বুকার জয়ী লেখিকা অরুন্ধতী রায় পেন পিন্টার পুরস্কার অর্জন করেছেন
ভারতের বুকার জয়ী লেখিকা অরুন্ধতী রায় তার সাহসী ও অটল দৃষ্টিভঙ্গির জন্য ২০২৪ সালের পেন পিন্টার পুরস্কার অর্জন করেছেন। আগামী ১০ অক্টোবর একটি অনুষ্ঠানের তাকে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে এবং অনুষ্ঠানে তিনি দেবেন। খবর বিবিসি।
নাট্যকার হ্যারল্ড পিন্টারের স্মরণে সাহসী দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বকে তুলে ধরার জন্য অসাধারণ সাহিত্যিক মূল্যবোধের লেখকদের পেন পিন্টার পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কারটি ২০০৯ সালে দাতব্য সংস্থা ইংলিশ পেন দ্বারা চালু হয়েছে। সংস্থাটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা এবং সাহিত্যকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরার লক্ষ্যে কাজ করছে। এর আগে পেন পিন্টার পুরস্কার জয়ী লেখকদের মধ্যে রয়েছেন সালমান রুশদি, মার্গারেট অ্যাটউড, টম স্টপার্ড এবং ক্যারোল অ্যান ডাফি।
১৪ বছর আগের মন্তব্যের জন্য ভারতীয় কর্মকর্তারা অরুন্ধতীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমোদন দেওয়ার কয়েক দিন পর এই পুরস্কার জয়ের ঘোষণা আসলো।
বুকার পুরস্কার বিজয়ী এই লেখিকা ভারতের মানবাধিকার সমস্যা, যুদ্ধ ও বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাদ সম্বন্ধে লেখালেখি করেছেন।
ইংলিশ পেনের চেয়ার রুথ বোর্দউইক অরুন্ধতী রায়ের তীক্ষ্ণ ও সুন্দর ভাষায় অবিচারের গল্প বলার জন্য প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, যদিও তার মনোযোগের গুরুত্বপূর্ণ অংশে ভারত রয়েছে। তবে তিনি একজন আন্তর্জাতিক চিন্তাবিদ এবং তার শক্তিশালী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করা যাবে না।
৬২ বছর বয়সী রায় একজন স্পষ্টভাষী লেখক এবং অ্যাক্টিভিস্ট। ২০১০ সালে কাশ্মির সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। তিনি একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব এবং বক্তৃতা ও লেখার জন্য প্রায়ই ডানপন্থি গোষ্ঠীগুলোর সমালোচনা ও আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অরুন্ধতী রায় বলেছেন, আজ হ্যারল্ড পিন্টার আমাদের সঙ্গে থাকলে আমি চাইতাম পৃথিবী যে অদ্ভুত দিকে মোড় নিচ্ছে তা নিয়ে তিনি যেন লিখেন। যেহেতু তিনি নেই, আমাদের কাউকে অবশ্যই তার শূন্যস্থান পূরণের চেষ্টা করতে হবে।
অরুন্ধতী রায় অসংখ্য বই এবং নন-ফিকশন প্রবন্ধ লিখেছেন। তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত তার উপন্যাস ‘দ্য গড অব স্মল থিংস’-এর জন্য। ১৯৯৭ সালে এটি বুকার পুরস্কার জিতেছিল।
সাত দিন আগে ভারতীয় সরকারকে অরুন্ধতী রায় এবং কাশ্মিরি পণ্ডিত শেখ শওকাতের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে একটি খোলা চিঠি প্রকাশিত হয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি কৃষক ও শ্রমিক ইউনিয়ন এবং শিক্ষাবিদ ও অ্যাক্টিভিস্টরা স্বাক্ষর করেছিলেন।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শেয়ার করুন