দেব।’ ফিকোর বিশ্বাস, ‘এই ধরনের পদক্ষেপ কেবল তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভিত্তি হবে, অন্য কোনো কিছু নয়।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরপর একই বছরের সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার সঙ্গে চারটি ইউক্রেনীয় প্রদেশকে সংযুক্ত করে মস্কো। আর এরপর ইউক্রেন আনুষ্ঠানিকভাবে দ্রুতগতিতে ন্যাটো সদস্য পদ পেতে আবেদন জমা দেয়। তবে ন্যাটোর ইউক্রেনীয় মিত্ররা এই ইস্যুতে বিভক্ত বলে মনে হচ্ছে। কারণ কয়েকটি দেশ যে যুক্তি সামনে আনছে, তাতে বলা হচ্ছে—যুদ্ধের মাঝখানে নতুন কোনো সদস্য যোগ করা কোনো অগ্রাধিকার হতে পারে না।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন