মিয়ানমারে ইউএসএআইডি সহায়তা হ্রাস: মানবিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের পিছিয়ে পড়া
ছবি: এলএবাংলাটাইমস
মিয়ানমারে চলমান মানবিক সংকটের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা হ্রাসের ফলে দেশটি আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রচেষ্টার বাইরে চলে যাচ্ছে। মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (USAID) মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে ত্রাণ কার্যক্রম চালালেও সাম্প্রতিক বাজেট কাটছাঁটের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কমে এসেছে। সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত মিয়ানমারের জনগণের জন্য "গুরুতর ক্ষতি" ডেকে আনতে পারে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন কৌশলগত কারণে ইউএসএআইডির বাজেট কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়, যার ফলে মিয়ানমারের মতো সংকটপূর্ণ অঞ্চলে সহায়তা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত মানবিক সহায়তা পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছে। চীন, রাশিয়া, ভারত এবং যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে উদ্ধারকারী দল ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠালেও, মার্কিন সহায়তা সীমিত ছিল।
জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি টম অ্যান্ড্রুস এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “মিয়ানমারের জনগণকে এই মুহূর্তে সাহায্যের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, অথচ যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে। এটি মানবিক দায়িত্ব থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার সামিল।” মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, এই সহায়তা হ্রাস মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী এবং সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইরত নাগরিকদের জন্য মারাত্মক প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউএসএআইডির এই পদক্ষেপ শুধু মিয়ানমারের জন্য নয়, বরং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রভাবের জন্যও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অনেকেই মনে করছেন, চীন এবং রাশিয়ার মতো প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিগুলো এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মিয়ানমারের উপর তাদের প্রভাব আরও বাড়িয়ে নিতে পারে।
মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে, যাতে মিয়ানমারের জনগণ যথাযথ সহায়তা পায় এবং এই সংকট আরও গভীর না হয়।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
শেয়ার করুন